সারাদেশ

চবিতে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ডেস্ক রিপোর্ট: চবিতে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহ জালাল হলে রুমের সিলিং ভেঙে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছে শাহ জালাল হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন উপগ্রুপের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের পর শাহজালাল হলের এক্সটেনশনের ব্লক ১/৭ নং কক্ষে সিলিং ভেঙে পড়ে আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর পর পরেই হলের শিক্ষার্থীরা হল গেইটে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের পদত্যাগ ও হল সংস্কারের নানা দাবি জানান।

আন্দলনরত ২০২০-২১ সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান তৌকির বলেন, আমাদের কয়েকজন বন্ধুরা দুপুরে রুমে বসে ছিলো। এসময় উপর থেকে সিলিং খুলে পড়ে। সে সজাগ থাকা সত্ত্বেও হাতে ও পেটে আহত হয়। এর আগেও আশেপাশের রুমের সিলিং খুলে পড়েছে। রুমগুলোর দরজা ভাঙা, ওয়াশরুমের বিশ্রী অবস্থা। আমরা এসব নিয়ে বারবার প্রশাসন কে জানিয়েছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছে—আমরা দিয়েছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আর হলে নামমাত্র একজন প্রভোস্ট আছেন কিন্তু তাকে কখনো দেখা যায় না। তাই আমরা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি।

২০১৮-১৯ সেশনের ফাহিম খান বলেন, আমাদের হলের নানামুখি সমস্যা নিয়ে আমরা অনেকবার প্রভোস্টের নিকট দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি মুখে আশ্বাস দেয়া ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করেননি। প্রভোস্ট উনাকে আমরা শেষ কবে হলে দেখেছি তা আমাদের মনে নেই। আমাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব হল প্রভোস্টের পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন ছাত্রবান্ধব প্রভোস্ট নিয়োগ দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা ঘন্টাখানেক আন্দোলন করলেও হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও হলটির আবাসিক শিক্ষকদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলনকারীরা সরে যান।

হলটির আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাখন চন্দ্র রায় বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া শুনেছি। তাদের দাবিদাওয়া পুরণের জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি।

শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষকে ও সহকারী প্রক্টর নাজমুল আলম মুরাদ বলেন, তারা হল সংস্কারসহ (শিক্ষার্থীরা) অনেকগুলো দাবি জানিয়েছে। আমরা উপাচার্যের কাছে তাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। দ্রুতই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার অপচেষ্টা ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ এবং সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সংগঠনের সভাপতি আল-সাদী ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি এক যৌথ বিবৃতিতে বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তারা অবিলম্বে ১০ সাংবাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতেরও দাবি জানিয়েছেন। 

ডিআইইউ প্রশাসন নিজেদের অন্যায়-অপকর্ম ধামাচাপা দিতে স্বাধীন সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।

ডিআইইউ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সাংবাদিক সমিতির ১০ সাংবাদিক-শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে   বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, ২০২০ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণে এর আগেও বেশ কয়েকবার ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতি বন্ধের পাঁয়তারা করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৩ মার্চ) সমিতির নতুন কমিটি গঠনের পর এর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ও সংশ্লিষ্ট ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ডিআইইউ প্রশাসন। সাংবাদিক সমিতির মতো একটি পেশাজীবী সংগঠনের শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও নজীরবিহীন। এ ঘটনা দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে অত্যন্ত খারাপ উদাহরণ তৈরি করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সমিতির বন্ধের নির্দেশ এবং শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে ডিআইইউ প্রশাসন ক্যাম্পাসকে চূড়ান্তভাবে সাংবাদিক শূন্য করে অন্যায়-অপকর্মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সাংবাদিকরা নৈতিক ও পেশাগত দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি কোনো অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অন্যায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা সংবিধান স্বীকৃত সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ধারণার পরিপন্থী ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের নামান্তর।

তারা বলেন, দেশের অন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে প্রশাসন কর্তৃক সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হলেও ডিআইইউ কর্তৃপক্ষের ধৃষ্টতাপূর্ণ এমন আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অনভিপ্রেত। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া অন্যায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করবেন এবং সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দেশের অন্য ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোরতম কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা হলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কালাম মুহাম্মদ (এশিয়ান টিভি), সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক (একুশে সংবাদ), সহসভাপতি সাদিয়া তানজিলা সানভি (দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী (রাইজিংবিডি), সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ (দৈনিক ভোরের ডাক), দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম (দৈনিক আমার সংবাদ/ক্যাম্পাস টাইমস), কোষাধ্যক্ষ জাকারিয়া হুসাইন (বার্তা বিচিত্রা) ও কার্যনির্বাহী সদস্য সম্রাট (প্রিয়দেশ২৪), ইসমাম হোসেন (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও মুছা মল্লিক (ঢাকা পোস্ট)।

;

ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, শাস্তির দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তির দাবি জানায় তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল রমজান উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে ‘প্রোডাক্টিভ রামাদান’ নামক আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা৷ এতে আইন বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন সাত শিক্ষার্থী।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) একটি যৌথ বার্তায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমাল্লার বসু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সংগঠক মাহফুজ সরকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক মোঃ সাজিদ- উল- ইসলাম ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক নায়েম উদ্দিন। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শুধু ধর্মীয় আয়োজন নয়, ফ্যাসিবাদী শাসনে নাগরিক জীবনের প্রতিটি আয়োজন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। রমজান মাসে আরেক দফা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী যেমন নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আয়োজন পালন করতে পারছেন না, তেমনি ভিন্ন ধর্ম ও মতাবলম্বী প্রতিটি নাগরিকের স্বাভাবিক জীবনযাপনও ব্যাহত হচ্ছে৷ নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নটিও নিছক কোনো একক ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিষয় নয়, বরং তা জনগণের সামষ্টিক গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়েরই অংশ। সমস্ত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নের সংস্কৃতি উৎখাত করতে হবে৷

বিবৃতিতে হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং অবাধ গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণে প্রতিটি হল ও ডিপার্টমেন্টে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

;

কুবির পাঁচ অনুষদে নতুন ডিন

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পাঁচটি অনুষদে নতুন ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সিন্ডিকেটের ৯১ তম জরুরি সভা শেষে এক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্যাহ, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন হিসেবে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ দেবনাথ এবং প্রকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান।

এছাড়া সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্লাহ ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস।

;

ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন আইন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতাহের ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন আইন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিকা তাহসিনা।

মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আজকে আমাদের যে ছেলেদের মারা হয়েছে তাদেরকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মারা হয়েছে। এই রাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন না। যাকে মারবেন তিনি শিবির। যেকোনো অন্যায় করলে ঢাকতে দেওয়া হয় শিবির ট্যাগ। আমি খবর নিয়েছি তারা কোন ধরনের রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত নয়। তাদেরকে শিবির করার কারণে মারা হয় নাই। তাদেরকে মারা হয়েছে ইসলামী ধর্মচর্চা করার জন্য। বাংলাদেশের মুসলমানরা নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে মার খাবে এটার জন্যই কি আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলাম?

এসময় তিনি ছাত্রলীগের শীর্ষ পদধারী নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আজকে যারা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আছে তাদের সবাই আইন বিভাগের ছাত্র। আমি তোমাদের কাছে শিক্ষক হিসেবে আপিল করছি। তোমরা কি মনে করো নিরীহ ছেলেদেরকে ইসলামী মাহফিল করার জন্য বহিরাগত ছাত্রলীগের গুন্ডারা এসে তাদেরকে রক্তাক্ত করার অধিকার রাখে। তাদের রক্তাক্ত চেহারা দেখে তোমাদের মনে কি কোন উদ্রেক হয় না? তোমাদের কাছে আমি আপিল করলাম এই গুন্ডাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করো।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, আমরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই বহিরাগত ছেলেরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের মেরে যায় আপনাদের কি কোনো দায়-দায়িত্ব নেই? আজকে যারা সংবিধান পড়ছে ছাত্রলীগের গুন্ডারা তাদের কাছে কি বার্তা দিয়ে যাচ্ছে?

এ সময়, হামলার শিকার হওয়া ভুক্তভোগী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, আমাদের এই প্রোগ্রামে হামলা হবে আমরা ভাবতেও পারিনি। বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস বলে আমরা যেটাকে মনে করি সেখানে বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতারা এসে আমিসহ আমার সহপাঠিদের ওপর হামলা করে রক্তাক্ত করেন। আমরা জানি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যারা আছেন তারা আমাদের বিভাগের। তাদের বিভাগের শিক্ষার্থী হয়েও যদি আমরা এভাবে নেক্কারজনক হামলার শিকার হতে হয় আর তারা তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমরা কীভাবে তাদেরকে সিনিয়র ভাই মনে করব? হামলকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান সাফওয়ান।

উল্লেখ্য, এ মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠিদের হামলার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ পরে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘ঢাবি প্রশাসন কি মেরুদন্ডহীন?’, ‘আইন কোথায়’, ‘ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক’, ‘ক্যাম্পাসে প্রক্টরের কাজ কি?’ লেখা প্লেকার্ড দেখা যায়। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এ হামলার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে ঢাবি এলাকায় বঙ্গবন্ধু টাওয়ার মসজিদে ‘প্রোডাকটিভ রামাদান’ নামে একটি সেমিনারের আয়োজন করেন আইন বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় ওই টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক এসে চলে যেতে বলে। তারা চলে যাওয়ার এক পর্যায়ে শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন তাদের হুমকি দেন এবং দলবল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে আহত হন ঢাবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আজাদ তুর্য, শাহিনুর আলম রাসেল, রাফিদ হাসান সাফওয়ান, ফাহিম দস্তগীর, রেজোয়ান আহমেদ রিফাত।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *