বিনোদন

বুয়েট ছেড়ে যে কারনে শান্তিনিকেতনে যান সাদি

ডেস্ক রিপোর্টঃ  

বাবা-মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী ১৯৭৩ সালে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন সাদি মহম্মদ। তবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মন বসাতে পারেননি। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালীন ১৯৭৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে শান্তিনিকেতনে সংগীত নিয়ে পড়তে যান। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেই থেকে শুরু পথচলা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন এই বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী।

এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদ বলেছিলেন, ‘সব ধরনের গান ভালো লাগে। কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি আমার তৃষ্ণা চিরন্তন।’ 

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সর্বশক্তিমান তার সৃষ্টির মধ্যে বাস করেন। অন্যকে ভালোবেসে যে কেউ তার নেয়ামত পেতে পারেন। ফলে কেউ আমার সঙ্গে প্রতারণা করলে আমি মাথা ঘামাই না। আমার দৃষ্টিতে যে ব্যক্তি প্রতারণা করেছে তিনি আসলে নিজের সাথে প্রতারণা করেছেন।’

বর্ষা ও বসন্তের গান পছন্দ করতেন সাদি মহম্মদ। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা দেখার কথাও বলেছেন। উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের সিনেমা ছাড়াও হলিউডের ‘দ্য বাইসাইকেল থিফ’, ‘রোমান হলিডে’ ছিল তার বেশ পছন্দের। এ ছাড়া বই পড়তেন। প্রিয় লেখকদের একজন ছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস পছন্দ করতেন।

রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আধুনিক গানসহ সাদি মহম্মদের প্রকাশিত মোট অ্যালবামের সংখ্যা ষাটটিরও বেশি। ২০১৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *