সারাদেশ

প্রেস সচিবের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রেস সচিবের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

ইহসানুল করিম

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং দক্ষ কর্মকর্তাকে হারাল। দেশে সাংবাদিকতায় ইহসানুল করিমের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন অন্যদিকে শেখ হাসিনা তাঁর শোকবার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে তিনি অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম হারাল একজন প্রিয় সহকর্মীকে আর আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত কর্মকর্তাকে।

প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেরই প্রেস সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম রোববার (১০ মার্চ) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

হত্যা না আত্মহত্যা, দ্বিধাদ্বন্দ্বে পুলিশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফাঁসিতে ঝুলছিল তরুণীর মরদেহ। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা; এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহ। রহস্য তৈরির কারণও বেশ জোরালো। গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা তরুণীর মরদেহের অর্ধেক শরীর ছিল মাটিতে, কেবল গলাটুকুই ওড়না দিয়ে আড়ার সাথে ঝুলানো।

পুলিশের ধারণা- হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহটি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও এটাই শেষ কথা নয়, কারণ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর তদন্ত আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বেরিয়ে আসবে মূল রহস্য। তখনই নিশ্চিত হওয়া যাবে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে  আত্মহত্যা করেছে।

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় খলিশাউড় ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রাম থেকে সোনিয়া আক্তার সুইটি নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রোববার (১০ মার্চ) দিনগত রাতে বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, এদিন খবর পেয়ে সুইটি’র বসত ঘরের বারান্দা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুইটি ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহান’র মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই সে রাজিবপুর নানার বাড়িতে বসবাস করতেন।

পরিবারের সূত্র দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, শনিবার পরিবারের সদস্যদের সাথে রাতে ঘুমায়। পরে মাঝরাতে মোবাইলে কথা বলতে বাইরে বের হয় সুইটি। কিন্তু আর খোঁজ মেলেনি তার। সকালে পরিবারের লোকজন ঘরের বারান্দায় আড়ার সাথে ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় সুইটির মরদেহ দেখতে পায়।

;

৪ ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখেও কথা বললেন না ইউএনও

ইউএনও

চার ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পরেও অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবা হক।

রোববার (১০ মার্চ) মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন- বার্তা২৪.কম এর জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সাহিদুর রহমান, ডেস্ক এডিটর নজরুল ইসলাম ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি রকিব হাসান নয়ন।

এর আগে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে নকশা বহির্ভূত অন্যের জমিতে সরকারি রাস্তা পাকাকরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার কার্যালয়ে যান ওই সাংবাদিকরা।

অফিস কক্ষে ইউএনও-কে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অফিসে এসে অন্য একটা প্রোগ্রামে যান ইউএনও মাহবুবা হক।

এ সময় সাংবাদিকরা অপেক্ষা করার পর বিকেল ৪টার দিকে ফের অফিসে এসে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অফিস থেকে বের হয়ে যান। তিনি চলে যাওয়ার সময় তার পেছন পেছন গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে কথা বলবেন বলে চলে যান।

অপেক্ষামান সাংবাদিকরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জমি সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউএনও এর কার্যালয়ে যাই। অফিসে গিয়ে জানতে পারি তিনি অফিসে নেই। দুপুর ২টা ২৭ মিনিট মোবাইল ফোনে ইউএনওকে কল করা হয়। এসময় তিনি বলেন, ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন, অপেক্ষা না করলে আগামীকাল সোমবার আসতে বলেন। পরে আমরা অপেক্ষা করার কথা বলি। এরপর তিনি বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অফিসে না গিয়ে সরাসরি একটি প্রোগ্রামে চলে যান। আমরাও সেই প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করি। এসময় তার সঙ্গে কোন কথা বলা যায়নি। প্রোগ্রাম শেষ করে ইউএনও তার অফিসে চলে আসেন। অফিসে ঢুকেই তিনি স্কাউট দলের সদস্যদের সাথে চা পান করেন আর কথা বলতে থাকেন। আমরা ইউএনও কক্ষের সামনে অপেক্ষা করতে থাকি। ইউএনওর এক কর্মচারীকে বলি আমরা সাংবাদিক ইউএনও এর সাথে কথা বলবো আপনি একটু বলেন বাহিরে অপেক্ষা করছি আমরা। এসময় ওই কর্মচারী ইউএনওর কক্ষে ঢুকেন। মিনিট কয়েক পরেই ইউএনও কক্ষ থেকে বের হয়ে চলে আসেন। তখর ইউএনওর পেছন পেছন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি আগামীকাল আসতে বলেন।

বার্তা২৪.কম এর ডেস্ক এডিটর নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকা থেকে এসেছি আমার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। আমি দুই জন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে ইউএনওর সাথে কথা বলতে যাই। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পরও কথা বলতে পারিনি।

আমার প্রশ্ন হল একজন গণমাধ্যম কর্মী হয়েও যদি এতক্ষণ অপেক্ষা করার পরও কথা বলতে না পারি, তাহলে সাধারণ মানুষের কতটা হয়রানি শিকার হতে হয়।

;

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন

ইহসানুল করিম

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ রাত ৮টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গত দেড় মাস ধরে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে বিএসএমএমইউতে নিয়ে আসা হয় তাকে।

প্রেস সচিবের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি।

ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

;

ছাগলনাইয়াতে ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করলো বিজিবি

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পৌর এলাকা থেকে ১৮০ বস্তায় থাকা ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ একটি ট্রাক জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (৯ মার্চ) দিকে ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার চৌধুরী রাস্তার সামনে থেকে ট্রাকসহ চিনি জব্দ করা হয়। রোববার (১০ মার্চ) এটি নিশ্চিত করেন ফেনীর-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো.বদরুদ্দোজা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযানে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাকের চালকসহ চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

ফেনীর-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো.বদরুদ্দোজা বলেন, অভিযানে বিজিবি ট্রাকটি জব্দ করে। পরে ট্রাকে থাকা ১৮০ বস্তায় ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *