ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ঈদ সম্মানি পৌঁছে দিয়েছে ডিএনসিসি
ডেস্ক রিপোর্ট: ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ঈদ সম্মানি পৌঁছে দিয়েছে ডিএনসিসি
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশেনের আওতাধীন ২১৮৫ ইমাম ও ২১৪৭ মুয়াজ্জিনকে ৩৫০০ টাকা ও ২৫০০ টাকা করে ঈদ সম্মানি পৌঁছে দিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলে মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে বরাদ্দ করা এ অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মূলত এ অর্থ ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারাই।
এর আগে ডিএনসিসির প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন উল হাসান একটি অফিস আদেশ জারি করে এই সম্মানি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মোহাম্মদ মামুন উল হাসান জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশেনের আওতাধীন ২১৮৫ জন ইমাম ও ২১৪৭ জন মুয়াজ্জিনকে ঈদ সম্মানি দিয়েছে ডিএনসিসি। যেখানে একজন ইমাম ৩৫০০ টাকা এবং মুয়াজ্জিন পেয়েছেন ২৫০০ টাকা করে। এজন্য এক কোটি ৩০ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কামনা করেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলমানকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। ঈদ শান্তি সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা বিদ্বেষ ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী গরিব নির্বিশেষে সবার জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। ঈদের আনন্দ আমাদের সবার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি সংযম সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিতৃপ্তি লাভ করুক এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। হাসি খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পরিপূর্ণতায় ভরে উঠুক। বিশ্বের সব মানুষের সুখ শান্তি কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য আজকের দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আসুন সব প্রকার অন্যায় অনাচার হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করি। পবিত্র ঈদুল ফিতরের এ দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।
;
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মোদির চিঠি
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিঠিতে বলেছেন, আমরা ঈদুল ফিতর ঐতিহ্য ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করি। ঈদুল ফিতর বিশ্বজুড়ে মানুষ সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব এবং ঐক্যের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি সারা বিশ্বের মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য ও সুখের আশা ও প্রার্থনা করেন। দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে, এ কামনা করেন।
;
নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
ছবি: বার্তা ২৪.কম
নওগাঁর ধামইরহাটে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ইয়ানুর ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাগলাদেওয়ান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইয়ানুর স্থানীয় রূপনারায়নপুর গ্রামের মাহবুব হোসেন এর ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল রাত ২টার দিকে আমিনা খাতুন এর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ইয়ানুর ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। এর পর দিন দুপুর ২টার দিকে আবারও ইয়ানুর আমিনার সাথে দেখা করতে আসলে উভয়ের মধ্যে বিয়ে বিষয় নিয়ে বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে ইয়ানুর আমিনার উপর চড়াও হয়ে টেনে হিচড়ে বাড়ির পিছনে লিচু বাগানে নিয়ে গিয়ে মাটিতে ফেলে গলায় ছুরি বসিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে আমিনা ইয়ানুরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমিনা ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ব্যাপারে র্যাব ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর র্যাবের একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধামুইরহাট উপজেলার পাগলাদেওয়ান এলাকা থেকে ইয়ানুর কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ধামইরহাট থানায় তাকে হস্থান্তর করা হয়েছে।
;
ইসরায়েলের হামলায় হামাস প্রধানের তিন ছেলে নিহত
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ
গাজার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলের হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের তিন ছেলে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় তার নাতি-নাতনিও প্রাণ হারিয়েছেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে হানিয়াহ বলেন, ইসরায়েলের হামলায় তাঁর তিন ছেলে হাজেম, আমির এবং মোহাম্মদসহ কয়েকজন নাতি-নাতনির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, শাতি শরণার্থী শিবিরে ঈদে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এ হামলা চালানো হয়।
তবে সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি হামাস প্রধান। আলজাজিরাকে তিনি বলেছেন, “শহীদদের রক্ত এবং আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, আমরা ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের মানুষ ও জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তি তৈরি করি।”
বর্তমানে কাতারে অবস্থিত এই নেতা গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি নেতাদের পরিবার ও বাড়িঘরকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালালেও তারা পিছু হটবে না।
হানিয়া আরও বলেন, “ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান।”
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।