খাবার জোটাতে আশ্রয় কেন্দ্রে দোকান দিয়েছে সেলিনা
ডেস্ক রিপোর্ট: খাবার জোটাতে আশ্রয় কেন্দ্রে দোকান দিয়েছে সেলিনা
ছবি: বার্তা২৪.কম
নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছেন সুনামগঞ্জ সদরের সেলিনা বেগম। তবে বিয়ের কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বামী। অভাবের সংসারের হাল ধরে ঘরে সাথে দোকান দিয়ে চালাতেন সংসার। তবে মেঘালয় পাহাড়ের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে সেলিনার বাড়ি। সাথে ভেঙে গেছে দোকানের স্বপ্ন। এখন বাড়ি ও দোকান হারিয়ে গত ৮ দিন ধরে আশ্রয় কেন্দ্রে কাটছে সেলিনার দিন।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে অস্থায়ী ঠাঁই মিললেও হয়নি সেলিনার পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা। তাই আশ্রয়ের জায়গায় দোকান দিয়ে আয় করার চেষ্টা করছেন এই নারী।
সেলিনা বলেন, আমার আয়ের একমাত্র পথ ছিল দোকানটি। তবে এই দোকানটাই তলিয়ে গিয়েছে ঘরের সাথে। এখন পরিবারের খরচ চালানোর মত তো উপায় নাই। তাই বাধ্য হয়ে এখানে দোকান দিয়েছি। এখানে থাকার জায়গা পেলেও খাবার মিলছে না।
তিন ছেলে মেয়ের জননী সেলিনা। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে আশ্রয় কেন্দ্রের এক দিকে সামলাচ্ছেন দোকান, আরেক দিকে সামলাতে হচ্ছে সংসার। দৈন্যদশার জীবনে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চললেও তলিয়ে যাওয়া ঘর বাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তিনি।
সেলিনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার ছেলে মেয়েগুলোকে ঈদের দিন থেকে ভালো কিছু খাওয়াতে পারি নাই। একটা ডিম কিনে এনে খাওয়ানোর সামর্থ্য এখন নেই। শুধু চিড়া মুড়ি আর গুড় খেয়ে আছি আমরা। জেলা প্রশাসন থেকে খাবার দিচ্ছে না। আমরা তো আরও বেশ কিছুদিন যেতে পারব না বাসায়। গেলেও বাড়ি ঘর ঠিক করতে আমাদের সময় লাগবে। ঘর ঠিক করার টাকাও নাই। আমাদের গরিবের কপালেই এমন হয়।
সেলিনার মত এই আশ্রয় কেন্দ্রসহ সুনামগঞ্জের ৫৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে কয়েক হাজার পরিবারের গল্পটা একই রকম। বন্যার কবলে পড়ে বাড়ি ঘর সর্বস্ব হারিয়ে দুর্বিষহ জীবন পার করছে বানভাসি মানুষ। খাদ্য সংকট ও পানি সংকটে নাজুক অবস্থা আশ্রয় নেওয়া মানুষের।
আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দাদের অভিযোগ কোন সহায়তা পাননি জেলা প্রশাসন কিংবা স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। ত্রাণ ও খাবার দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা মেলেনি তাদের ভাগ্যে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি কিছুই এমন অভিযোগও মিলছে বানভাসি মানুষদের কাছ থেকে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ রাসেল ইকবাল চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঝরবে বৃষ্টি, কমবে তাপমাত্রা
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নিয়ে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়ভাবে অবস্থান করছে। এর ফলে আগামীকাল (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
একইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যেই সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
;
ভালুকায় তিন মিষ্টির দোকানকে জরিমানা
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ভালুকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরী, স্টিকার বিহীন খাবার পরিবেশনা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার রাখার অপরাধে তিন তিন মিষ্টির দোকানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উপজেলার পৌর সদরে অবস্থিত ওই তিন দোকানে জরবমানা আদায় করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহান লাবীব জিসান।
এসময় রসের মিষ্টিকে ২০০০০ টাকা, টাঙ্গাইল পোড়াবাড়ি মিস্টির দোকানকে ১০০০০ ও আলীবাবা সুইটসকে ১০০০০ টাকা সর্বমোট ৪০,০০০ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ভালুকা পৌরসভার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও ভালুকা মডেল থানার পুলিশ সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহান লাবীব জিসান বলেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি, স্টিকারবিহীন খাবার রাখার পরিবেশন ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার রাখার অপরাধে তিন মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অভিযান। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
;
ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর
ছবি: বার্তা২৪.কম
বরগুনার আমতলীতে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে হলদিয়া হাট ব্রীজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা ডুবে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশুসহ ৭ নারী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুন) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও রুবি বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ী আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর ৭ জনের বাড়ী মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামের বাসিন্দা। এরা কনে হুমায়রার মামা বাড়ীর আত্মীয়স্বজন।
বরগুনায় সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৯ আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ব্রীজ ভেঙে খালে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিহতদেরকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার ইনচার্জ মোঃ হানিফ বলেন, প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে খাল থেকে সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে যদি ব্রিজ নির্মাণে কোন অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
;
গাবুরা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতংকে এলাকাবাসী
ছবি: বার্তা২৪.কম
সাতক্ষীরা উপকূলের দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা। যার চারপাশে অথৈজল মাঝখানে ছোট্ট দ্বীপ। যেখানে বসবাস করে হাজারো পরিবার। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তভিটা হারাতে হচ্ছে সেখানকার অনেক মানুষের। এদিকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদী ভাঙনতো লেগেই আছে।
শনিবার (২২ জুন) শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ৯নং ওয়ার্ডের সোরা মালী বাড়ী সংলগ্ন বেড়িবাঁধে বিকেলে হঠাৎ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে আতংকে আছেন এলাকাবাসী।
এদিকে সরকারের হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলমান থাকলে ও ৯নং সোরা এলাকার মালীবাড়ীর সামনে আজও পযর্ন্ত কোন মেগা প্রকল্পর কাজ শুরু হয়নি। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষের। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস দেখা দিলে বসতভিটা ছেড়ে পালাতে হয় তাদের।
গাবুরা ইউনিয়নে ৪৭টি প্যাকেজের মাধ্যমে মেগা প্রকল্পের কাজ চালু হওয়ার কথা থাকলে ও ৯নং সোরা ২৬নং প্যাকেজ চালু না করায় এভাবেই নদী ভাঙনে ভেঙে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মাঝে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, বাঁধটি ভেঙে গেলে গাবুরার নয়টি গ্রাম প্লাবিত হবে। মাছের ঘের, বসতবাড়ি সব ভেসে যাবে। হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, আকস্মিক বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধের ভয়াবহ অবস্থা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। বাঁধ মেরামত না করা পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবে না বলেও জানান তিনি।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দীন জানান, বাঁধের ৩০ মিটার এলাকাজুড়ে অবস্থা একটু খারাপ। আকস্মিক এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে জিও বস্তা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীরা রওনা হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।