সারাদেশ

হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভাল চলছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট দ্বারা জিম্মি না ব্যর্থ? এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভাল চলছে। সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজকে শুধু ডলারের দাম না…. সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বে বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে শান্তিতে রাখতে পারবো। অন্যেরা ভাল নেই, আমরাও ভাল নেই। সবাই একযোগে ভাল থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে।

পরিবহনের চাদাবাজির বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের চাদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন না। তবে এ চাদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এই চাদাবাজি টা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এই কথা আমি বলবো না। এটা চলে আসছে। এই কালচারটা হঠাৎ করে বন্ধ করা যায় না। নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

বাংলাদেশে পরিবহনের চাদাবাজি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনি কি বাংলাদেশ কে আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য ভাবেন নাকি?

একজন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বলেছে ড.ইউনুস কে যে হয়রানি করা হচ্ছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্টের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার চেষ্টা চলছে। ডক্টর ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে এই মর্মে মন্তব্য করা হয়েছে। বলছে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে, কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি তার কৃতকর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার উপরে বাইরের কারো তো কোন কিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না।

এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্টের উপর এতগুলো চার্জ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে মামলায় হাজির হচ্ছেন। তো সেখানে রেজাল্ট কি হবে রায় হবার আগে তো আমরা বলতে পারছি না। সেখানে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে মামলা চলছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কি? বন্ধুত্ব এক জিনিস। এখানে কারো স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে যিনি দোষী সাব্যস্ত হবে লন সেটাকে হয়রানি বলা কি ঠিক হবে?

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *