সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পিস্তল উচিয়ে হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি
ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পিস্তল উচিয়ে হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি
প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাকির হোসেন
প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পিস্তল উচিয়ে হুমকি ও অন্যের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রৌমারী থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে রৌমারী থানায় জিডি নথিভুক্ত করা হয়।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগকারী ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন (৫৪)। তিনি রৌমারী উপজেলার রৌমারী গ্রামের বাসিন্দা।
জিডিতে অভিযোগকারী উল্লেখ করেছেন, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের পৈত্রিক জমির ৪৫ শতক দখল করে নেন। রবিবার (২৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাকির হোসেন তার লোকজন দিয়ে দখলকৃত জমির পাশে থাকা আনোয়ার হোসেনের অবশিষ্ট জমিতে মাটি ভরাট করে দখল করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি ভরাটে বাধা দিলে জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হন। সাবেক এই মন্ত্রী, তার স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা ও ছেলে সাফায়াত আদি জাকির অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেনকে শাসাতে থাকেন, মারপিট করতে উদ্যত হন। এক পর্যায়ে জাকির হোসেন পিস্তল উচিয়ে আনোয়ার হোসেনকে গুলি করার হুমকি দেন।’
জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিবাদীরা (জাকির হোসেন, তার স্ত্রী ও ছেলে) আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনকে রাস্তাঘাটে একা পেলে পেটানোর হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।’
অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন বলেন,’ জাকির হোসেন পিস্তল উচিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। তার মেয়ে বাধা না দিলে তিনি পিস্তল নিয়ে তেড়ে আসতে ছিলেন।’
জানতে চাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘জমিটি অর্পিত সম্পত্তি ছিল। আমি আদালতের রায়ে পেয়েছি। সেটি আইনগতভাবে অবমুক্ত হওয়ার পর এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারণ করে দখল নিয়েছি। জমির দুই পাশে জনগণের চলাচলের রাস্তা রেখে সীমানাপ্রাচীর দিয়েছি। প্রাচীরের নিচের ফাকাঁ অংশে মাটি ভরাট করতে গেলে তারা (অভিযোগকারী) বাধা দেয়। এসময় রাগারাগি করেছি। উল্টো তারা আমাকে গালিগালাজ করেছে।’
পিস্তল উচিয়ে হুমকির অভিযোগ প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি দোতলায় ছিলাম। মেয়ে আমাকে নামতে দেয়নি। পিস্তল দেখাবো কী করে? তবে হ্যাঁ, আমার লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। তবে সেটা দেখানোর জন্য না। তদন্ত করলে সত্য জানতে পারবেন।’
আদালতের মাধ্যমে জমির মালিকানা ও দখল স্বত্ব পাওয়া নিয়ে জাকির হোসেনের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিনি (জাকির হোসেন) ভুয়া দলিল বানিয়ে আমার বাবার জমিকে অর্পিত সম্পত্তি দেখিয়ে নিজের পক্ষে একতরফা রায় নিয়েছেন। মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এটা করেছেন। আমাদের জমি অর্পিত সম্পত্তিতে পড়ে না। আমাদের খাজনা খারিজ সহ সব বৈধ কাগজ আছে। কিন্তু তার ক্ষমতার কাছে আমরা টিকতে পারি না।’
ওসি আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, জিডি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানে চীনের সহায়তা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সমাধানের অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে খুবই চিন্তিত। কারণ এরই মধ্যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আসার ছয় বছর পার হয়ে গেছে।
সোমবার (২৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এই সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, এটা (রোহিঙ্গা সংকট) আমাদের জন্য খুবই হতাশা ও উদ্বেগজনক।
প্রধানমন্ত্রী চীনের মন্ত্রীকে বলেন, ‘এটি রোহিঙ্গা সংকটের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের জন্যে আমার (প্রধানমন্ত্রীর) পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ বার্তা। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চীনের মন্ত্রীকে তাঁর নিজের পক্ষ থেকে এবং বাড়তি আগ্রহ নিয়ে কিছু করারও অনুরোধ করেন।’
লিউ জিয়ানচাও বলেন, চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে কীভাবে পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় তা খুঁজে বের করতে মিয়ানমারের সাথে কাজ করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুটি জটিল এবং সেখানে অভ্যন্তরীণভাবে তা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে চীনা মন্ত্রী বলেন, ‘এমনকী, মিয়ানমার সরকারেরও (এই ইস্যুটি সম্পর্কে) কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মতো অবস্থান নেই। সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে (সেখানে) গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি একটি জটিল ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, চীন বুঝতে পেরেছে যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মানবিক উপায়ে সহায়তা করছে বলে তার দেশ অত্যন্ত প্রশংসা করে।
;
মানুষের সেবা করাই শেখ হাসিনা সরকারের মূল লক্ষ্য: কৃষিমন্ত্রী
মানুষের সেবা করাই শেখ হাসিনা সরকারের মূল লক্ষ্য: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের সেবা করা। এ সরকার সবসময় জনগণের পাশে থাকে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে বন্যা, সাইক্লোনসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তরা বিএনপি-জামায়াত আমলের সরকারের তুলনায় অনেক বেশি সহায়তা পাচ্ছেন।
সোমবার (২৪ জুন) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ৮০০ পরিবারকে জিআর চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।
মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও লুটপাট করার জন্য নয়, বরং নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নিরলস কাজ করছে।
;
ঢালাওভাবে পুলিশকে নিয়ে সমালোচনা করা উচিত না: সালমান এফ রহমান
ঢালাওভাবে পুলিশকে নিয়ে সমালোচনা করা উচিত না: সালমান এফ রহমান
পুলিশকে নিয়ে মিডিয়াতে ঢালাওভাবে সমালোচনা করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সোমবার (২৪ জুন) রাতে রাজারবাগ অডিটরিয়ামে ‘সৌরভে-গৌরবে উদ্ভাসিত ঢাকা রেঞ্জ ১১০ বছরের আঙিনায় দীপ্তিমান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ইদানীং আমরা দেখছি মিডিয়াতে পুলিশকে নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। মিডিয়াকে অনুরোধ করবো ঢালাওভাবে যেন একটা ফোর্সকে নিয়ে সমালোচনা করা না হয়, করা উচিত না। কোনো মিডিয়া ট্রল যেন না হয়।
সালমান এফ রহমান বলেন, ডেফিনেটলি আমাদের মিডিয়া দরকার। মিডিয়ায় নিউজ না হলে আমরা জানতেও পারতাম না, আ্যকশনও নিতে পারতাম না। একটা রিপোর্ট করার সময় ব্যালেন্স থাকা উচিত। মিডিয়া ট্রলে তদন্তের আগেই দোষী করা হয়।
পুলিশের গাড়ির বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, এই অর্থ বছরের পরে নতুন অর্থ বছরে আমরা গাড়ি কিনতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে মনে রাখতে হবে জনগণের বন্ধু আপনারা। আমার এলাকার পুলিশ জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এটি সব এলাকার পুলিশকে করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের মতো আমরা স্মার্ট পুলিশ পাবো। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অনেক পুলিশিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক বেশি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
;
অর্থ পাচারের কারণে বাজেট সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে: ব্যারিস্টার সুমন
অর্থ পাচারের কারণে বাজেট সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে: ব্যারিস্টার সুমন
অর্থ পাচারের কারণে বাজেট সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন) বলেছেন, অর্থ পাচার এই সরকারের বড় সমস্যা। কিছুতেই এটা ঠেকানো যাচ্ছে না। দুর্নীতি করলে তো সেই টাকা অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা যায়। পাচার হয়ে গেলে যেই দেশে যায় সেই দেশের অর্থনীতির বাজেট হয়ে যায়। আমরা তো বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরই আনতে পারিনি, আর পাচার করা টাকা ফেরত আনব কিভাবে?
সোমবার (২৪ জুন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ এ কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এই সরকারের মধ্যে রাসেল ভাইপার সাপ ঢুকে গেছে। প্রকৃতিতে যখন সাপ আসে, তখন বেজি সেই সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সরকারে সাপ ঢুকেছে, কিন্তু সেই সাপকে ধরার মতো বেজি নেই। তাই সাপ বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা দুর্বল হয়ে গেছে! একজন ‘ভদ্রলোক’কে দুদক ধরতে পারেনি, এনবিআর ধরতে পারেনি, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট ধরতে পারেনি, সেখানে এনবিআর’র মতিউর রহমানকে ধরলো একটা ছাগল। ছাগলকাণ্ড না ঘটলে আর ফেসবুক ভাইরাল না হলে এই লোকের বিষয় তো সামনেই আসতো না।
সংসদ সদস্য সুমন বলেন, বেনজীর কান্ড! মাননীয় সাবেক আইজিপি! উনি এত বড় হয়ে গেলেন, মন্ত্রণালয় জানলো না, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানলেন না! আর কিছুদিন সময় পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন এই বেনজীর সাহেব। এটার দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না। এখন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদি এমন হয় যে, কিছু জমানো টাকা রয়ে গেছে যেটাকে সাদা করবেন, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু এই সুযোগ ব্যবহার করে বেনজীর আর মতিউরের টাকাও যদি সাদা হয়ে যায়, আর এদের আদর্শের উত্তরাধিকারদের টাকাও যদি সাদা হয়ে যায়, এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।