আন্তর্জাতিক

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনাকে ‘অবাঞ্ছিত’ বলল ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে রাখার হুশিয়ারি ও  সমালোচনাকে ‘অবাঞ্ছিত’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত। এই আইন পাস করার সময় থেকেই দেশে–বিদেশে এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা হয়ে আসছে।

এদিকে বিক্ষোভ ও চাপের মুখে আইনটি স্থগিত রাখার আবেদন গ্রহণ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আইন চালু হওয়ার পর দেশের জনগণের পাশাপাশি নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। শুক্রবার (১৫ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মামলা গ্রহণ করে ১৯ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেন।

শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের বিতর্কিত সিএএ চালু পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র   

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক প্রশ্নের উত্তরে এই বিষয়ে তার দেশের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ১১ই মার্চ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই আইন কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান এবং সকল সম্প্রদায়ের জন্য আইনের অধীনে সমান আচরণ মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।’

যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার উত্তর দিতে অবশ্য দেরি করেনি ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে যা বলেছে তা না জেনে বলেছে। ওই মন্তব্য অবাঞ্ছিতও। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। কেড়ে নেওয়ার নয়। যারা রাষ্ট্রহীন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া, মানবিক অধিকার ও মর্যাদা দেওয়া এর লক্ষ্য। মুখপাত্র জানান, মানবাধিকার রক্ষায় ভারতের ঐতিহ্য চিরকালীন। এ জন্য ভারত দায়বদ্ধও। সবচেয়ে বড় কথা এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো জাতিসংঘও এই আইনকে ‘মৌলিক দিক থেকে বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস রয়টার্সকে বলেছে, ‘আমরা সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন। চরিত্রগতভাবে এ আইন বৈষম্যমূলক। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতা ভঙ্গ করছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে এটা বলবৎ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনিও হুশিয়ারি দেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *