পাঁচবিবিতে বিএনপির সম্মেলনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ধুরইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
তবে সম্মেলনে কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল মতিন মাস্টার ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইফুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ধুরইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। একই স্থানে আজ বেলা তিনটায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের ঘোষণা দেন। দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলন শুরু করে বর্তমান কমিটি। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধানসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত হন। সম্মেলন শুরুর পর নেতারা জুমার নামাজ আদায় করতে যান।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম ও আটাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ নওশাদ আলী তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলনের মঞ্চ দখল করে অবস্থান নেন। নামাজ শেষে অন্য পক্ষের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে এলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে তড়িঘড়ি করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির নামধারী কিছু লোক সম্মেলনে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। এরপরও কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল মতিন মাস্টার ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইফুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর পক্ষের বিএনপি নেতা জাহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা আমাদের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজেরা কমিটি গঠন করেছেন। এ জন্য আমরা নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে অবস্থান নিয়েছিলাম। তাঁরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলায় আমাদের অন্তত ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানার মন্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, দুপুরে ধুরইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ছিল। সম্মেলনে আবদুল গফুর ও সাইফুল ইসলামের পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।