সারাদেশ

রমজান মাসে করণীয়

ডেস্ক রিপোর্ট: রমজান মাসে করণীয়

পবিত্র রমজান মাস / ছবি: বিং এআই

ইসলামী চন্দ্রদিনপঞ্জিকার নবম মাস, ‘রমজান’ শুরু হতে চলেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই মাসকে পবিত্রভাবে পালন করে। ঈদ-উল-ফিতরের আগের এই এক মাস তারা সংযম চর্চা করে রোযা রাখে। ভোর রাতে ফজরের শেহরী করার পর সারাদিন অনাহারে থেকে রোযা পালন করা হয়। মাগরিবের সময় ইফতারের মাধ্যমে রোযা শেষ করা হয়। এই সময় থাকে নানারকম খাবারের মহাভোজের আয়োজন থাকে। ৪ সপ্তাহ পর ঈদ-উল-ফিতরের মাধ্যমে মহানন্দের এই পবিত্র উৎসব শেষ হয়।  

এই দীর্ঘ সময়কাল মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। পবিত্র রমজান মাস আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি, আত্ম-উন্নতি এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার সুবর্ণ সুযোগ।

রমজান মাস সংযমের মাস। সংযম মানে শুধূ রোযা রেখে না খেয়ে থাকা নয়, সম্পূর্ণ শরীর এবং আত্মারও সংযম।  তাই রোযা পালনের পাশাপাশি, মুসলিমরা কিছু কঠোর নির্দেশিকা এবং নবী মোহাম্মদের শিক্ষা অনুসরণ করেন। এই সময় গুলোতে সংযমের জন্য যা যা করণীয়: 

১.  দিনে অন্তত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। সময়- সুযোগ থাকলে অধিক সওয়াবের জন্য অতিরিক্ত ওয়াক্তের নামাজও পড়তে পারেন।

২. পবিত্র রমজান মাসে গরীব এবং সুবিধাবঞ্চিতদের যথাসম্ভব জাকাত (দান) প্রদান করুন। যদিও সারা বছর এই নিয়ম পালন করা উচিত।

৩. ভোরবেলা সেহরির সময়  এবং সন্ধ্যার পর ইফতারের পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রোজা পালন করুন।

৪. কুরআনের পবিত্র গ্রন্থ তিলাওয়াত করুন। যথা সম্ভব মুখস্থ করুন এবং আয়াতগুলোর অর্থ অনুধাবন ও মূল্যায়ন করুন।

৫. আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তার সকল দানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

৬. রোযা রাখার সময় বিনয়ী ও ধৈর্য্যশীল হউন।

৭. নামাজ পড়ার সময় পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এমনকি শত্রুরও মঙ্গল কামনা করুন। 

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল খাওয়ার প্রতিক্রিয়া

ড্রাই ফ্রুটস / ছবি: বিং এআই

কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কিশমিশ, খেজুর, আখরোট- এসব খাবার মূলত ‘ড্রাই ফ্রুটস’ নামে পরিচিত। মূলত নানারকম ফল টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করা থেকে ড্রাই ফ্রুটস নামকরণ হয়।

ড্রাই ফ্রুটস খুব মজাদার একটি খাবার। স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিতেও পরিপূর্ণ থাকে এগুলো। খনিজ এবং উন্নত নিউট্রিয়েন্টসের সমাহার থাকে এসবে। তাই চিকিৎসকরাও পুষিষ্টকর খাদ্য হিসেবে ড্রাই পুটস খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে অথবা শুধু ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার বেশ প্রবণতা দেখা যায়।

অনেকেরই অভ্যাস সকালে খালি পেটে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার। সকালে ভিজিয়ে রাখা কাঠ-বাদাম এবং শুকনো ফল, যেমন- খেজুর, স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রাই ফ্রুটসের নানারকম উপকারী দিক থাকলেও; খালি পেটে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার ফলাফল সম্পর্কে জেনে, তবেই খাওয়া উচিত।

অতিরিক্ত কোনো জিনিসই উপকারের বদলে ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। এসব খাবার অনেক বেশি খাওয়া হলে অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন এসব খাবারে স্নেহ এবং ক্যালরি বেশি থাকে। এসবের আধিক্য শরীরের জন্য ভালো নয়। তবে,  শরীরের জন্য উপকারী খনিজ পদার্থের ভালো এক উৎস ড্রাই ফ্রুটস। খনিজ, ভিটামিন, পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ থাকে এগুলো। পাশাপাশি, এতে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।   

খেজুর: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভেজানো খেজুর খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দূর হতে দেখা দেয়। সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই খেজুর খেলে অ্যালার্জি কমতে দেখো যায়।

কিশমিশ: কিশমিশেও ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন রয়েছে। ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খেলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি এবং বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমে।

চিনাবাদাম: চিনাবাদাম ভিটামিন, ফাইবার, চর্বি এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এই খাবার রক্ত সঞ্চালন এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।      

পরিমিত ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল খাওয়া অবশ্যই উপকারী। কারণ এতে, শরীরে ক্যালোরি এবং প্রাকৃতিক শর্করা বাড়ে। তবে, অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে আবার ওজন বৃদ্ধির মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে। আবার কারো কারো নির্দিষ্ট কিছু ড্রাই প্রুটে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া  উচিত। শরীরে কোনো উদ্বেগ বা অস্বস্তি হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

;

খাওয়ার পরও ক্ষুধা লাগে যে কারণে

খাওয়ার পরও ক্ষুধা লাগে যে কারণে

খাদ্য বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় বস্তু। মৌলিক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে এর অবস্থান। সাধারণত দিনে ৩ বেলা খাবার খাওয়া হয়। তবে অনেকেই খাওয়ার পরও ক্ষুধা থাকার সমস্যায় ভোগেন। খাদ্য গ্রহণ কেবল সুস্থতার জন্য নয়, শরীরের সন্তুষ্টির সাথেও এর সম্পর্ক রয়েছে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ নিধি শর্মা বলেছেন, কি কারণে হতে পারে খাওয়ার পরও অতৃপ্তি। এছাড়া দিয়েছেন এই সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি।     

আমিষের ঘাটতি: সম্পূর্ণ খাদ্যের এক-তৃতীয়াংশ হওয়া উচিত আমিষ। অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ গ্রহণ করেন না। তাই পেটে ক্ষুধা থেকে যেতে পারে। আবার, যারা নিরামিষভোজি তাদেরও  আমিষের ঘাটতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে পনির, টোফু বা ডাল-শস্যজাতীয় খাবার বেশি খেলে আমিষের ঘাটতি পূরণ হতে পারে।    

খাওয়ায় বাঁধা: যেকোনো কাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মনোযোগহীন যেকোনো কাজই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। খাবার খাওয়াও এবং হজমেও এর ব্যতিক্রম নয়। খাওয়ার সময় অন্য কোনো কাজ করতে থাকলে, মনোযোগ বিভাজিত হয়ে যায়। তখন মস্তিষ্ক ধারন করতে পারে না আমরা কি খাচ্ছি এবং কতটা খাচ্ছি! তাই কিছুক্ষণ পর আবার ক্ষুধার অনুভূতি হতে পারে।        
ধীর সংযোগ: মস্তিষ্ক এবং অন্ত্রের মধ্যের সংযোগ কিছুটা ধীর গতি সম্পন্ন। পেটে খাবার যাওয়ার অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পাকস্থলির বার্তা মস্তিষ্কে পৌঁছায়। তবে ওই সময়ের মধ্যেই মস্তিষ্ক ক্ষুধার সংবাদ প্রেরণ করতে পারে। তাই খেয়ে ওঠার সাথে সাথেই ক্ষুধা লাগলে, অস্থির হবেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখুন, হয়তো ক্ষুধা লাগার অনুভূতি চলে যাবে।      
শেষ পাতে মিষ্টি: সাধারণ আমাদের এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে রান্নায় বেশ মশলা এবং ঝাল ব্যবহার করা হয়। তাই অনেকের খাওয়ার পর কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। সেক্ষেত্রে শেষ পাতে কিছুটা টক বা টক-মিষ্টি দই অথবা খেঁজুর খেতে পারেন।   

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

ঢাকায় ফ্যাশন হাউজ মাইক্লোর দুটি শাখার যাত্রা শুরু

ছবি : সংগৃহীত

আবারও নতুন দুটি শাখা উদ্ধোধনের মাধ্যমে দ্রুত ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে ফ্যাশন হাউজ মাইক্লো বাংলাদেশ। গত নভেম্বরে ঢাকা ও নরসিংদীতে এক যোগে ৮টি শাখা খুলে চমকে দেওয়া এই নতুন রিটেইল ফ্যাশন ব্রান্ড।

শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে ঢাকার মিরপুর ও উত্তরায় বড় দুটি শাখার উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে নিয়মিত আমাকে দেখতে পাবেন এ তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড মাইক্লো বাংলাদেশের সঙ্গে। আশা করছি ভালো কিছু হবার ও নতুন কিছু হবার এবং নতুন চমকের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড মাইক্লো বাংলাদেশ জাপানের যাপিতজীবন, সরলতা আর প্রযুক্তি- অনুরাগে প্রাণিত। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্মত ও পছন্দের নিত্যদিনের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে এই ব্র্যান্ড।

উভয় শাখার উদ্বোধনী শেষে মাইক্লোর ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ইনোভেশন অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের পরিচালক বাবু আরিফ বলেন, `এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানের নিত্যদিনের পোশাক এবং বিক্রয়সেবা প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এই লক্ষ্যে দেশজুড়ে সকল ক্রেতাদের হাতে পছন্দের নিত্যদিনের পোশাক পৌঁছে দেওয়ার জন্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এখন থেকে ক্রেতারা ২৪/৭ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কেনা কাটা করতে পারবেন আরও নির্বিঘ্নে।’

তিনি আরও বলেন, জাপানি পোশাক, লাইফস্টাইল ও মান দ্বারা অনুপ্রাণিত মাইক্লো বাংলাদেশ। ফলে জাপানি মান আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
বাবু আরিফ আরও বলেন, একইভাবে পোশাক তৈরি ও গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমি বিশ্বাস করি খুব দ্রুতই দাম, মান ও চাহিদা বিবেচনায় সর্বসাধারণের প্রিয় পোশাক ব্র্যান্ডই নয় বরং ফ্যাশনে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠবে মাইক্লো।

মাইক্লোতে আন্তর্জাতিক মানের বিক্রয় সেবা নিশ্চিত করতে চান প্রতিষ্ঠানটির মার্চেন্ডাইজিং, সেলস, হিউম্যান রিসোর্স ও স্টোর অপারেশনের পরিচালক এ এইচ এম আরিফুল কবির। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাজারে পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে মাইক্লো বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করা।

বাংলাদেশের দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে মাইক্লো বাংলাদেশের যাত্রাকে পোশাক ব্র্যান্ডের নবজাগরণ বলে মন্তব্য করেছেন মাইক্লো’র গ্লোবাল বিজনেসের পরিচালক অদাহিরো ইয়ামাগুচি।

উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘মাইক্লো বাংলাদেশ নামে আমরা কেবল একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড চালু করিনি; বরং আমরা এই ক্ষেত্রে নবজাগরণ এর সূচনা ঘটিয়েছি। কারণ আমাদের কার্যক্রম ব্যক্তিত্ব, সৃজনশীলতা ও স্থায়ীভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতাকে ধারণ করে।’

উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই দুটি শাখায় ক্রেতাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় উপহার ও সব পণ্যের ওপর বিশেষ মূল্যছাড়। এছাড়াও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের উদ্ধোধন উপলক্ষ্যে থাকছে ফ্রি হোম ডেলিভারী ও বিশেষ পণ্যের উপর মূল্যছাড় এবং আকর্ষণীয় উপহার।

এই দুটি শাখার সংযোজনে মাইক্লো বাংলাদেশের শাখা সংখ্যা হল ১১টি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পণ্য ও সেবা গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মাইক্লো বাংলাদেশ। এজন্য দ্রুততম সময়ে দেশজুড়ে আরও শাখা চালু করবে মাইক্লো বাংলাদেশ।

;

ড্রাই আইস সম্পর্কে যা জানতে হবে

শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস / ছবি: পিক্সাবে

ড্রাই আইস বা শুষ্ক বরফ হলো, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কঠিন রূপ। তরল পানির কঠিন রূপ বরফ, সে কারণে কার্বন ডাই অক্সাইডের কঠিন রূপকে শুষ্ক বরফ বলে। অর্থাৎ, বরফ এবং শুষ্ক বরফের মধ্যে পার্থক্য শুধু একটি শব্দের নয়। অভ্যন্তরীণ গুণাগুণে এবং বৈশিষ্ট্যেও কিছুটা পার্থক্য থাকেই।  

বিভিন্ন খাবারের প্রণালিতে অহরহ বরফ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ঠান্ডা, পানীয় এবং মিষ্টিজাতীয় খাবারে। বরফ শুধু খেতেও কোনো অসুবিধা নেই। তবে, শুষ্ক বরফ খাওয়া কতটা উপকারি, আদৌ কি খাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞদের মতে, শুষ্ক বরফ খাওয়া তো দূরে থাক খালি হাতে ধরাও বিপজ্জনক হতে পারে।

খুব কম তাপমাত্রায় গ্যাসীয় কার্বন ডাই অক্সাইডকে রেখে সরাসরি কঠিন রূপ দেওয়া হয়। এ রূপে আনতে ১০৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট (-৭৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রার পরিবেশ প্রয়োজন হয়। সাধারণ বরফের মতো এর কোনো তরল অবস্থা থাকে না।

শুষ্ক বরফের ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে; যেমন-গবেষণা, চিকিৎসা, খাবার ও পানীয়। তবে শুষ্ক বরফের ব্যবহার খুব সাবধানে করতে হয়। এর ব্যবহারের সময় নিম্ন তাপমাত্রার জন্য তৈরি বিশেষ দস্তানা এবং চশমা  ব্যবহার করা উচিত।

ডাক্তার মঞ্জুষা আগারওয়াল বলেন,  আবদ্ধ স্থানে ড্রাই আইসের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এটি হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইডের একটি রূপ। নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থা থেকে এটি গ্যাসীয় আকারে রূপান্তরিত হতে শুরু করে। আবদ্ধ জায়গায় এমন হতে শুরু করলে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা কমার সম্ভাবনা থাকে। এরফলে, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।     

সম্প্রতি ভারতের গুরুগ্রামের এক রেস্তোয়ায় প্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু বন্ধু ‍মিলে খেতে গেলে খাওয়া শেষ হওয়ার পর তাদের মাউথ ফ্রেশনার দেওয়া হয়। তবে,মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহারের পরই রেস্তোরার অতিথিরা শারীরিক সমস্যাবোধ করতে শুরু করেন। এর পর্যায়ে তাদের রক্তবমি হওয়া শুরু হয়। আসলে, ব্যবহৃত মাউথ ফ্রেশনারগুলো ছিল মূলত শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ভারতীয় চিকিৎসকরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ডাক্তার রাজীব গুপ্তা বলেছেন, অতি নিম্ন তাপমাত্রার হওয়ার কারণে চামড়ার জন্য অনেক ক্ষতিকর। সরাসরি চামড়ার সাথে সংস্পর্শে এলে চোখ জ্বালা, অস্বস্তি ও লাল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, ডা রাঙ্গা সসন্তোষ কুমার বলেন,শুষ্ক বরফ খেয়ে ফেললে গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- মুখ, খাদ্যনালী, পাকস্থলীর অংশকে ঠান্ডায় জমিয়ে ফেলতে পারে।    

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *