সারাদেশ

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সবার অংশগ্রহণে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে

ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সবার অংশগ্রহণে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সবার অংশগ্রহণে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ ঝুকিহ্রাসে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, কেবল দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম ধারণা থেকে সরে এসে দুর্যোগে পূর্ব প্রস্তুতি, দুর্যোগকালীন সুরক্ষা ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে কাজ করছে সরকার।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব’।

মহিববুর রহমান বলেন, সকল পর্যায়ের জনসাধারণকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম করে তোলার কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দুর্যোগ মোকাবেলায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ দুর্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ, সামরিক বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’র প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য নির্বাচিতদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলালের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

রোববার (১০ মার্চ) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে ইহসানুল করিমের ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার শোকবার্তায় ইহসানুল করিমের দায়িত্বপূর্ণ কর্মজীবনের কথা স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন।

;

বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: অবশেষে সাংবাদিক অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্ত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রীণ কোজি কটেজে লাগা আগুনে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে নিহত নারী সাংবাদিকের ডিএনএ।

রোববার (১০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন বৃষ্টি। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামেই পরিচিত ছিলেন। বৃষ্টি ছিলেন মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত সনাতন ধর্মাবলম্বীও বাবা-মা বৃষ্টিকে নিজের সন্তান হিসেবে দাবি করে। এর পর নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১দিন পর বৃষ্টির ডিএনএর সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে থাকা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো নাজমুল। নজরুল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির (পাইপ ও ফিটিংস) মালিক নজরুল ইসলামের চার পুত্রের মধ্যে দ্বিতীয়।

ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলো। গত শনিবার তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। উভয়েরই পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবে।

মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে রমনা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনো আমাদেরকে কোনো কিছু জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয় তবে অবশ্যই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ নেওয়ার জন্য এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা অপেক্ষায় আছেন।

২৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে গ্রীণ কোজি কটেজে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘন্টার চেষ্টা রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

;

প্রেস সচিবের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

ইহসানুল করিম

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং দক্ষ কর্মকর্তাকে হারাল। দেশে সাংবাদিকতায় ইহসানুল করিমের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন অন্যদিকে শেখ হাসিনা তাঁর শোকবার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে তিনি অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম হারাল একজন প্রিয় সহকর্মীকে আর আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত কর্মকর্তাকে।

প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেরই প্রেস সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম রোববার (১০ মার্চ) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

;

হত্যা না আত্মহত্যা, দ্বিধাদ্বন্দ্বে পুলিশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফাঁসিতে ঝুলছিল তরুণীর মরদেহ। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা; এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহ। রহস্য তৈরির কারণও বেশ জোরালো। গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা তরুণীর মরদেহের অর্ধেক শরীর ছিল মাটিতে, কেবল গলাটুকুই ওড়না দিয়ে আড়ার সাথে ঝুলানো।

পুলিশের ধারণা- হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহটি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও এটাই শেষ কথা নয়, কারণ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর তদন্ত আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বেরিয়ে আসবে মূল রহস্য। তখনই নিশ্চিত হওয়া যাবে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে  আত্মহত্যা করেছে।

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় খলিশাউড় ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রাম থেকে সোনিয়া আক্তার সুইটি নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রোববার (১০ মার্চ) দিনগত রাতে বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, এদিন খবর পেয়ে সুইটি’র বসত ঘরের বারান্দা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুইটি ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহান’র মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই সে রাজিবপুর নানার বাড়িতে বসবাস করতেন।

পরিবারের সূত্র দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, শনিবার পরিবারের সদস্যদের সাথে রাতে ঘুমায়। পরে মাঝরাতে মোবাইলে কথা বলতে বাইরে বের হয় সুইটি। কিন্তু আর খোঁজ মেলেনি তার। সকালে পরিবারের লোকজন ঘরের বারান্দায় আড়ার সাথে ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় সুইটির মরদেহ দেখতে পায়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *