সারাদেশ

৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট: ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল শুরু

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু

কোটা সংস্কারের দারিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকা থেকে অবরোধ তুলে নেয় তারা। পরে যান চলাচল শুরু হয়।

এদিকে, রাত ১০ টার পর থেকে শিক্ষার্থীদের কয়েকজন প্রতিনিধি দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা আলোচনা করেন। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি শুনেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপস্থিত কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, যদি অতি উৎসাহী হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো পুলিশ সদস্য হামলা করে থাকে। তাহলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ তাবরিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, আশফাকুজ্জামান।

সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন করতে পারবে, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ কোটা আন্দোলন: উত্তপ্ত শাহবাগ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজপথে শিক্ষার্থীরা সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ এদিন বেলা সোয়া তিনটার দিকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ীর দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর কিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া বন্ধ থাকলেও আনসার ক্যাম্পের সামনে আবার শুরু হয়।

এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।

প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি হিসেবে শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৪টায় সারাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ৫ জুন নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ১১তম দিনের মত কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।

‘পুলিশ দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না’

ছবি: ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা/বার্তা২৪.কম

কোটা সংস্কারের ১ দফা দাবিতে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ করার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর মহসড়ক থেকে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা৷ ‘আমরা মেধাবীরা কোটা সংস্কারের মতো একটা মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি। দায়িত্ব অপূর্ণ রেখে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি না। পুলিশ দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাহিদুল ইসলাম ইমন৷

তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক পুলিশি হামলার নিন্দা জানাই। এই মূহুর্তে পুলিশের উচিত হবে লাখ লাখ মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে সব ধরনের হামলা-মামলা থেকে বিরত থাকা। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে। নির্বাহী বিভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় প্রায় ৩ ঘন্টার অবরোধ শেষে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন তারা৷

এসময় আপীল বিভাগের শুনানিতে স্থিতাবস্থা ঘোষণাকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করা, সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ৫ শতাংশে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কারের এক দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরোধের ঘোষণা দেন কোটা ইস্যুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা৷

এসময় বিক্ষোভ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে জনগণের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে হামলা-মামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এসময় আন্দোলনকারীদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, আমাদের চাওয়া একটাই। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা হোক৷

এর আগে দুপুর ২:৫০ মিনিট থেকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পৌনে ৪টার দিকে সেখান থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ থেকে বিরত থেকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন৷ এসময় শিক্ষার্থীদের ভুয়া-ভুয়া সম্বোধন করে প্রধান ফটকের তালা ভেঙ্গে মহাসড়কে অবস্থান নেয়ার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তারা। এসময় পুলিশের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলেও শিক্ষার্থীরা পুলিশের অনুরোধ ও বাধা উপেক্ষা করে স্লোগান দিতে দিতে মহাসড়কে নেমে সড়কের উভয় পাশ ব্লক করে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন৷ এসময় মহাসড়কে অনেকটা মুখোমুখি অবস্থান নেয় পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা।

;

কোটা ইস্যুর সমাধানে ৩ দফা দাবিতে রাবি ছাত্রলীগের অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের অবস্থান, ছবি: বার্তা২৪.কম

কোটা ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক সমাধানসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জোহা চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা। তাদের অন্য দুইটি দাবি হলো- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা এবং জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসা।

সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ আকাশ বলেন, কোটাকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে যৌক্তিক আন্দোলনরত আছে সে আন্দোলনের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সহমত পোষণ করেছে। বর্তমানে হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত যৌক্তিকভাবে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি কোটা আন্দোলন নিয়ে যুগোপযোগী, যৌক্তিক ও টেকসই একটি সমাধানের লক্ষ্যে। কোনো এটেনশন শিকারের পাল্লায় পড়ে তোমরা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবেনা। আমরা মূর্খতার পরিচয় দিব না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে যৌক্তিক আন্দোলনে থাকব।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, কোটা আন্দোলনের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যদি কোনো পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে নষ্ট করার চেষ্টা করে, আমরা তার সঠিক জবাব দিব। আপনারা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জান, মাল ও পরিবেশ রক্ষা করতে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে।

সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

টিএসসিতে ছাত্রলীগের অবস্থান

ছবি: রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা/ বার্তা২৪.কম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা, জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসা এবং সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ইতিবাচক ও যুগোপযোগী সমাধানের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে টিএসসি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে দুপুর আড়াইটার দিকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হয়।

এর আগে বিকেল ৪টা থেকে মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি ও মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কারকামীদের মিছিল শুরু হয়। সব গ্রেডে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করার দাবিতে ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন কোটাবিরোধীরা।

;

ইবিতে মহাসড়কে আন্দোলকারী, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মিছিল

ছবি: ইবিতে মহাসড়কে আন্দোলকারীরা

সকল প্রকার সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সকল প্রকার কোটা সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে পদযাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ফটক খুলে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে অবস্থান করে। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রায় ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধের পর আবার মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে অবস্থান করে কোটা বিরোধীরা।

কোটাবিরোধীদের মহাসড়কে অবস্থানের এক পর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা; জনদুর্ভোগ তৈরী না করে ক্লাস পরীাক্ষায় ফিরে আসা এবং কোটা ইস্যুর যৌক্তিক; অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক সমাধানের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের ভিতরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচী পালন করেন।

আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে মুজিব ম্যুরাল প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *