আন্তর্জাতিক

জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ডেস্ক রিপোর্ট: এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯২ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।

গতবারের তুলনায় এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন। পাসের হারও এবার কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সেগুনবাগিঁচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন- করোনার পর থেকে আমাদের পরীক্ষা শর্ট সিলোবাসে হয়েছে। অটোপাসও দেয়া হয়েছিলো। তাই জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেশি ছিলো। আমাদের এবারের ফলাফলের সাথে তুলনা করতে হবে করোনার আগের বছরের সাথে। তাহলে সামঞ্জস্য পাওয়া যাবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ ড. জাকারিয়া মিয়া বার্তা২৪-কে বলেন, রেজাল্ট জিপিএ-এর এমন ধ্বস আমাদের জন্য এলার্মিং। আগে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাঠদান করাতো এখন সেখানে অনেক ঢিলেঢালা ভাব চলে এসছে। আবার গত কয়েক বছর ধরে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও হেলামি চলে এসেছে। তারা এবারও শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষার জন্য, পরীক্ষা পেছানোর জন্য আন্দোলন করেছে। ঠিকভাবে পড়াশোনা করলে এই সমস্যা হতো না। সর্বোপরি বিষয়গুলোকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বার্তা২৪-কে বলেন, করোনাকালিন সময়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গ্যাপটা হয়েছে, সেটি পূরণ হয়নি। যার কারণে চূড়ান্ত ফলাফলে এসে তারা খারাপ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিলো লার্নিং গ্যাপগুলো পূরণের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কিন্তু সে অনুযায়ী কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আবার একেক বছর শিক্ষার্থীদের একেকরকম মনোভাব থাকে আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সাংস্কৃতিক অবস্থার কারণে।

তিনি আরও বলেন, জিপিএ-৫ অনেক সময় নির্ভর করে মেজাম্যান্টের উপর। প্রশ্নের প্যাটার্ন একেক বছর একেক রকম হয়ে থাকে যার উপর ফলাফল নির্ভর করে। প্রশ্ন সহজ হলে রেজাল্ট ভালো হয় আবার প্রশ্ন কঠিন হলে রেজাল্টে সেরকম প্রতিফলন দেখা যায়। আবার অনেক সময় রেজাল্টের ক্ষেত্রে শিক্ষাবোর্ডের একরকম নির্দেশনা থাকে, সেটাও রেজাল্টের উপর নির্ভর করে। এটা নিয়ে আতঙ্কিত বা অতি আশঙ্কার কিছু নেই।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *