সম্পদ ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন: ভূমিমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: সম্পদ ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন: ভূমিমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, দেশের মালিক জনগণ। জনগণের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যারা জনগণের সম্পদ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংস করছে তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃক সহায়তা সামগ্রী ও বিভিন্ন অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন অনুদান বিতরণ করছে। জাতির পিতার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি সরকারের ধারবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম মানিক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমীনা পারভীন রুমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলার ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬টি পরিবারের মাঝে একশত এক ব্যাল্ডিল ঢেউটিন ও তিন হাজার টাকা করে মোট তিন লাখ তিন হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি স্বেচ্ছাসেবী তহবিল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৯৪ জন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে আট লাখ ১৫ হাজার টাকার চেক, নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৭টি বৈদ্যুতিক পাখা, দুস্থ নারীদের মাঝে পাঁচটি সেলাইমেশিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে তিন জন যুব ও যুব মহিলাদের ৪০ হাজার টাকা করে এক লাখ ২০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।
এছাড়া মন্ত্রী গাভী পালনের জন্য ৩০ জন মহিলকে সনদপত্র প্রদান, দ্বিতীয় কিস্তিতে উপজেলার নিবন্ধনপ্রাপ্ত ১১টি এতিমখানার অনুকূলে মোট একশত ৫৮জন এতিমের মাসিক দুই হাজার টাকা করে ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকার চেক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তিন শিশুর মাঝে তিনটি হুইল চেয়ার এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রায় ৩২ লাখ টাকার বিভিন্ন অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
পরে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধন ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় যোগদান করেন।
মিন্টো রোডেই প্রবেশ করতে পারলো না নাহিদের পরিবার
মিন্টো রোড
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ক নিরাপত্তা স্বার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রয়েছে। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের পরিবার তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন রাজধানীর মিন্টো রোডে। কিন্তু নাহিদের পরিবারকে মিন্টো রোড থেকেই ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৪টায় মিন্টো রোডে নাহিদের পরিবার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। জানায়, তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন।
নাহিদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তার মা মমতাজ বেগম, তার দুই ফুপু, এক খালা ও তার স্ত্রী।
নাহিদের মা মমতাজ বেগম বলেন, আমরা নাহিদের সঙ্গে দেখা করতে ডিবি কার্যালয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিন্টো রোডে প্রবেশ করতে দেয়নি। নাহিদের স্ত্রী ও খালা পুলিশের সঙ্গে কথা বললে পুলিশ তাদের জানায় ভিতরে যাওয়া যাবে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিন্টো রোডে প্রবেশের দুই পাশে অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম পাশে দুপুর থেকে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এর মাঝখানে রয়েছে ডিবি কার্যালয়। দুপুর থেকে মিন্টো রোড এলাকায় যান চলাচল ও জন সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে রেখেছে।
এছাড়া মিন্টো রোড এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নাহিদের পরিবার মিন্টো রোডের পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলো। তাদের পূর্ব পাশের ব্যারিকেড থেকে ফিরিয়ে দেয় এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা।
;
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর
ছবি: আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানোর বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রোববার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ক্রম অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে গত ২০ জুলাই ভোর থেকে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দ্রুত নৈরাজ্য প্রশমন করতে সাহায্য করে।
এতে বলা হয়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য দেশে ও বিদেশে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা বলে অনুমিত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সংবিধান সমুন্নত রেখে প্রচলিত আইনের আওতায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তা ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
‘স্বার্থান্বেষী মহলের এ জাতীয় বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছে। জনগণের স্বার্থে ও রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে’, বলে জানায় আইএসপিআর।
;
কোটা আন্দোলন: নীলফামারীতে ৪ মামলায়, গ্রেফতার ৬২
ছবি: কোটা আন্দোলন
নীলফামারীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের করা ৪ মামলায় ৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে নীলফামারীর সদর থানায় একটি ও সৈয়দপুর থানায় তিনটা মামলা দায়ের করা হয়।
সৈয়দপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের সময় দুটি রাইফেল ও একটি রিভলভার ছিনতাই করা হয়েছিল। রাইফেল দুটি উদ্ধার হলেও রিভলবারটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
গত ১৮ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন চলাকালে নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ বক্সসহ নানা স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় পুলিশ, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনার পরে সদরে একটি ও সৈয়দপুর থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার নামীয় আসামি ১১৬ জন এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দুই সহস্রাধিক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদের আন্দোলনকে পুঁজি করে দুর্বৃত্তরা ওই হামলায় অংশ নেয়। বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনার সময় জেলা সদরে ১০ জন ও সৈয়দপুরে ১৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
সৈয়দপুর থানা পুলিশের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বার্তা২৪কে বলেন, হামলা, সংঘর্ষ ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সৈয়দপুর থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যারা ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, গত ১৮ ও ১৯ জুলাই জেলা শহরের বাটার মোড়, শহীদ মিনার, চৌরঙ্গীর মোড়, বঙ্গবন্ধু চত্বর, পিটিআই মোড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন বার্তা২৪কে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় ছাড়াও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ৬২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলার সময়ে দুই উপজেলায় প্রায় ২৫-২৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
;
বাগেরহাটে তীব্র নদী ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি
মোংলা-ঘোষিয়াখালী ক্যানেলের রোমজাইপুর এলাকায় নদী ভাঙ্গন
মোংলা-ঘোষিয়াখালী ক্যানেলের রোমজাইপুর এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেনে। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ওই এলাকা ভাঙ্গনের ফলে ৮টি পরিবার বাস্তুচ্যূত হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ২০ টি পরিবার। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা মেলেনি।
গেল ২২ জুলাই রাতে পূর্ণিমার তেজকটালের জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যায় গ্রামের প্রায় ৫০ মিটার গ্রামরক্ষা বাঁধ। এতে ৪টি বাড়ি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ঝুঁকিতে পড়েছে আরও প্রায় ২০টি বাড়ি। যে কোনো সময় নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে বাড়িঘর। বিদ্যুতের ২টি খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৪/৫টি খুঁটি।
মোংলা-ঘোষিয়াখালী ক্যানেলের রোমজাইপুর এলাকায় নদী ভাঙ্গন এসময় ২ কিলোমিটার আধাপাকা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। প্রায় দেড়শ’ একর ঘের ও পুকুর ভেসে গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ২ বার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর। এতে তার সবাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চুলা জ্বলছে না এক প্রকার। এক সপ্তাহ গত হলেও কোনো জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কোনো কর্তা-ব্যক্তি সরেজমিনে যাননি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিভাষ হালদার জানান, অপরিকল্পিত ভাবে খনন করায় পুরো রোমজাইপুর গ্রামটি একটি ব-দ্বীপ হয়ে গেছে। এতে নদী ভাঙ্গন বেশী হয়েছে। সরকার বা প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।
ইউপি সদস্য মো. বায়েজিদ সরদার বলেন, দেড় মাস পূর্বে রেমালের আঘাতে বাঁধ ভেঙ্গে গ্রাম তলিয়ে যায়। মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস মাছ ভেসে সবাই পথের ফকির হয়ে গেছে। ঠিকমত দুবেলা এ গ্রামের মানুষ খেতে পারছে না।
নারী আসনের ইউপি সদস্য রীনা বেগম হেনা জানান, এ গ্রামের প্রায় সকল পরিবার দরিদ্র, হতদরিদ্র। রেমালের ক্ষয়ক্ষতির পরে আবার নদী ভাঙনে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের তীব্র স্রোতে গ্রামের দুইপাশে তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে রশিদ মোল্যা, মিজান মোল্লা, জামাল মোল্যা, জাহাঙ্গীর শেখের বাড়ী ঘর ভেঙ্গে গেছে। পশ্চিম পাশে আমার একমাত্র সম্বল বাড়িটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে আছি। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। এ ছাড়াও ইতিমধ্যে মুকুট শেখ, ইয়াহিয়া খান, আ. সামাদ গাজী, আ. হালিম খান ও হারুন গাজীর বাড়ীঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। যা কিছু আছে তাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা জানান, এ বিষয়ে এমপি হাবিবুন নাহার মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুতসময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিবেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান সাহেবর সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নিবো বলে জানান এই কর্মকর্তা।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।