সারাদেশ

নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা তরুণ আটক

ডেস্ক রিপোর্ট: নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা তরুণ আটক

নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা তরুণ আটক

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা থেকে এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।

আটক ফয়েজুল ইসলাম (২২) কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ভূঞারহাট বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা তরুণ ফয়েজুল কক্সবাজারের উখিয়া থেকে প্রথমে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। পরবর্তী সময়ে কবিরহাট উপজেলার ভূঞারহাট বাজারে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাকে বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হলে আটক করে। তাৎক্ষণিক সোমবার দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী তোবারক হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটক তরুণ নিজেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রোহিঙ্গা তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণের প্রস্ততি চলছে।

গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সেই নারী সাংবাদিকের দাফন সম্পন্ন

গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সেই সাংবাদিকের দাফন সম্পন্ন

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে তাকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। সে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়া এলাকার শাবলুল আলমের মেয়ে।
কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ।

এর আগে রাত সোয়া ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিজ এলাকা বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় এসে পৌঁছে। এ সময় তাঁর বাড়ি ও আশপাশ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিলাপ করতে থাকেন মা বিউটি বেগম, বাবা সাবরুল আলম সবুজ ওরফে সবুজ শেখ, দুই বোন বর্ষা ও ঝর্ণাসহ আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী।

এদিকে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থান নেন।

উপস্থিত ছিলেন খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার, খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর জায়েদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কুষ্টিয়া থেকে বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টি খাতুন। পরে পড়াশোনার পাশাপাশি করতেন সাংবাদিকতাও। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন তিনি। ডিএন পরীক্ষা শেষে আজ দুপুরে তাঁর মরদেহ মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার পরিচয় জটিলতায় নিথর মরদেহটি ১১ দিন পড়ে ছিল হাসপাতালের হিমঘরে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ বলেন, কারা আমার মেয়ের মরদেহ নিয়ে ষড়যন্ত্র করল আমি জানি না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে ইনশাআল্লাহ।

;

ডিইউজের ‌যৌথ সভাপতি সোহেল-তপু, সম্পাদক আকতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচনে সভাপতি পদে সমান ভোট পেয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম তপু। তারা দুইজই ৮১২টি করে ভোট পাওয়ায় এই পদে দুজন কেই চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হ‌য়ে‌ছে। ১ বছর ক‌রে দুজ‌নেই সভাপ‌তির দা‌য়িত্ব পালন কর‌বে। ১ম বছর সো‌হেল হায়দার চৌধুরী, ২ বছর সাজ্জাদ আলম খান তপু।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার হোসেন ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোলাম মুজতবা ধ্রুব সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪৭ ভোট।

সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। 

অন্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক আসাদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মামুন শেখ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান ।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন-জি এম মাসুদ ঢালী, নাসরিন বেগম গীতি, এ এম শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাজেদা হক, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, রারজানা সুলতানা ও অনজন রহমান।

;

আবারও একদিনে বাংলাদেশে প্রবেশ করল ১৭৯ বিজিপি সদস্য

একদিনে বাংলাদেশে প্রবেশ করল ১৭৯ বিজিপি সদস্য

বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপির) ১৭৯ জন সদস্য ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর থেকে তারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপির) ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।

এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ নাগরিক। পরে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

;

নেটওয়ার্ক খুঁজতে গিয়ে মিয়ানমারের গুলি খেয়ে হাসপাতালে ইউপি সদস্য

ছবি: বার্তা২৪.কম

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৫নং সীমান্ত পিলার নিকটবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের ওপার থেকে আসা গুলিতে আহত স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবের হোসেন (৪২) কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দেওয়া হয়।

সাবের হোসেনের ছোটভাই অলি আহমদ (৩৩) বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের এলাকায় নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকার কারণে আমার ভাই আজকে বিকেল ৫ টার দিকে নেটওয়ার্ক খুঁজতে গিয়েছিলো জামছড়ি জামে মসজিদের পাশের পাহাড়ে। সেখানে হঠাৎ মিয়ানমারের ওপার থেকে গুলি এসে আমার ভাইয়ের কোমরে লাগে। এতে সে গুরুতর আহত হন।

প্রথমে সাবেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।

সাবের হোসেনের ছোটভাই অলি আহমদ (৩৩) আরও জানান, সেখানে মিয়ানমারের ৪৫ নং পিলালের ছালিড়িডং এলাকায় এঘটনা ঘটে। ওই এলাকা থেকে প্রায় সময় ভারি গোলাবারুদ এবং মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসত। এতে আমরা আতঙ্কিত।

সাবের হোসেনের এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায় তার কোমরের পেছনের দিকে স্পষ্ট গুলি দেখা যাচ্ছে।

এদিকে বিজিবি’র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প হতে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *