সারাদেশ

জমিয়াতুল ফালাহে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

ডেস্ক রিপোর্ট: জমিয়াতুল ফালাহে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে। ঈদের দিন সকাল ৮টায় ওই জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।

একই মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ ময়দান ছাড়া নগরের লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে নগরের আরও ৮টি মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহম্মেদ।

মসজিদগুলো হলো- হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুর বাজার জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ।

প্রতিটি স্থানে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান জামাত নিজ নিজ এলাকার মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতর বুধবার (১০ এপ্রিল) নাকি বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায়। ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ঈদুল ফিতরের দিন নির্ধারিত হবে।

অতিরিক্ত ভাড়ায়ও বাসে মিলছে না সিট, ভোগান্তি নিয়েই বাড়ি ফেরা

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

সৌদি আরবের আকাশে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে দেশটি। সেই হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

ঈদকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। বাস, ট্রেন বা লঞ্চ কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। যে যেভাবে পারছেন পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে ছুটে চলছেন।

এদিকে আজ কারখানা বন্ধ হওয়ায় পোশাক শ্রমিকরা রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন। নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে না পেরে লোকাল বাসে চড়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর রুপনগর এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

পোশাক শ্রমিকদের অভিযোগ, এতে অন্যান্য দিনের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের। তাও সিট না পেয়ে যেতে হচ্ছে মোড়ায় বসে।

রূপনগর বস্তির বাসিন্দা মো: শাজাহান মিয়া। পেশায় তিনি একজন ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি চালক। লোকাল বাসে চড়েই পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে নেত্রকোনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। তবে সিট না পেয়ে মোড়ায় চেপে যেতে হচ্ছে তাদের। তার সাথে কথা হয় বার্তা২৪. কমের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।

তিনি জানান, ভাড়া ৪০০ টাকা কিন্তু যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় দিতে হচ্ছে ৬০০ টাকা। তাও সিটে নয় মোড়ায় বসে যেতে হচ্ছে। বাসার সামনে থেকেই বাস দিয়ে যেতে পারছি তাই এভাবে যাচ্ছি।

পোশাককর্মী শাকিল জানান, বাসার সামনে থেকেই বাস যাচ্ছে। তাই অন্য কোন বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাই নাই। তাই ভাড়া বেশি হলেও যেতে হচ্ছে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বাসের দায়িত্বে থাকা গোলাম মোস্তফা বলেন, রূপনগর থেকে একজন যাত্রীর মহাখালী বাস টার্মিনালে সিএনজি দিয়ে যেতে ৫০০ টাকা লাগে। আর যদি মোটরসাইকেলে যায় তাও ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাগে। কিন্তু আমরা তাদের বাসার সামনে থেকেই নিয়ে যাচ্ছি। এতে তার কোন মোটসাইকেল বা সিএনজির ভাড়া লাগছে না। তাই স্বাভাবিক ভাড়ার চাইতে ৫০/১০০ টাকা বেশি নিচ্ছি। যাত্রীরা এ ব্যাপারে কখনো কোন অভিযোগ করে না। বরং যাত্রীরা আমাদের এই সার্ভিস পেয়ে অনেক খুশি। সময় আর টাকা দুইটাই বাঁচে তাদের।

প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে রূপনগর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তাদের এই সেবা চালু থাকে বলেও জানান তিনি।

;

কারখানা ছুটিতে বাসে যাত্রীদের চাপ, বেশি ভাড়া আদায়

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়া এলাকায় দুপুরে অধিকাংশ পোশাক কারখানা ছুটির পর থেকে সড়কে বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহন চাপ।

সিরাজগঞ্জগামী যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, এতে অন্যান্য দিনের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের।

যদিও ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জের সরকার নির্ধারিত ভাড়া মাত্র ৩৭২ টাকা।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে ১২টার দিকে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় এমন চিত্র। 

পোশাক শ্রমিক আল-আমিন হোসেন বলেন, কারখানা ছুটির পরে সড়কে যাত্রী ও যানবহনের অনেক চাপ বেড়ে যায়। বাস ভাড়া ও অতিরিক্ত হয়ে যায় তাই যানজটে যাতে না পরতে হয় এজন্যই রাতে বের হওয়া। এখন তো স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাসের সিট তো ফাঁকা নাই। এদিকে ভাড়াও নিচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বাড়িয়ে।

শিশুসহ পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পোশাক শ্রমিক আসমা আক্তার বলেন, সড়কে চাপ থাকবে দেখে কারখানা ছুটির পরে বের হই নাই। দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি তাও গাড়ি পাচ্ছি না। সড়কে গাড়ি থাকলেও ইঞ্জিন কভার ৫শ, দাঁড়ায় গেলে ১ হাজার টাকা ভাড়া চাচ্ছে। আমরা তো এভাবে যেতে পারছি না তাই বসে আছি।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দুপুরের পর থেকেই আস্তে আস্তে সড়কে যাত্রীর ও যানবাহনের ভিড় বাড়ছে। সড়কে পুলিশ কাজ করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্টও কাজ করছেন। কোনো অভিযোগ পেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আজ সন্ধ্যায় বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় যাত্রীদের সাথে বাকবিতণ্ডার জেরে মারধরের শিকার হয়ে ইতিহাস পরিবহন নামের একটি বাসের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়েছে।

;

সুন্দরবন রক্ষায় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

আমাদের পাশেই সুন্দরবন, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সম্পদ। এই বনকে সুরক্ষার দায়িত্ব সবার। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই বন নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সবাইকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা করছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাগেরহাটের মোংলা প্রেস ক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম এ কথা বলেন।

এসময় শেখ ফরিদুল ইসলামের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান গাজী। প্রেস ক্লাব উন্নয়নেও তার অবদানের কথা স্বীকার করে প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম মোংলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ কাজের প্রশাংসা করে বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় সাহসী ও নিরপেক্ষ সংবাদ করায় সাংবাদিকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। সুন্দরবন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সম্পদ। এই বনকে সুরক্ষার দায়িত্ব সবার। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই বন নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সবাইকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা করছে। কিছু দুষ্কৃতকারীরা এই বনকে ধ্বংস করতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিষ দিয়ে মাছ এবং বাঘ ও হরিণ শিকার করে চলছে। এসব অপকর্ম ঠেকাতে মিডিয়া বন্ধুদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।

;

সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী সব জাহাজ চলাচল বন্ধ

সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী সব জাহাজ চলাচল বন্ধ

কক্সবাজারের ইনানীর নৌবাহিনী ঘাট থেকেও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন।

এর আগে মিয়ানমার সংঘাতে পর্যটকদের চলাচলের ঝুঁকি থাকায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। পরে কক্সবাজারের নৌবাহিনী ঘাট থেকে জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্তটি দেওয়া হয়। তবে এবার মিয়ানমারের সংঘাতের প্রভাব এখন সেন্টমার্টিনের দিকে ঝুঁকি বেশি হওয়ায় ঈদের পরদিন থেকে ইনানী নৌবাহিনী ঘাট থেকেও জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, প্রথমে টেকনাফ দমদমিয়া ঘাঁট থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলেও মিয়ানমারের সংঘাতের প্রভাব এখন সেন্টমার্টিনের দিকে বেশি। রাখাইনের ওই দিকটায় সংঘাতের খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং পর্যটকবাহী কোন চলাচল করতে দিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চায় না প্রশাসন।

ইয়ামিন হোসেন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন ঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচল করবে না।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *