শুক্রবারে প্রাচ্যনাটের ‘আগুনযাত্রা’র দুই শো
ডেস্ক রিপোর্টঃ আগামী ১০ নভেম্বর শুক্রবার আবারও মঞ্চস্থ হবে প্রাচ্যনাট নাট্যদলের প্রশংসিত নাটক ‘আগুনযাত্রা’। এদিন শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির পর পর দুটি শো হবে। ১ম প্রদর্শনী বিকেল সাড়ে ৫ টায় আর ২য় প্রদর্শনী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
মহেশ দাত্তানির নাটকটির অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। তা রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা আজাদ আবুল কালাম। এতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মঞ্চ, টিভি নাটক, ওটিটি ও চলচ্চিত্রের মেধাবী অভিনেতা শাহেদ আলী। আরও অভিনয় করতে দেখা যাবে চেতনা রহমান ভাষা, শর্মি আক্তার, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, সঞ্জিবনী, রকি খান, তমাল মল্লিককে।
‘আগুনযাত্রা’র কাহিনীকে দেখা যাবে- উমার গবেষণার বিষয় হিজড়া বা রূপান্তরকামী মানুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গ। এই গবেষণার সূত্র ধরে সে কমলার হিজরার হত্যাকান্ডের সূত্র খুঁজে পায়। কমলাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং এই হত্যাকান্ডের জন্য আনারকলি নামে আরেক হিজড়া হাজত বাস করছে। উমার স্বামী জেল পুলিশে উধ্বর্তন কর্মকর্তা, সেই সুবাদে আনারকলির সাথে সাক্ষাত করা সহজ হয় উমার এবং আরো কিছু সুত্র খুঁজে খুঁজে সে হিজড়াদের ডেরায় প্রবেশ করে। উমার এই গবেষণা শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সে জড়িয়ে পরে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে মায়া আর দায়িত্বের বন্ধনে।
আগুনযাত্রা মঞ্চ নাটকের দৃশ্য
উমার হারিয়ে যাওয়া এক ভাই বা বোন তৃতীয় লিঙ্গের। উমা যেনো তাকেও খুঁজে ফেরে। ঘটনান সত্যতা উদঘাটন করতে গিয়ে উমা অনেক অজানা অচেনা জগত আবিষ্কার করে-সেই সাথে কমলার হত্যাকান্ডের রহস্যও উদঘাটিত হয়। লিঙ্গ পরিচয় আড়াল করে কমলাকে কোনো এক মন্দিরে পুরোহিতের অজ্ঞাতে মন্ত্রী পুত্র সুব্বু বিয়ে করে। সুব্বুর এই বিয়ের খবর মন্ত্রীর কাছে পৌঁছালে তার আভিজাত্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দেহরক্ষী সালিমের মাধ্যমে কমলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করে সুব্বু-কে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুপাত্রীর সাথে আবার বিয়ের বন্দোবস্ত করে। বিয়ের লগ্ন শেষ হতেই সুব্বু কমলা হত্যার ঘটনা জানতে পারে এবং নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।