ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ১৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু শঙ্কা
ডেস্ক রিপোর্ট: ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ১৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত
লিবিয়া থেকে কয়েকটি ডিঙ্গি নৌকায় ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবে অন্তত ৬০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেঁচে যাওয়াদের বরাতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) একটি দাতব্য উদ্ধারকারী গোষ্ঠীর অপারেটর এই শঙ্কার কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এসওএস মেডিটেরিয়ানি বলেছে, বুধবার ইতালির কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ২৫ জনকে দুর্বল অবস্থায় উদ্ধার করেছে গোষ্ঠীটি। দুই অচেতন ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে সিসিলিতে নেওয়া হয়েছে। বাকি ২৩ জনের অবস্থাও গুরুতর।
ধারণা করা হচ্ছে, ইতালি বা মাল্টার উদ্দেশে লিবিয়া থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা রওনা দিয়েছিল।
অভিবাসনের জন্য বিশ্বের ভয়াবহতম প্রাণঘাতী রুটে পরিণত হয়েছে মধ্য ভূমধ্যসাগর। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর তথ্য অনুসারে, গত বছর এই রুটটি পাড়ি দিতে গিয়ে আড়াই হাজার অভিবাসীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা ২২৬ জন।
এসওএস মেডিটেরিয়ানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে, জীবিতরা লিবিয়ার জাবিয়া থেকে রওনা দিয়েছিল। সাত দিন পর তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। যাত্রা শুরুর তিন দিন পর তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে নৌকা সাগরে ভাসতে থাকে। তাদের পানি ও খাবার ছাড়া থাকতে হয়েছে কয়েক দিন। জীবিতরা জানিয়েছে, যাত্রাপথে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও অন্তত এক শিশু রয়েছেন।
এসওএস মেডিটেরিয়ানির মুখপাত্র ফ্রান্সেস্কো ক্রিয়েজো বলেছেন, বেঁচে যাওয়া সকলেই পুরুষ, তাদের মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা সেনেগাল, মালি এবং গাম্বিয়া থেকে এসেছিল।
ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সিনেটর শুমারের
ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পথ হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করে মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১৪ মার্চ) সিনেটে বক্তৃতাকালে শুমার এ আহ্বান জানান।
মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার ইহুদি কর্মকর্তা। তিনি ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ইসরায়েল সর্বোত্তম স্বার্থের চেয়ে তার রাজনৈতিক বেঁচে থাকাকে প্রাধান্য দেওয়ার অনুমতি দিতে এসেছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজায় বিপুল বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ইসরায়েলকে তার মিত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পরিণত করেছে।
শুমার বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই অবশ্যই সংশোধন হতে হবে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের আরও ভালোভাবে সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ইসরায়েলের জনগণের নেতা বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে শুমার বলেন, ইসরায়েলের ভবিষ্যত নিয়ে নতুন করে বিতর্ক হওয়া দরকার।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির জন্য শুমার বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকেও পদত্যাগ করতে হবে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। কারণ যারা হাসপাতালে পৌঁছায়নি তারা অন্তর্ভুক্ত নয়, তাদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ এখনও ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিয়ে গেছে। সূত্র: বিবিসি।
;
হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ির পথে মমতা
ছবি : সংগৃহীত
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রথমে হাসপাতালের কেবিন থেকে বের করে হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম লাগোয়া বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসের ওপিডি বিল্ডিংয়ে। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তাকে বের করা হয়।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে নিজের গাড়িতেই কালীঘাটের পথে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক।
হাসপাতাল থেকে বের করার সময়ে হুইল চেয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা সামনের দিকে কিছুটা ঝোঁকানো ছিল। তিনি কখনও চোখ বন্ধ করছিলেন, কখনও তাকাচ্ছিলেন। আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাকে ঘিরে ছিলেন চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মীরা।
বাঢ়ি ফেরার সময় গাড়ির সামনের আসনেই বসেছেন মমতা। তার সঙ্গে রয়েছেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। পেছনের আসনে বসেছেন অভিষেক। গাড়ি থেকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত জোড় করতে দেখা যায় তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভিষেক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে নিজের বাসভবনে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যান মমতা। এ সময় তার কপালে চোট লাগে।
তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রীর রক্তাক্ত অবস্থার ছবি পোস্ট করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, মমতার কপালের ঠিক মাঝখানে কেটে গেছে।
;
‘গরুর মাংসের চাল’ তৈরি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
ছবি: সংগৃহীত
গরুর মাংস এবং ধানের সমন্বয়ে নতুন এক ধরনের হাইব্রিড চাল উদ্ভাবন করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকরা।
গবেষকরা বলছেন, প্রোটিন সমৃদ্ধ এ চাল টেকসই, সাশ্রয়ী মূল্য এবং পরিবেশবান্ধব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী ম্যাটারে এ বিষয়ক একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সিউলের ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হং জিন-কি। তিনিই প্রথম ‘গরুর মাংসযুক্ত চাল’ নামে এ খাদ্যের উদ্ভাবন করেন। ধানের ভেতরে গরুর পেশী এবং চর্বির সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এই গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রথমে কোষের বৃদ্ধির জন্য ধানের দানার ওপর এনজাইমের প্রলেপ দেন। তারপর বোভাইন কোষের সাথে সংমিশ্রণের মাধ্যমে এ হাইব্রিড চাল উৎপাদন করা হয়।
অধ্যাপক হং জানান, নতুন চালে উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়মিত চালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং ৭ শতাংশ বেশি চর্বি রয়েছে। এতে প্রায় ১৮ শতাংশ প্রোটিন প্রাণীভিত্তিক এবং এ চাল অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
গবেষণায় কাজ করা বিজ্ঞানীরা বলছেন, সয়া বা বাদামের তুলনায় এই চাল অনেক বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং এটি শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করবে না।
গবেষকরা আরও জানান, এ চাল যদি সফলভাবে কার্যকর করা যায় তাহলে এটি টেকসই প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে এমন পরিবেশে যেখানে পশুপালনের ব্যবহার কম।
অধ্যাপক হং বলেন, প্রতি কিলোগ্রাম চালের মূল্য ২ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২০ টাকা)। এ পণ্যটি মুদি দোকানে পাওয়া যেতে পারে।
তবে প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এর স্বাদ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলেও জানান এই গবেষক।
সম্প্রতি সিউলের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় এই চালের নমুনা নিয়েছিলেন রেস্তোরাঁটির মালিক ডিনার কেউম ডং-কিউ। তিনি এটিকে নতুন উদ্ভাবন হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এটি গরুর মাংসের স্থান দখল করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন না।
জার্মানির পর্যটক ক্রিশ্চিয়ান ক্রামেল এটিকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটিকে এখনও গরুর মাংসের সাথে তুলনা করা যায় না। তবে আমি যেহেতু গবেষণাটি প্রাথমিক পর্যায়ে দেখছি, আমি বলব এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন।
;
দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে ভোট দেওয়ার আহ্বান পুতিনের
ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশবাসীর তাদের দেশপ্রেম দেখানোর জন্য আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সম্প্রচারিত এক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘আমি আপনাদের ভোট দিতে এবং আমাদের প্রিয় রাশিয়ার ভবিষ্যতের জন্য দেশপ্রেমিক ও নাগরিক কর্তব্য পালনের আহবান জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মানে আপনার দেশপ্রেমের অনুভূতি প্রদর্শন করা।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়ায় আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে পুতিন আবারো ছয় বছর মেয়াদের জন্যে দেশটির ক্ষমতায় ফিরবেন বলে অনেকটাই নিশ্চিত। শতাব্দীর শুরু থেকেই তিনি রাশিয়া শাসন করে আসছেন।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার (১৩ মার্চ) বলেছেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাহত করতে দেশটির ভূখণ্ডে হামলা জোরদার করেছে।’
দুই বছরেরও বেশি সময় আগে মস্কো ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে রাশিয়া এ সপ্তাহে তাদের ভূখণ্ডে সবচেয়ে বেশি হামলার সম্মুখীন হয়েছে।
রাশিয়ার রিয়া-নভোস্তি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে পুতিন বলেছেন, ‘আমার কোনও সন্দেহ নেই যে ইউক্রেনের এসব হামলার মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ব্যাহত করা।’
অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের জন্য একদম প্রস্তুত!’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে যদি তার দেশের সেনা পাঠায়, তাহলে রাশিয়া কৌশলগত যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত। ইউক্রেনে সেনা পাঠানোকে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করবে।’
বুধবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স পুতিনের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে এ খবর প্রকাশ করে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বুধবার পুতিন বলেছেন, ‘দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষায় রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমি আশা করি, পরমাণু যুদ্ধের উস্কানিকে এড়িয়ে চলবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেটি না হলে রাশিয়াকে পরমাণু যুদ্ধের জন্য বাধ্য করা হবে।’
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।