জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ সদস্যপ্রার্থী ভোট পাননি একটিও
জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচটি ওয়ার্ডে আটজন সদস্য প্রার্থী একটিও ভোট পাননি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
শূন্য ভোট পাওয়া সদস্য প্রার্থীরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড পাঁচবিবি উপজেলার ফারুক হোসেন (টিউবওয়েল), ২ নম্বর ওয়ার্ড জয়পুরহাট সদর উপজেলার মাসুদ রানা (অটোরিকশা), ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালাই উপজেলার ছানোয়ার হোসেন (টিউবওয়েল), সিনজুর রহমান (উটপাখি), ৪ নম্বর ওয়ার্ড ক্ষেতলাল উপজেলার এস এম তুহিন ইসলাম (উটপাখি), আজিজুল হক (ক্রিকেট ব্যাট), ৫ নম্বর ওয়ার্ড আক্কেলপুর উপজেলার গোলাম মোস্তফা (তালা প্রতীক) ও মাহমুদুল হাসান (হাতি প্রতীক)।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের ৫টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিলেন ৪৯২ জন। ৫টি সদস্যপদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ২৫ জন।
শূন্য ভোট পাওয়ার বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড ক্ষেতলাল উপজেলার সদস্য প্রার্থী এস এম তুহিন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম, কিন্তু ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এ কারণে কোনো ভোট পাইনি।’
৫ নম্বর ওয়ার্ড আক্কেলপুর উপজেলার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জনসেবা করার জন্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী হয়েছিলাম। ভোটে নেমে দেখি, টাকার খেলা চলছে। আমি কাউকে টাকা দিইনি, এ কারণে ভোটও পাইনি।’
গোলাম মোস্তফা ছাড়াও অনেক প্রার্থী নির্বাচনের ভোট কিনতে টাকা লেনদেনের অভিযোগ করেছেন। সদস্য পদপ্রার্থী আসলাম আলী মণ্ডল বলেন, ‘আমি ৪১ ভোট টার্গেট করেছিলাম। ভোট পেয়েছি ১৫টি। মানুষ এভাবে বেইমানি করবে, সেটি কখনো ভাবিনি।’
তবে জয়পুরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা বলেন, নির্বাচনে টাকাপয়সা দিয়ে ভোট কেনাবেচা হয়েছে, এমন অভিযোগ তাঁরা পাননি।
গতকাল সোমবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খাজা শামছুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচটি ওয়ার্ডে আবু সাঈদ আল মাহবুব, রমজান আলী, রফিকুল ইসলাম, আবদুল হান্নান ও মাজারুল আনোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাবিনা আখতার চৌধুরী ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে রত্না রশিদ নির্বাচিত হয়েছেন।