সারাদেশ

১ দিন পর কুয়েত যাওয়ার কথা, তার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট: ১ দিন পর কুয়েত যাওয়ার কথা, তার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবদুল্লাহ আল মাসুদ (৩৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার কথা ছিল তার। ইতিমধ্যে যাওয়ার সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিদেশগমনের ঠিক একদিন আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার।

বিদেশ গমনের জন্য এজেন্সি থেকে টিকিট সংগ্রহ করে ফেনী থেকে বাজার করে বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। নিহত মাসুদ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দত্তসার এলাকার মো.আবুল কালামের ছেলে। 

বুধবার (১৩ মার্চ) ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অটোরিক্সায় থাকা মাসুদের ভাইয়ের স্ত্রীসহ আরও ২ নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। 

আহতরা হলেন- নিহত মাসুদের প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা টুম্পা (৩১), মোহাম্মদ আলী এলাকার শাহেনা বেগম (৪৫) ও ফেনী সদর উপজেলার বিরিঞ্চি এলাকার হোসনেআরা বেগম (৬৩) ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফেনী থেকে মোহাম্মদ আলী বাজার যাওয়ার পথে ফতেহপুর মটবাড়িয়া ব্রিকফিল্ডের সামনে একটি সিএনজি অটোরিক্সার সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রীরা গুরতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালে মাসুদের মৃত্যু হয়। অপর ৩ নারী যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। 

নিহত মাসুদের স্বজন আলাউদ্দিন বলেন, ‘মাসুদ আগে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। গত ৫ বছর ধরে দেশে ছিলেন। সর্বশেষ কুয়েতে যাওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আগামীকাল (১৪ মার্চ) বিকেল ৫ টায় তার বিমানের ফ্লাইট টাইম ছিল। আজকে কুয়েতে থাকা এক মামার জন্য কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। মাসুদের ৫ বছর বয়সী এক কন্যা ও ৫ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।’

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় চিকিৎসা চলা অবস্থায় আবদুল্লাহ আল মাসুদ মৃত্যুবরণ করেন। বাকীদের  চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়। 

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসটি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত একজনের মরদেহ মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। 

কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. নান্নু (৪৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নান্নু একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, নান্নু ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে কেশবপুরে তাঁর ইজারা নেওয়া দিঘিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার গতিরোধ করে জোরপূর্বক পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

এমভি আবদুল্লাহর জিম্মিদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক আজ

এমভি আবদুল্লাহ

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এতে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠক ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিনিয়র সহকারী সচিব (আফ্রিকা) মো. ইফতেখার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব) মো. খুরশিদ আলম। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। 

 বৈঠকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়েছে, সোমালি জলদস্যুদের কবজায় থাকা জাহাজ ও ক্রুদের নিরাপদে উদ্ধারে কর্মকৌশল ঠিক করতেই এ বৈঠক।

এর আগে, কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে জাহাজের নূর উদ্দিনের (জিএস) পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কারও সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাইরেটসরা আমাদের মোবাইলসহ সব যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে যাচ্ছে। এখানে টাকা না দিলে, আমাদেরকে একজন-একজন করে সবাইকে মেরে ফেলবে বলতেছে। এদেরকে যত তাড়াতাড়ি টাকা দিবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়ি দিবে বলছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জলদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে জাহাজ ও ক্রুদের জিম্মি করে রেখেছে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

জিম্মিদের মধ্যে রয়েছেন-কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে নূর উদ্দিন (জিএস),  আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুল (ওয়েলার), একই এলাকার গাজু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (এবি), বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর মেরিন একাডেমি এলাকার মোহাম্মদ আখতার হোসেনের ছেলে আসিফুর রহমান (এবি)। তিনি ৫ মাস আগে চাকরিতে যোগদান করেছেন।

;

রোজাদারের মুখে হাসি ফোটালো ‘সেভ সিলেট’

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকাল ৫টা। ঘরমুখী মানুষ। কিন্তু একদল তরুণ হঠাৎ এসে হাজির হলো কয়েকটি ব্যানার হাতে নিয়ে। রাস্তার পাশে টাঙালো ব্যানার। ব্যানার টাঙানো দেখে অবকা দৃষ্টিতে তাকালেন পথচারীরা। কেউ কানে কানে ফিসফিস করে কথা বলছিলেন আর কেউবা ছবি তুলে ফিরছিলেন বাড়িতে। কিন্তু ওই তরুণগুলো ততক্ষণে রাস্তার পাশে বসিয়ে দেয় পাটি। আর সেই পাটিতে একে একে সারিবদ্ধভাবে বসতে থাকেন নানা বয়সের মানুষ। সবাই যেন অপেক্ষা করছিলেন কিছু একটার জন্য। কিছু সময় পর হাসি ফুটলো বসে থাকা সবার মুখে। কিন্তু কেন? এই হাসি ফোটার কারণ হলো সবাই হাতে পেলেন ইফতারের প্যাকেট। এমনিই এক চিত্র দেখা যায় বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পথচারী ও অসহায় মানুষের মুখ হাসি ফুটাতে এমন আয়োজন করেছে সামাজিক সংগঠন সেভ সিলেট। বুধবার বিকাল ৫টায় সেভ সিলেট’র প্রজেক্ট সরাইখানার ইফতার আতিথেয়তার অংশ হিসেবে পথচারী, নারী, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পবিত্র রমজান মাসব্যাপী পর্যায়ক্রমে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডসহ বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করছে ইফতার বিতরণের। এ বছর সিলেট বিভাগের ১লাখ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হবে।

সরেজমিনে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইফতারে অংশ নিতে রিকশা চালক, অসহায় নারী-পুরুষ, পথচারী ও শিশুরা বসে আছেন। একটি মাইক্রোবাসে করে তৈরি করা ইফতারের প্যাকেট নিয়ে হাজির হয়েছেন সেভ সিলেটের স্বেচ্ছাসেবীরা। তারা সবাইকে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে পানির বোতল ও তৈরিকৃত ইফতারের প্যাকেট হাতে তুলে দিচ্ছেন। প্যাকেট হাতে পেয়ে অনেক খুশি ইফতার খেতে আসা লোকজন।

স্বামীকে নিয়ে ইফতার করতে আসা নামপ্রকাশে এক নারী বলেন, সারাদিন রোজা রাখার পর এখন ইফতার করবো। তাদের এমন উদ্যোগের কারণে আজ আমরা ইফতার করতে পারছি।আল্লাহ কাছে দোয়া করি তারা যেন আগামীতে আরও বেশি বেশি করে তারা যেন মানুষের মাঝে ইফতার দিতে পারে।

আব্দুল জলিল নামে একজন বলেন, প্রথম রমজানেও তারা আমাদেরকে ইফতার দিয়েছিল সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার সামনে। আজকেও দিচ্ছে।আমরা তাদের অপেক্ষায় থাকি তারা ইফতার নিয়ে আসা আমরা এখানে বসে ইফতার করতে পারছি।

সংগঠনটির সমন্বয়ক দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘২০২০ সালে সেভ সিলেট’র যাত্রা শুরু। আমাদের ২৬৩ প্রজেক্ট রয়েছে। তার মধ্যে সরাইখানা একটি অন্যতম প্রজেক্ট। এই সরাইখানার মাধ্যমে আমরা মানুষের আতিথিয়েতা করি। সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টসহ বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় আমাদের সংগঠনের সদস্যরা ইফতার বিতরণের আয়োজন করেন।’

তিনি বলেন, ‘গত বছর আমরা এক লাখ মানুষের হাসি ফুটিয়েছিলাম ইফতার বিতরণ করে। এবছরও আমরা ১ লাখ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে আমাদের কার্যক্রম প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়েছে।ধারাবাহিকভাবে বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হবে।’

;

সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জাহাজ জিম্মি: অপহৃত সালেহ আহমদকে ফেরত চায় পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ায় দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের  মোহাম্মদ সালেহ আহমদ রয়েছেন। তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত ছিলেন। সালেহ ওই গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে। সে পরিবারে চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। 

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ পরিবারটি।

স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, বুধবার সকাল সাতটার দিকে অপহৃত সালেহ অজ্ঞাতনামা একটা ফোন থেকে কল করেন।  এরপর প্রায় দুই মিনিট ধরে এই কলে তিনি তার জন্য দোয়া করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। সালেহকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। 

জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে। প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজটিতে উঠে নাবিকদের জিম্মি করে রেখেছে। এই ২৩ জন জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে দুই জনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে মো. আনোয়ারুল হক রাজুর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।

এদিকে, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর গ্রামের বাড়িতে এ খবর পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছে।  

নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার জানান, রাজু গত সাত বছর ধরে জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করছে। গত বছর জুলাই মাসে সে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলো। সর্বশেষ চার মাস আগে সে পুনরায় জাহাজের কাজে যোগ দেয়।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের এডেন উপসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। তারা জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ছিল।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *