অস্থির মিয়ানমার সীমান্ত: যা যা ঘটলো সারাদিনে
ডেস্ক রিপোর্ট: অস্থির মিয়ানমার সীমান্ত: যা যা ঘটলো সারাদিনে
অস্থির মিয়ানমার সীমান্ত: যা যা ঘটলো সারাদিনে
ভোর থেকে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয় কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের এলাকাগুলোতে। সকালে উখিয়ার থাইংখালীর রহমতেরবিলে একসাথে ১১৪ সদস্যের মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিশাল একটি বহর আশ্রয়ে আসে বাংলাদেশে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আশ্রয় দেয় রহমতেরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দুপুরের পরে আসে আরো ৩৫ জন। এখন পর্যন্ত ২৬৪ বিজিপি সদস্য আশ্রয়ে আছে বলে জানানো হয়েছে বিজিবি থেকে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর সীমান্ত এলাকার মানুষের সময় কাটে গুলি এবং মর্টার শেলের শব্দ শুনে। মিয়ানমার থেকে গুলি এসে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। একইসাথে ৮ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে বিজিবি সেক্টর কমান্ডার মেহেদী হোসাইন কবীর।
এদিকে বিকেলে নাগাদ আশ্রিত ১৩৭ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীকে বিজিবির গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় বিজিবির সেল্টারে। তাদের রাখা হয় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে।
১৩৭ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীকে রাখা হয় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে উখিয়ার রহমতের বিলের স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নাফ নদী পার হয়ে ১১৪ জনের গ্রুপ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। যেখানে দুজন নারী ও দুজন শিশুকেও দেখা গেছে। আমরা সবাই দেখতে গিয়েছিলাম। বিজিবি এসে তাদের বুঝে নিয়েছে।
বিকেলে দলে দলে আসতে দেখা যায় বিজিপি’র সদস্যদের এছাড়া রহমতেরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক রোহিঙ্গাকে অস্ত্রসহ আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা। এসময় সৃষ্টি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা হৈ-হুল্লোড় শুরু করে দেয়। তারা বলতে থাকে নিরাপত্তা চাই, নিরাপত্তা চাই।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বেড়ে ১১৩ সীমান্তে চলছে সংঘর্ষ, ১০৬ বিজিপি সদস্য প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশের এপারে এশে পড়ে আরপিজি এন্টি ট্যাংক গ্রেনেড। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সীমান্ত এলাকায় কৃষি কাজ করতে গিয়ে এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। স্বজনরা জানায় তাকে উখিয়ার এমএসেফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আনোয়ারুল ইসলামের স্বজনরা জানিয়েছেন, আনোয়ারুল ইসলাম ধানক্ষেতে কাজ করতে গেলে সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বান্দরবান সীমান্তের বাসিন্দাদের জন্য খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র বিজিপি-সেনাসহ ২২৯ মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বিজিবির রামুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদি হোসাইন কবির বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রাণহানি ও জানমালের যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয় তার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করার চেষ্টা করছে বিজিবি।
এখন পর্যন্ত ২৬৪ বিজিপি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে এদিকে সোমবার নিহত দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। সেইসাথে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
এছাড়া বিকেল নাগাদ এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলার কথা জানিয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। সীমান্ত পরিদর্শনে এসে এসব কথা জানান তিনি।
গোলাগুলির শব্দে সীমান্ত এলাকায় বিরাজ করছে আতঙ্ক বান্দরবানের জেলা প্রশাসক জানান, মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা চলছে বাংলাদেশ সীমান্তে। আমরা সীমান্ত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২ টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আহ্বান করব আপনারা সীমান্ত এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান। আমরা সবাই একসাথে কাজ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথেেও কথা হয়েছে যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাহলে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাব।
এসব ঘটনা ঘটার সময়ে এই রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত (রাত ৯ টা) সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ওপার থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে।
চার শ্রমিক নেতার মুক্তির পর অবরোধ প্রত্যাহার
ছবি: বার্তা ২৪.কম
সিলেটে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ (র্যাব) কর্তৃক চার শ্রমিক নেতাকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.দিলু মিয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আটক ৪ জনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থেকে ২জন ও গোলাপগঞ্জ থেকে দুজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ সুরমার এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
অবরোধ কারণে সন্ধ্যার পরপরই টিলাগড়-মেজরটিলায় সিলেট-তামাবিল সড়ক, এয়ারপোর্ট রোড, গোলাপগঞ্জে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে ফেলেন শ্রমিকরা। এতে এসব সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শ্রমিক নেতারা জানান, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা থেকে পৃথকভাবে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উপ কমিটির চার নেতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। কি কারণে কোথায় ধরে নিয়ে গেছে তা কেউই বলতে পারছেন না।
এবিষয়ে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা শাখার সহ সভাপতি জুমেল আহমদ বলেন, মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমার আঞ্চলিক কমিটির অফিসে বিকালে নেতৃবৃন্দ বসে ছিলাম। এসময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের দুই গাড়ি ফোর্স এসে শ্রমিক ইউনিয়নের কাগজ-পত্র দেখতে চাইলে প্রধান কার্যলয় থেকে এনে দেয়ার সময় চাওয়া হয়। কিন্তু সময় না দিয়ে আমাদের নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১নং সদস্যকে ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.দিলু মিয়া রাত ১০টার দিকে বার্তা২৪.কমকে বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অফিসে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, আটককৃত শ্রমিক নেতাদের বিষয়ে র্যাব কর্তৃপক্ষ শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সাথে আলাপ আলোচনা করে তাদের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেন। এরপর শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
;
পরশুরামে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, বাবা ও সৎ মা আটক
ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার পৌর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উম্মে সালমা লামিয়া (৭) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই ঘটনায় নিহতের বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১১) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার এয়ার আহাম্মদের একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নূর নবী এবং সৎ মা রেহানা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নূর নবীর প্রথম সংসারের দুই কন্যা সন্তান লামিয়া ও ফাতেমা আক্তার নিহাকে (১১) নিয়ে বাঁশপদুয়ার পশ্চিম পাড়া এয়ার আহাম্মদের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানার সাথে থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মেয়েদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার কথা বলে ফেনীতে যান বাবা ও তাদের সৎ মা। দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পড়া দুই যুবক নূর নবীর ভাড়া বাসায় এসে নিজেদেরকে পল্লী বিদ্যুতের লোক দাবি করে দরজা খুলতে বলে। ওই সময় শিশুরা দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরের ভেতরে ঢুকে লামিয়াকে টেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে হত্যা করে। এ সময় বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা পালিয়ে গিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে নিহা পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নূর নবীর বোন মুন্নি বলেন, আমরা ভাইয়ের সাথে থাকি না। তবে বিভিন্ন সময়ে তাদের পারিবারিক অশান্তির কথা শুনেছি। মাঝে মাঝে সৎ মা লামিয়া ও নিহাকে মারধর করতো বলেও শুনতাম।
নূর নবীর প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারের বাবা অভিযোগ করে বলেন, নূর নবী দ্বিতীয় বিয়ের পর আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে। পরবর্তী আমরা চাইলেও দুই নাতিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম না। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার নাতনিকে হত্যা করেছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুমন বলেন, ৪ বছর আগে নূর নবীর সাথে প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। পরে দ্বিতীয় বিবাহ করলে তাদের দুই সন্তান সৎ মায়ের সাথে থাকতেন। মঙ্গলবার দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাত-পা-মুখ বাঁধা শিশু লামিয়ার মরদেহ দেখতে পেয়েছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ঘটনাটি তার সৎ মায়ের পরকীয়ার কারণে ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাবা ও সৎ মাকে থানায় আনা হয়েছে।
;
নোয়াখালীতে ট্রাক চাপায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু
ছবি: বার্তা ২৪.কম
নোয়াখালীর সেনবাগে ট্রাক চাপায় এক ৩ সন্তানের জননী এক প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রিনা আক্তার (৩২) উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের জিরুযা দক্ষিণ পাড়ার ইউনুছ ডিলার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী নাসির উদ্দিনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের নুর নবী চিশতির বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে রিনা তার পরিবারের তিন সদস্যসহ একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা যোগে উপজেলার সেনবাগ শহরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। যাত্রা পথে তাদের অটোরিকশা সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের নুর নবী চিশতি ওরফে রাজা মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক দিয়ে আসা দ্রুতগামী একটি বালু বোঝাই ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় লোকজন ট্রাক ও চালককে আটক করে। পরে পুলিশ ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। তবে স্থানীয় লোকজন এখনো চালককে পুলিশে সোপর্দ করেনি। নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
;
চট্টগ্রামে দুই ঘণ্টার অভিযানে ৩০ চাঁদাবাজ গ্রেফতার
ছবি: বার্তা ২৪.কম
চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান ২ ঘণ্টার থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ৩০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদার ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে খুচরা ও পাইকারি বাজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন চাঁদাবাজিকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সদর দপ্তরের নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাহবুব আলম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম এর আওতাধীন ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে অবৈধ উপায়ে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা এসব চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিশেষ অভিযান চালিয়েছি।
মাহবুব আলম বলেন, আজকের বিশেষ অভিযানে চাঁদাবাজির সময় ৩০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি আমরা। এর মধ্যে চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাত্রীবাহী সিএনজি থেকে ১৩ জন, ওই এলাকার বালুর টাল থেকে ৪ জন, পাহাড়তলী থানার হোটেল মেরিন সিটির সামনে থেকে ৪ জন, আকবরশাহ থানার এ কে খান মোড় থেকে ৩ জন এবং বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড় থেকে ৬ জনসহ মোট ৩০ জন চাঁদাবাজকে নগদ ৪১ হাজার ৫৬৩ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি জনান, কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রিয়াদ এবং বখতিয়ার উদ্দিন সিকদার এর নেতৃত্বে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সা থেকে মাসিক এক হাজার টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। চাঁদার অর্থ শাহেদ রানা এবং মোঃ আবুল হোসেন নামক ব্যক্তির নিকট জমা দেওয়া হয়।
বালুর টাল এলাকায় রুবেল এবং মিজান এর নেতৃতে প্রতি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা করে প্রতিদিন আনুমানিক ২০০টি ট্রাক থেকে ছয় হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে সবুর এবং শফিক নামক ব্যক্তির নিকট জমা দেওয়া হয়।
পাহাড়তলীতে মো. পেয়ার আহম্মেদের নেতৃত্বে প্রতি টমটম/সিএনজি থেকে মাসে আটশত টাকা করে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে খলিলুর রহমান নামক ব্যক্তির নিকট জমা দেওয়া হয়।
আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড়ে নারায়ণ দে’র নেতৃত্বে মিনিবাস থেকে প্রতিদিন একশো টাকা করে চাঁদা তুলে সমু এবং নিপু নামে দুইজনের কাছে জমা দেওয়া হয়। অক্সিজেন মোড়ে মো. সোহেলের নেতৃত্বে প্রতি মিনিবাস এবং ট্যাম্পু থেকে মাসিক আটশত টাকা করে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে নূরুল হক পুতু নামক ব্যক্তির নিকট জমা দেওয়া হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান মো. মাহবুব আলম।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।