সারাদেশ

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় কমানোর জন্য পোস্টার ছাপানোর খরচ, হলফনামার তথ্য প্রচার ও আসন ভিত্তিক পরিচিত সভার আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে খরচ বহন করার দাবি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর দি ডেইলি স্টার ভবনে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এই তথ্য জানান।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন মনে করে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা রাষ্ট্র ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার তথা রাষ্ট্র সংস্কারের পর একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা। রাষ্ট্র সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার।

নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি যথাযথ আইনি কাঠামো সৃষ্টি, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিধি-বিধান। এর লক্ষ্য হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ নির্বাচন আয়োজন করে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা অর্পণ।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সংস্থাটি দেশের নির্বাচন কমিশনের বর্তমান অবস্থা করণীয় ঠিক করতে সাংবিধানিক প্রাসঙ্গিক অন্যান্য নির্বাচনী সংস্কারের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো- প্রার্থীদের মনোনয়ন বাণিজ্য অবসানের লক্ষ্য প্রতিটি দলের দু’জন করে প্রার্থী নির্ধারণ। প্রার্থী হওয়ার শর্তে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে কমপক্ষে তিন বছরের পূর্বে সংশ্লিষ্ট দলের সদস্যপদ থাকতে হবে। ভোটার কর্তৃক অপছন্দের প্রার্থীদের বর্জনের জন্য না ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা। সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের সরাসরি ভোটের আয়োজন করা। সেনাবাহিনীকে পুনরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করাসহ একাধিক আইন সংশোধন করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

গোলটেবিল বৈঠকে সুজন-সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপত্বিতে বিচারপতি আব্দুর রৌফ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জনাব জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও জনাব মনিরা খান, প্রেসিডেন্ট ফেমা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *