বগুড়ায় প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
বগুড়ার শেরপুরে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুনিম হোসেন নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মুনিম হোসেন ওই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে। ইদ্রিস আলী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। চার ছেলে–মেয়ের মধ্যে মুনিম ছোট। শিশুর পরিবারের দাবি, মুনিম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে আটটার দিকে মুনিম খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকে মুনিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মুনিমের মা ও বোন তাকে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে জাহিদুলের বাড়ির বাইরের আঙিনায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে মনিমের পা দেখে মুনিমের বোন চিৎকার করেন। এ সময় ট্যাংকে পাশে রক্ত ছিল। স্থানীয় লোকজন সেপটিক ট্যাংকের স্ল্যাব সরিয়ে মুনিমের লাশ উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ওই শিশুর মাথায় ও কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে নিহত শিশুর বাবার পরিবারের সঙ্গে জাহিদুল ইসলামের পূর্ববিরোধের বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত শুরু করেছে।