ঘুমিয়ে থাকার সময় ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত ৬ শতাধিক

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ছয়শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ধসে পড়া ভবন ও স্থাপনায় চাপা পড়েছে বহু মানুষ। এপর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে তুরস্কে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।
ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই সাড়ে ৩৫০-এর বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চারটা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পের আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরাম আনমারাস ছাড়াও ছয়টি প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ-ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে সাত দশমিক আট। কেন্দ্রস্থল ছিলো, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গাজিয়ান্তেপ প্রদেশ।

দ্রুত তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও ৬০টির বেশি আফটারশকে তা ব্যাহত হয়। বৃষ্টি ও তুষারপাতে উদ্ধার কার্যক্রম আরও বাধাগ্রস্তের আশঙ্কা রয়েছে। টুইট বার্তায় জনগণকে আশ্বস্ত করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। দেশটিকে ত্রাণ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, ভূমিকম্পে সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলেও বহু স্থাপনা ধসে মারা গেছে দুই শতাধিক মানুষ। আলেপ্পো প্রদেশে ধসে পড়ে একাধিক ভবন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলা হয়, ছয় শতাধিক মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছে গ্রিস, সাইপ্রাস, লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকা।

কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার সময় অধিকাংশ মানুষ ঘুমে থাকায় হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে আরও বাড়তে পারে।

তুরস্ক পৃথিবীর সক্রিয় ভূমিকম্প ফল্টলাইনগুলোর একটির ওপর অবস্থিত। দেশটিতে প্রায় প্রায়ই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। ১৯৯৯ সালের মারাত্মক শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। সেবার ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির ইস্তাম্বুলেও অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *