সারাদেশ

সিলেট সীমান্তবর্তী আসামে বন্যায় ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট সীমান্তবর্তী আসামে বন্যায় ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

সিলেট সীমান্তবর্তী আসামে বন্যায় ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

প্রবল বৃষ্টিতে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সীমান্তবর্তী ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের প্রধান নদ ব্রহ্মপুত্র জলের তোড়ে ফুঁসছে। আসামের বন্যার ফলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল বেড়ে বন্যা ও জলাবদ্ধতা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই আসামের রাজধানী গুয়াহাটির অনিলনগর, চাঁদমারির মতো জায়গা জলমগ্ন। বন্যায় রাজ্যের ৩০৯টি গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করিমগঞ্জ জেলা।

উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ সিলেটের জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সংলগ্ন। ফলে বন্যার পানি এদিকেও বেড়ে যেতে পারে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, রাজ্যের ১০০৫.৭ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় আসমের সরকার ১১টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। ৩,১৬৮ জন মানুষ এই শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। আরো ত্রাণ ও উদ্ধার কার্য চলছে।

চামড়া পাচার রোধে কুষ্টিয়া সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিজিবি।

সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় পাচারের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। তবে দেশের সম্পদের পাচার ঠেকাতে প্রতি বছর বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তজুড়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। এ বছরও পাচার রোধে বিজিবির সদর দপ্তর থেকে নির্দেশ এসেছে।

দেশের বাজারে ছোট মাপের একটি গরুর চামড়া ৫০০-৬০০ টাকা, বড় মাপের ৭০০-৮০০ টাকা, ছাগলের ৫০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে ছোট মাপের গরুর চামড়া ১০০০-১২০০ রুপি, বড় মাপের গরুর ১৫০০-১৬০০ রুপি ও ছাগলের ২০০-৩০০ রুপি বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে অধিক মুনাফা আশায় কিছু লোকেরা ভারতে চামড়া পাচার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

;

বন্যার কবল থেকে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র রক্ষায় কাজ করছে সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বন্যার পানি। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পানি প্রবেশ করছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে নগরীর তালতলা এলাকায় ফায়ার সার্ভিস এন্ড ডিফেন্স স্টেশন। তেমনি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় আগে থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র (সাব-স্টেশন) রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি রক্ষায় কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এলাকা পরিদর্শন করেন।

তবে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে এখনো পানি ওঠেনি বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ‍শ্যামল চন্দ্র ‍সরকার। তিনি জানান, কেন্দ্রটি এখনো নিরাপদ আছে।

দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি উপ-কেন্দ্রটি সিলেটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-৩ এর অধীনে।

এই উপ-কেন্দ্র থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, বরইকান্দি, কামালবাজার, মাসুকগঞ্জ, বিসিক, লালাবাজার, শিববাড়ী ও কদমতলীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ এর বন্যায় এই উপকেন্দ্রটিতে পানি উঠে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর কারণে বেশ কিছুদিন বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়েছে কেন্দ্রটির আওতায় থাকা বিদ্যুতের গ্রাহকদের।

;

পাহাড়ি সড়কে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় আহত ২০

ছবি: বার্তা২৪.কম

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি সড়কে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি সদরের দিকে যাচ্ছিল শান্তি পরিবহনের বাসটি। গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়ার পাহাড়ি সড়কে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসে থাকা অধিকাংশ যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ আমিন জানান, দুর্ঘটনার পরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তা বাসে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে। ১৫-২০ জনের মতো যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫-৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

;

সাতক্ষীরায় হরিণের মাংসসহ সুন্দরবনের গাছ উদ্ধার

ছবি: বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হরিণের মাংসসহ সুন্দরবনের কর্তন নিষিদ্ধ গাছ উদ্ধার করেছে টেংরাখালি টহলফাঁড়ির বনরক্ষীরা।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সুন্দরবন তীরবর্তী মীরগাং গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।

এ সময় বনরক্ষীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জবাইকৃত হরিণের চামড়াসহ একটি ডিঙি নৌকাও উদ্ধার করা হয়।

সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া শিকারের সাথে জড়িত রফিকুল ও হাফিজুর একই গ্রামের মৃত আরশাদ আলী ও কওছার গাজীর ছেলে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিজি সদস্যদের নিয়ে টেংরাখালী টহলফাঁড়ির ওসি বিল্লাল হোসেন অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় দুই প্রতিবেশী হাফিজুর ও রফিকুল শিকারকৃত হরিণের মাংস বস্তায় ঢুকিয়ে নদীর চরের পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে ২০/২২ কেজি মাংসসহ একটি চামড়া, ব্যবহৃত ডিঙি নৌকা ও সুন্দরবন থেকে সংগৃহীত জ্বালানীর কিছু গাছ জব্দ করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলামসহ সিপিজি (সুন্দরবন সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় বিশেষভাবে সহায়তা করেন বলেও তিনি জানান।

বনবিভাগ সূত্র জানিয়েছে, হরিণের মাংস উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হবে। উদ্ধারকৃত মাংস আলামত হিসেবে উপস্থাপনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *