বুদ্ধিজীবী দিবসে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
ডেস্ক রিপোর্ট: বুদ্ধিজীবী দিবসে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নরসিংদীতে ৫ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে নরসিংদী শহরের রেলওয়ে স্টেশন ও পৌরসভা মোড়ে এসব কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তফা মনোয়ার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাউছারসহ অন্যরা।
জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকার সবসময় অসহায় মানুষের জন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাকিয়েছেন। এছাড়া সরকারের স্থানীয় সরকারের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক সবসময় অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও থাকবেন। এরই অংশ হিসেবে আজ অসহায় মানুষের জন্য এই কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।
টনিক দেয়া ড্রাগনে সয়লাব বরিশালের ফলের বাজার
ড্রাগন
অধিক লাভের আশায় স্বাদ ও পুষ্টিগুনে ভরপুর ফল ড্রাগন এখন পরিণত হয়েছে বিষে। দেশের প্রায় সব স্থানে এই ফলটির চাষ হলেও বরিশালের ফলের আড়তে বেশিরভাগ ড্রাগন ফল আসে রাজধানী থেকে এবং এগুলো উৎপাদন হয় দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায়। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত কোন ড্রাগন ফল খুঁজে পওয়া যায়নি বরিশালের ফলের আড়তে।
দামে কম হলেও সব স্থানে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত টনিক ব্যবহার করে উৎপাদন করা ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের এক একটি ড্রাগন ফল। ক্রেতারা না চেনায় আর দামে সস্তা হওয়ায় পকেটের টাকা দিয়ে এখন বিষ কিনে খাচ্ছে বরিশালের ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি চাইলেও বিক্রি করতে পারছেন না প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত ড্রাগন ফল। কারণ লাভ বেশি হওয়ায় ও না বোঝা ক্রেতাদের প্রাকৃতিকের থেকে টনিক দেওয়া ড্রাগনের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকায় এখন তারাও বিক্রি করছেন।
চিকিৎসকদের মতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাইরে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত যেকোনো পণ্যেরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। আর টনিক ব্যবহৃত ড্রাগন মারাত্মক ক্ষতিকর।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, সম্প্রতি ড্রাগন চাষে টনিক ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরেছেন তারা। সীমান্ত এলাকার কিছু কৃষক এই টনিক ব্যবহার করছে। এরইমধ্যে ড্রাগন ফলে যে টনিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখা হবে।
টনিক হচ্ছে এক ধরণের হরমোন। এটা গাছে ব্যবহার করলে তার বৃদ্ধি দ্রুত হয়। এই পদ্ধতির ব্যবহার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উৎসাহিত করে না। ড্রাগন ফল উৎপাদনের জন্য যে টনিক ব্যবহার করা হচ্ছে তার নাম হচ্ছে জিএ৩ বা জিবারেলিক এসিড থ্রি। এটি মূলত এক ধরণের হরমোন। তবে এটি টনিক নামেই ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে। ‘এটি মূলত গ্রোথ হরমোন। তবে টনিক হিসেবে যেটি ব্যবহার করা হয় সেটিতে হরমোন ছাড়াও এর সঙ্গে আরও কিছু উপাদানও মিশ্রিত করা হয়। এগুলো খুব র্যাপিড এক্সপ্যানশন করে ফ্রুটসের। অনেকগুলো বাগানেই এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
সাধারণ ও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন আড়াই শ’ থেকে সর্বোচ্চ তিন শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন তিন শ’ গ্রাম থেকে শুরু করে নয় শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফলের বাহ্যিক আকার উদ্ভট হয়ে যায়। এই ড্রাগন ফলের রঙ পার্পেল বা লাল রঙ থাকে না। সহজ করে বলতে গেলে, পুরো ফলটি আর এক রঙা থাকে না। পার্পেল বা লাল রঙের সঙ্গে সবুজ রঙের মিশ্রণ থাকে। এক পাশে বা কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ সবুজ থাকে। কারণ পুরো এক রঙের হওয়া পর্যন্ত গাছে রাখা হলে সেটি পঁচে যায়। আর এক সাথে চার-পাঁচদিনের মধ্যে বিক্রি না হলে পুরোটাই হলুদ রঙের হয়ে যাবে। টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল হবে পানসে। মিষ্টি একেবারেই হবে না। এছাড়া স্বাদেও বেশ ভিন্ন হবে।
বরিশাল নগরীর ফল বিক্রেতা আলম মাজির সঙ্গে বার্তা২৪.কমের কথা হলে জানায়, বরিশালের কোথাও এখন টনিক ছাড়া ড্রাগন পাওয়া যায় না। টনিক দেওয়া ড্রাগনের একটির ওজনই প্রায় কেজির কাছাকাছি বা তার থেকে বেশিও হয়ে থাকে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে এগুলো বিক্রি হয়। আর প্রকৃতিক উপায়ে উৎপদিত ড্রাগনের একটির ওজন হবে সর্বোচ্চ ৩০০ গ্রাম এবং দামও হবে কমপক্ষে ৪০০ টাকা কেজি। বেশিরভাগ ক্রেতারাই আসল ও নকলের পার্থক্য বোঝে না। দাম কম হলেই কিনে নেয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক না নিয়ে বেছে নেয় কম দামের টনিক ব্যবহৃত ড্রাগন ফল।
টনিক ব্যবহৃত ড্রাগনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাইরে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত যেকোনো পণ্যেরই স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন রাসায়নিক নিরাপদ উপায়ে ব্যবহারের মাত্রা ঠিক করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা মানা হয় না। বেশি পরিমাণে হরমোন বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। অতি দ্রুত এমন ফলের উৎপাদন বিক্রয় ও বাজারজাত করণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রযোজন বলে জানান তিনি।
;
শীত উপেক্ষা করে ট্রাকে ঘরে ফিরছে মানুষ
ছবি: বার্তা২৪.কম
দুই দিনের ছুটি পেয়ে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে পোশাক শ্রমিকরা। ফলে মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। শীতকে উপেক্ষা করে অনেকে বাস না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাইপাইল এলাকায় দেখা যায়, ট্রাকে যাত্রী উঠাচ্ছেন চালকরা। ট্রাক-পিকআপে দাঁড়িয়ে শত শত কিলোমিটার রাস্তা পারি দিবেন তারা। প্রিয়জনদের কাছে যাওয়ার আনন্দ যেন হার মানিয়েছে এই কষ্টকে।
জলিল নামে এক পোশাক শ্রমিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুই দিনের ছুটি পেয়ে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছি। অনেকক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাইনি। যে গাড়িগুলো আসছে তাতে ভাড়া অতিরিক্ত হলেও সিট খালি নাই, তাই ট্রাকে উঠেছি।
মহাসড়কের বাইপাইল নবীনগর এলাকায় সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ থাকলেও বড় ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটাই বেড়েছে যাত্রীদের চাপ।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটির কারণে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কে যাত্রীর চাপ বেশি, তবে বড় ধরনের কোনো জ্যাম নেই সড়কে। যানবাহন ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি। আমাদের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে।
;
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ফেনীতে ৫ শতাধিক মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
ছবি: বার্তা২৪.কম
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ফেনী সরকারি কলেজ বধ্যভূমিতে ৫ শতাধিক মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ফেনীর সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ফেনী সরকারি কলেজ বধ্যভূমিতে এ আয়োজন করে ফেনী জেলা প্রশাসন। এতে জেলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এসময় জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ মো. বাতেন, ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ফেনীতে ২০২২ সালের গেজেট অনুযায়ী শহীদুল্লাহ্ কায়সার, জহির রায়হানসহ ১০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবী রয়েছে। তারা ফেনীর অহংকার। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছরের ন্যায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাশ, মোমেনা আক্তার, ফাহমিদা হল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল, ফেনী সরকারি কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেনসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
;
দুই দিনের ছুটিতে মহাসড়কে যাত্রীর চাপ, দুর্ভোগ
ছবি: বার্তা২৪.কম
মহান বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা দুই দিনের ছুটি পেয়ে পোশাক শ্রমিকরা গ্রামের বাড়ি ছুটছেন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে, ঈদের চেয়েও ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধার পর থেকে বাস চলাচল বৃদ্ধি পায়। দূরপাল্লার সাধারণ বাসগুলো ছাড়াও লোকাল বাসেও যাত্রী বহন করছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ অভিমুখে।
বাইপাইল বাস কাউন্টারে রাত ১১টায় দেখা যায়, সেখানে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাইপাইলে কাউন্টার মাস্টার সুমন আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে জানান, পোশাক কারখানাগুলো দুই দিনের ছুটি দেওয়ায় আজকে যাত্রীর চাপ বেশি। আজকের বেশিরভাগ বাসের টিকিটই আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।
আজ সন্ধ্যার পর ঈদের থেকে বেশি যাত্রী ভিড় করছে কাউন্টারে। বাইপাইলের পাশাপাশি নবীনগর শ্রীপুরেও যাত্রীদের ভিড় দেখে লোকাল বাসগুলো দূরপাল্লার যাত্রীদের বেশি ভাড়ায় বহন করছে। ঈদের সময় যাত্রীরা বেশ কিছুদিন আগ থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করে। কিন্তু বিজয় দিবসকে সামনে রেখে অনেকে হঠাৎ করে বাড়ি ফেরা শুরু করায় সড়কে ঈদের চাপকেও ছাড়িয়ে গেছে।
শুধু বাইপাইল নয় সাভার থেকে নবীনগর এবং বাইপাইল থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তবে মহাসড়কে গাড়ির প্রচণ্ড চাপ থাকলেও গাবতলী-পাটুরিয়া ও নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের কোথাও বড় জট বাধতে দেয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
বাইপাইল স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা পোশাককর্মী হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি একসঙ্গে পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ছি। অনেকক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি। গাড়ি আসলেও সিট পাচ্ছি না। ৬ শত টাকার ভাড়া ১ হাজার টাকা চাচ্ছে তারপরও সিট খালি নাই। তাই গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। জানি না কখন গাড়ি পাবো।
পোশাক শ্রমিক রীনা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুই দিনের ছুটি পেয়ে বাড়িতে রওনা করছি। কিন্ত বাইপাইলে এসে দেখি যাত্রীর অনেক চাপ। অন্যদিকে ভাড়াও চাচ্ছে অতিরিক্ত।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকাল থেকেই নবীনগর-বাইপাইল কেন্দ্রিক একটু প্রেসারে আছি। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটির কারণে সন্ধ্যা থেকে সড়কে যাত্রীর চাপ বেশি। তবে বড় ধরনের কোন জ্যাম নেই সড়কে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।