‘পাটকে কাজে লাগাতে বঙ্গবন্ধুই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন’
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার পর বাংলাদেশ আর এগোতে পারেনি। আমাদের সম্পদ সীমিত। এটাকে কাজে লাগাতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই পাটকেও কাজে লাগাতে বঙ্গবন্ধুই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জাতীয় পাট দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার পর বাংলাদেশ আর এগোতে পারেনি। আমাদের সম্পদ সীমিত। এটাকে কাজে লাগাতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই পাটকেও কাজে লাগাতে বঙ্গবন্ধুই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন। পাট আমাদের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারে। পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট যেমন কৃষিপণ্য অন্যদিকে এটি ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামাল। কিন্তু এটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। পাটের কোনো কিছুই ফেলা যায় না। পাটের সব কিছুই কাজে লাগে। কৃষক যে ক্ষেতে পাট চাষ করে, সেটায় আবার ধান চাষ করে। কারণ পাট পাতা পচে মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
তিনি বলেন, রফতানিযোগ্য পাট পণ্যের উৎপাদনে সবাইকে মনোযোগী হতে হবে। নতুন পণ্য আবিষ্কার ও নতুন বাজার তৈরির দায়িত্ব আপনাদের। পাট পণ্যকে বহুমুখী এবং কী তৈরি করা যায়, রপ্তানির চাহিদা কোন কোন পণ্যের বেশি, সে বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার। সোনালী আঁশ সোনার বাংলা গড়ে তোলায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। পাটের বহুমুখী উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাট কৃষিপণ্য আবার শিল্পের কাঁচামাল। রফতানিও হয়। এটি কৃষিরও প্রণোদনা পায় না, আবার রফতানিরও প্রণোদনা পায় না। আমি পরিবেশবান্ধব এ পণ্যটিকে কৃষিজাত ও রফতানিমুখী পণ্যের স্বীকৃতি এবং প্রণোদনা দেব।
তিনি বলেন, অনেক পাটকল অলাভজনক ছিল। সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দিয়েছি। সম্পূর্ণ নগদ টাকা হাতে দেইনি। পারিবারিক সঞ্চয় করে দিয়েছিলাম
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের জন্ম রহস্য উদ্ভাবন করেছি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করে। আমি তাদের সুযোগ করে দিয়েছি। এতে পাটের জন্ম রহস্যের উদ্ভাবন হয়েছে। তাতে পাটের গুরুত্ব বেড়েছে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার হয়। পাটের ফার্নিচার ও আসবাবপত্র বানানো যায়। গাছের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়েছে। এটি পরিবেশবান্ধব পণ্য হওয়ায় আমাদেরও সুযোগ বেড়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে পারলে রফতানির পথ সুগম হবে। রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।