সারাদেশ

সিঙ্গাপুরে ভিন্ন নামে প্রবেশ করেন বাংলাদেশের আমির হামজা

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের ওয়াজের বক্তা আমির হামজা সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের (আইএসডি) ওয়াচলিস্টে ছিলেন। তবে পাসপোর্টে ভিন্ন নাম ব্যবহার করে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করেন তিনি। সম্প্রতি বিনা অনুমতিতে সিঙ্গাপুরের তুয়াস ডরমেটরিতে ওয়াজ করেন তিনি।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরের সংসদে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী কে. সান্মুগাম বলেন, ভিন্ন নামে পাসপোর্ট ও ভিসা করে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করেন আমির হামজা এবং যেহেতু সিঙ্গাপুরে এটা তার প্রথম সফর ছিল, তাই পূর্বের বায়োমেট্রিক ডেটা ইমিগ্রেশন এবং চেকপয়েন্ট অথরিটির (আইসিএ) মাল্টি-মডেল বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারে ছিল না।

তবে এই জন্য আমির হামজাকে আরো কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কারন সে ওয়াচলিস্টে ছিল এবং কৌশলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করেছে।

সিঙ্গাপুরের সংসদে আমির হামজার দেশটিতে প্রবেশ করায় ইমিগ্রেশনের পরীক্ষনের বিষয়ে জানতে চেয়ে ৬ জন সংসদ সদস্য প্রশ্ন করেন সান্মুগামকে।

দেশটির জাতীয় দিবসে, গত ৯ আগস্ট, তুয়াসেরর টেক পার্ক ক্রিসেন্টের লান্টানা লজ ডরমেটরিতে বক্তব্যে তিনি অমুসলিমদের কাফির (কাফের) বলে সম্বোধন করেন এবং চরমপন্থী বক্ত্যবকে ধর্মীয় উদাহরণ হিসেবে প্রকাশ করেন।

সান্মুগাম জানান, একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে, আমির হামজাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়েছিল এবং তার পাসপোর্টে তার ছবি ছিল। আইসিএ’র আইএসডি’র ওয়াচলিস্টে থাকা যেকোনো ছবির সঙ্গে এগুলা পরীক্ষা করা হয়।

তবে আইসিএ অনেক সময় শুধু নাম যাচাইয়ের মাধ্যমে ওয়াচলিস্ট পরীক্ষা করে থাকে। সম্ভবত ওয়াচলিস্টে থাকা ছবির সঙ্গে তার পাসপোর্টের ছবি পার্থক্য ছিল।

২০২১ সালে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারনে আমির হামজাকে বাংলাদেশে আটক করা হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি জামিন পান।

৯ আগস্ট আমির হামজা সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করেন এবং ১০ আগস্ট ত্যাগ করেন। পুলিশ ১২ আগস্ট এই ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের কথা জানতে পারেন। সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের নাগরিক এবং আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ডরমিটরি’র ব্যবস্থাপককে এখন আইনের মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সান্মুগাম।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *