সারাদেশ

গণত্রাণ তহবিলে ৮ লাখ টাকা দিলেন ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তরা

ডেস্ক রিপোর্ট: গাইবান্ধায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবং একই আসনের সদ্য সাবেক সাংসদ শাহ সারোয়ার কবীরসহ আ.লীগের ৩৬৪ জন নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নামীয় আসামি ১১৪ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে মামলার বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আব্দুল হাই বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

সদ্য সাবেক সাংসদ শাহ সারোয়ার কবীরকে প্রধান আসামি ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে সাবেক সাংসদ হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবং পৌর মেয়র মতলুবর রহমানকে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু, পৌর মেয়র মতলুবর রহমান, জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক মেয়র শাহ আহাঙ্গীর কবির মিলন, দফতর সম্পাদক সাইফুল আলম সাকা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, শহর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ভাতিজা (দেবরের ছেলে) শাহ আহসান হাবীব রাজিব ও স্বামী শাহ শিল্পু, আ.লীগ নেতা জমিস বিহারী, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহমিদুর রহমান সিজু।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ৪ আগস্ট অনুমান বিকেল ৪ টার দিকে অভিযুক্তরা হাতে লাঠি, শোঠা, লোহার রড, কুড়াল, শাবল, বড় বড় ধারালো ছুড়ি, বেকি, ককটেল ও প্রেট্রোলসহ মারাত্মক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সার্কুলার রোডস্থ জেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর চালায়। তারা বিএনপি অফিস ভবনের বিভিন্ন রুমের দরজা, জানালা, আলমিড়া ভেঙে টুকরা টুকরা করে ফেলে। এসময় তারা বিএনপি অফিসের ভেতরে থাকা ২০০টি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে। আসামিরা বিএনপি অফিস থেকে ব্যানার ফেস্টুন ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর ছবি রাস্তায় এনে পেট্রোল ভর্তি জেরিকেন থেকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। এ সময় বিএনপির অফিসে অবস্থানরত নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পশ্চিম পাশের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়।

এছাড়াও এহাজারে বিএনপি অফিসের বাথরুমের টাইলস, কমোড, প্যান, বেসিন ভেঙে বাথরুমের পানির পাম্প (মটর) খুলে নিয়ে যায় বলেও উল্লেখ করা হয়। এসব ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় আনুমানিক বারো লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলেও এজাহারে দাবি করা হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *