সারাদেশ

চালু হল দেশের দীর্ঘতম আন্তঃনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ 

ডেস্ক রিপোর্ট: পবিত্র রমজান উপলক্ষে অসহায় ও নিম্ন আয়ের রোজাদারদের মধ্যে ১ লাখ মানুষের ইফতার বিতরণ করবে সেচ্ছাসেবী সংগঠন মাস্তুল ফাউন্ডেশন। সেই সঙ্গে নিম্নবিত্ত ২০ হাজার পরিবারকে রমজানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসহায় ও নিম্ন আয়ের রোজাদাররা রমজানের ইফতারের আমেজ থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় তাই এই রমজানে ১ লাখ ইফতার বিতরণে উদ্যোগ নিয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও মাস্তুল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় ইফতার বিতরণের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যাতে ইফতারে ভাল খাবার খেতে পারে তাই মাসব্যাপী চলবে এই আয়োজন।

আর্থিক অনটন ও নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে কষ্টভোগী রোজাদারদের সম্মানে এই কার্যক্রমটি দুই ভাগে করা হচ্ছে। যেখানে ধানমণ্ডি রায়েরবাজারে অবস্থিত মাস্তুল মেহমানখানায় প্রতিদিন এক হাজারের অধিক অসহায় রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজন থাকছে এবং রোজাদারেরা মেহমানখানায় বসে সেই ইফতার গ্রহণ করবেন।  

এছাড়া এই কর্মসূচীর আওতায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে রাস্তাঘাটে চলাচলরত রোজাদার, চলাচলরত যানবাহন বা ট্রাফিক জ্যামে আটকিয়ে থাকা যানবাহনের যাত্রীদেরও বিনামূল্যে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ করা হবে। শুধু তাই নয় ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার এতিমখানা, মাদ্রাসা এবং দরিদ্র পরিবারকে ২০ হাজার ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া যাকাতের মাধ্যমে ৫০০ দরিদ্র পরিবারকে সাবলম্বী করে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার নিয়ত করেছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। 

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো হলো মুমিনের বিশেষ আমল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মাস্তল ফাউন্ডেশন সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রমজানকে আনন্দময় করে তুলতে চায়। তিনি সবাইকে এই পবিত্র রমজান মাসে নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সবার জন্য ইফতার তখনি সম্ভব যখন আমরা সবাই মিলে এই উদ্যোগে শামিল হব। 

সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। মাস্তলের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০০ এর অধিক লাশ দাফন হয়েছে। মাস্তলের রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা এবং শেল্টারহোম যেখানে আবাসিক/অনাবাসিক মিলে শতাধিক পিতামাতাহীন/ অনাথ এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে।

এর বাহিরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরণ দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মাস্তল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০০০ জনের বেশি মানুষকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে।

এছাড়া রয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা দের জন্য মাস্তুল বৃদ্ধাশ্রম এবং মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *