জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাটের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার এই রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন মিজানুর রহমান (৩৭)। তাঁর বাড়ি কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের চকবারই ইটাতলা গ্রামে। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায় আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি পলাতক আছেন। স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ বা পুলিশ গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁর দণ্ড কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমানের সঙ্গে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের মেয়ে জেসমিনের বিয়ে হয়। গত ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাতে জেসমিনকে তাঁর স্বামী মিজানুর রহমান শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। পরের দিন সকাল সাড়ে নয়টায় গ্রামের লোকজন জেসমিনের মৃত্যু খবর তাঁর বাবাকে জানান।
জেসমিনের বাবা তাঁর আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে জামাইয়ের বাড়িতে এসে দেখেন, শয়নঘরের খাটের ওপর জেসমিনের লাশ পড়ে আছে। জেসমিনের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাঁরা বাড়িতে জামাতাকে পাননি। তাঁরা প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারেন ঘটনার পর জামাতা মিজানুর পালিয়ে গেছেন।
জেসমিনের বাবা তোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ২৭ অক্টোবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আখতার হোসেন আসামির বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।