সারাদেশ

ঘরে ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: ঘরে ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী

ছবিঃ সংগৃহীত

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর।

সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি’র নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে অপটিক্যাল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতা বেড়েছে ৩ লাখ কিলোমিটার। ২০০৬ সালে দেশে অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগের আওতা ছিল মাত্র ৫০ হাজার কিলোমিটার। প্রায় ১৮ বছর পর বর্তমানে (২০২৪) এর আওতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ লাখ কিলোমিটারে।

এছাড়া, প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম কমেছে। ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ টাকা। ইন্টারনেট সর্বসাধারণের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করতে বর্তমানে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম সর্বনিম্ন ৬০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ এবং আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বক্তৃতা করেন।

ইন্টারনেট সরবরাহের ঝুলন্ত তার মাটির নিচে স্থাপন করার জন্য আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের শহরকে বিপদমুক্ত করতে সকল অভারহেড ক্যাবল মাটির নীচ দিয়ে নিতে চাই। এ ব্যাপারে আইএসপিএবি, এনটিটিএনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় সফলতা বিশ্বে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

পরে, প্রতিমন্ত্রী আইএসপিএবি’র স্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

রাজধানীর তুরাগে বাসা থেকে নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়া হাইস্কুলের সামনে একটি বাসা থেকে এক নারীর গলা কাটা ও এক যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মৃতরা হলেন– মৌসুমি (৩০) ও মো. ইব্রাহিম (৩২)। নারীর বাড়ি চাঁদপুর ও পুরুষের বাড়ি ফরিদপুর।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই নারী উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, মৌসুমিকে হত্যা করে সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে।

তিনি আরও জানান, ইব্রাহিমের ভাড়া বাসার ছাদের ওপর ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। এর পাশেই তাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা ধর্ম ভাই–বোন পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর যাওয়া আসা করত।

ওসি জানান, তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেনি।

;

নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা তরুণ আটক

নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা তরুণ আটক

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা থেকে এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।

আটক ফয়েজুল ইসলাম (২২) কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ভূঞারহাট বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা তরুণ ফয়েজুল কক্সবাজারের উখিয়া থেকে প্রথমে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। পরবর্তী সময়ে কবিরহাট উপজেলার ভূঞারহাট বাজারে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাকে বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হলে আটক করে। তাৎক্ষণিক সোমবার দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী তোবারক হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটক তরুণ নিজেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রোহিঙ্গা তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণের প্রস্ততি চলছে।

;

গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সেই নারী সাংবাদিকের দাফন সম্পন্ন

গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সেই সাংবাদিকের দাফন সম্পন্ন

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে তাকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। সে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়া এলাকার শাবলুল আলমের মেয়ে।
কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ।

এর আগে রাত সোয়া ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিজ এলাকা বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় এসে পৌঁছে। এ সময় তাঁর বাড়ি ও আশপাশ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিলাপ করতে থাকেন মা বিউটি বেগম, বাবা সাবরুল আলম সবুজ ওরফে সবুজ শেখ, দুই বোন বর্ষা ও ঝর্ণাসহ আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী।

এদিকে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থান নেন।

উপস্থিত ছিলেন খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার, খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর জায়েদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কুষ্টিয়া থেকে বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টি খাতুন। পরে পড়াশোনার পাশাপাশি করতেন সাংবাদিকতাও। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন তিনি। ডিএন পরীক্ষা শেষে আজ দুপুরে তাঁর মরদেহ মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার পরিচয় জটিলতায় নিথর মরদেহটি ১১ দিন পড়ে ছিল হাসপাতালের হিমঘরে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ বলেন, কারা আমার মেয়ের মরদেহ নিয়ে ষড়যন্ত্র করল আমি জানি না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে ইনশাআল্লাহ।

;

ডিইউজের ‌যৌথ সভাপতি সোহেল-তপু, সম্পাদক আকতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচনে সভাপতি পদে সমান ভোট পেয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম তপু। তারা দুইজই ৮১২টি করে ভোট পাওয়ায় এই পদে দুজন কেই চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হ‌য়ে‌ছে। ১ বছর ক‌রে দুজ‌নেই সভাপ‌তির দা‌য়িত্ব পালন কর‌বে। ১ম বছর সো‌হেল হায়দার চৌধুরী, ২ বছর সাজ্জাদ আলম খান তপু।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার হোসেন ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোলাম মুজতবা ধ্রুব সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪৭ ভোট।

সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। 

অন্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক আসাদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মামুন শেখ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান ।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন-জি এম মাসুদ ঢালী, নাসরিন বেগম গীতি, এ এম শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাজেদা হক, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, রারজানা সুলতানা ও অনজন রহমান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *