আন্তর্জাতিক

দ্বিতীয় ইউরো-জয়ের মিশন রোনালদোর

ডেস্ক রিপোর্ট: বয়সকে স্রেফ একটা সংখ্যা হিসেবে প্রমাণ করে এখনো খেলে যাচ্ছেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আঠারোর তরুণের মতো এখনো তিনি গোলমুখে অদম্য। চলমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) আজ মাঠে নামছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।

২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব ইউরো খেলেছেন রোনালদো। এটা তার ষষ্ঠ টুর্নামেন্ট। এরমধ্যে একবার জিতেছেন এই শিরোপা, ২০১৬ সালে। ৩৯ বছর বয়েসি রোনালদো এবার চাইছেন শেষটা রাঙাতে, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইউরো জিততে।

আজকের ম্যাচ দিয়ে ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ছয় ইউরো খেলার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন রোনালদো। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ম্যাচ কিংবা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও তার।

ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ১৪ গোল করেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ২০৭ ম্যাচে করেছেন ১৩০ গোল, এটাও বিশ্বরেকর্ড।

এবারের ইউরোর বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘জি’ থেকে শীর্ষ দল হিসেবে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পর্তুগাল। গ্রুপের অন্য দলগুলো ছিল স্লোভাকিয়া, লুক্সেমবার্গ, আইসল্যান্ড, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং লিচেনস্টাইন। গ্রুপ পর্বের ১০টি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল পর্তুগাল। ম্যাচগুলোতে ৩৬ গোল দেওয়ার বিপরীতে গোল খেয়েছিল মাত্র ২টি। বাছাইপর্বে রোনালদো করেছিলেন ১০ গোল।

ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে সৌদি আরবের প্রো লিগে নাম লেখানো রোনালদো সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে আল নাসরের হয়ে ৩১ লিগ ম্যাচে ৩৫ এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৪৪ গোল।

রোনালদোর এই ফর্ম তাই তাকে কোচ রবের্ত মার্তিনেজের ভরসা হয়ে ওঠেছে। দল নির্বাচনের সময়ে কোচ তাই উপেক্ষা করতে পারেননি ৩৯ বছর বয়েসি এই সুপারস্টারকে।

কাতার বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন তৎকালীন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। এনিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছিল। সান্তোস-অধ্যায় পেছনে ফেলে পর্তুগাল এখন রবের্ত মার্তিনেজে ভরসা খুঁজছে। মার্তিনেজ ভরসা খুঁজছেন তার দলের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বার্নার্দো সিলভা, ভিতিনিয়া, জোতাদের নিয়ে।

কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছিল পর্তুগাল। সেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডের বেশিরভাগই আছেন ইউরোর দলে। চল্লিশোর্ধ পেপেকেও দলে রেখেছন মার্তিনেজ। ২০১৬ সালের ইউরো বিজয়ী দলের রোনালদো-পেপে ছাড়াও আছেন আরেকজন, রুই পাত্রিসিও।

ইউরোয় ‘এফ’ গ্রুপে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ তুরস্ক, জর্জিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র। ১৮ জুন বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লাইপজিগে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করবে ২০১৬ সালে শিরোপাজয়ী পর্তুগাল।

২২ জুন তুরস্ক এবং ২৭ জুন জর্জিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে পর্তুগালের গ্রুপ পর্যায়ের খেলা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *