বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাবার সঙ্গে বিরোধ থাকায় পাঁচ বছরের শিশুকে হত্যা
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশু মুনিম হোসেন হত্যা মামলায় আমিনুল ইসলাম নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আমিনুল ছোট চাঙ্গুর গ্রামের ইদ্রিস আলী প্রামাণিকের ছেলে। শিশু মুনিমকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, শিশু মুনিমের বাবার সঙ্গে বিরোধ থাকায় মুনিমকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন আমিনুল। মুনিমের বাবার সঙ্গে আমিনুলের পারিবারিক বিরোধ ছিল।
আজ শনিবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানায় প্রেস ব্রিফিং করে এ দাবি করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম।
বিফ্রিংয়ে বলা হয়, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। পারিবারিক পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মুনিমের বাবা ইদ্রিস আলীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মুনিমকে হত্যা করেন আমিনুল ইসলাম।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেওয়ায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে আসামি আমিনুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলামের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুনিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুনিম উপজেলার ছোট চাঙ্গুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদরিস আলীর ছেলে। লাশ উদ্ধারের পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছিল, মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে শিশু মুনিমকে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে ‘বগুড়ায় প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।