সারাদেশ

যানজটের নগরীতে মেট্রোরেলে যাত্রা স্বপ্নের মতন

ডেস্ক রিপোর্ট: যানজটের নগরীতে মেট্রোরেলে যাত্রা স্বপ্নের মতন

ছবি: বার্তা২৪.কম

যানজটের নগরী রাজধানী ঢাকা। যে নগরীতে যানজটের তীব্রতা এতোই যে সামান্য দূরত্ব পা‌ড়ি দিতে পার হয়ে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তবে এই যানজটের শহরে দীর্ঘ ২০ কিলে‌মিটারের বে‌শি দূরত্ব উত্তরা থেকে ম‌তি‌ঝিল মাত্র ৩০ মিনিটের কিছু বে‌শি সময়ে পাড়ি দিতে পেরে অনেকটায় স্বপ্নের মতন বলে জানান মেট্রোরেলে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ম‌তি‌ঝিল মেট্রো স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের মধ্যে উচ্ছ্বসিত এমন চিত্র দেখা গেছে। এতো অল্প সময়ে এই দীর্ঘপথ পা‌ড়ি দেওয়া স্বপ্নের মতো লাগছে বলে জানান তারা।

চাক‌রির সুবাদে কাজীপাড়া স্টেশন থে‌কে মেট্রোতে চেপে ম‌তি‌ঝিল এসেছেন আনোয়ার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা হয় ম‌তি‌ঝিল মেট্রো স্টেশনের ভেত‌রে। আন‌ন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ভাব প্রকাশ করে তি‌নি বলেন, ভাই এতো অল্প সময়ে ম‌তি‌ঝিলে চলে আসবো কখনও ভা‌বিনি। যানজটের এই শহরে মেট্রোরেলে এই যাত্রা আসলেই স্বপ্নের মতন।

তি‌নি বলেন, আমার অ‌ফিস ম‌তি‌ঝি‌লে। আগে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলের কারণে এই সু‌বিধাটা পাই‌নি। আগে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে অ‌ফিসে আসার যে দুর্ভোগ সেটার অবসান হ‌লো।

উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ম‌তি‌ঝিলে এসেছেন মাহবুবুর রহমান। ব্যাংক পাড়ায় চাক‌রি করেন তি‌নি। মাহবুব বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাধারণত অ‌ফি‌সের গা‌ড়িতে আ‌মি চলাচল ক‌রি। কিন্তু আজকে অবরোধের কারণে গা‌ড়ি বের ক‌রেনি। তাই ভাবলাম আজ মেট্রো‌তেই অ‌ফিসে আসবো। কিন্তু মেট্রো‌রেলে চেপে এতোটা সু‌বিধার সঙ্গে অল্প সময়ে চলে আস‌বো এটা বিশ্বাস ক‌রতে কষ্ট হ‌চ্ছে। কারণ এই শহরে সরকা‌রি বন্ধের দিনও নিজের গা‌ড়ি নিয়ে এতো কম সময়ে এতোদূর আসা সম্ভব না।

আগারগাঁও থে‌কে ম‌তি‌ঝি‌লে এ‌সে‌ছেন শিকদার রা‌ব্বি। তি‌নি ব‌লেন, একটা কা‌জে ম‌তি‌ঝি‌লে এ‌সে‌ছি। অব‌রো‌ধে গা‌ড়িও ঠিকঠাক চল‌ছে না। আর যেগু‌লো চল‌ছে সেগু‌লো‌তেও মানুষের ভিড়। তাছাড়া অব‌রো‌ধে পাব‌লিক প‌রিবহ‌নে চলাচল করা রিস্কও আ‌ছে। সবকিছু ভে‌বেই মে‌ট্রো‌রে‌লে উ‌ঠে‌ছি। কোন ঝা‌মেলা ছাড়াই অ‌নেক সহজে সুন্দরভা‌বে চ‌লে এ‌সে‌ছি।

কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন নিয়ে যাচ্ছেন যারা…

লোকোমাস্টার মাহফুজুর রহমান ও সহকারী লোকোমাস্টার রোকন মিয়া

মাথায় ক্যাপ। গায়ে দুধসাদা রঙের ইউনিফর্ম। তার ওপরে লাল টাই। শান্ত, সৌম্য চেহেরার মাহফুজুর রহমানের মুখটা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল হাসির প্রলেপে। এই একগাল হাসির কারণ একটাই- কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন যাচ্ছে, আর সেটি চালানোর সুযোগ যে পেয়েছেন চল্লিশ ছুঁইছুঁই বছরের এই তরুণ। অনুভূতি তাই আকাশসম।

বাতাসজুড়ে শীতের গন্ধ আনাগোণা করছে কদিন ধরে। সেই শীত শীত আবহাওয়া ভেদ করে ঘড়ির কাটা ৯টা ২ মিনিটে ছুঁতেই বেজে উঠে হুইসেল। সবাই উঠে আসনে বসতেই ঝিকঝিক করে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে পর্যটননগরীর পথে ছুটল প্রথম ট্রেন। অবশ্য এটা কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন নয়, নয় ট্রায়াল ট্রেনও। দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথের সবকিছু ঠিক আছে কিনা সেটি যাচাই করতেই রোববার (৫ নভেম্বর) এই পরিদর্শন ট্রেন চালানো হচ্ছে। আর সেই ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মাহফুজুর রহমান।

বন্দরনগরী থেকে পর্যটনের শহরে প্রথম ট্রেন চালিয়ে নিচ্ছেন, অনুভূতি কেমন-এমন প্রশ্নেই মাহফুজুর রহমানের মুখে হাসির ঢেউ। সেই হাসি কিছুটা প্রশমিত হতেই মুখে যেন এবার ফুটল কথার খই। বলতে থাকেন, ‘প্রথম সবকিছু তো এমনিতেই দারুণ। সেই প্রথমের শুরুটা যদি আমাকে দিয়ে হয়, ভেবে দেখুন অনুভূতিটা কতটা সুন্দর হয়। সেই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা আসলে আমার নেই।’

ময়মনসিংহের সন্তান মাহফুজুর রহমান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। তবে লোকো মাস্টার হিসেবে ট্রেন চালাচ্ছেন ২০১৪ সাল থেকে। এর আগে সহকারী লোকো মাস্টার ও সাব লোকো মাস্টার ছিলেস। এর আগে কিছুদিন আগে আকাউড়া থেকে আগরতলায় যে ট্রেন গেছে সেটির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন মাহফুজুর।

মাহফুজুর রহমান সেই সব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আকাউড়া-আগরতলা ট্রেন নিয়ে গেছি। এবার কক্সবাজারে যাচ্ছি। এসব ছোট ছোট ভালো লাগার অভিজ্ঞতাই তো সারাজীবনের সঞ্চয়।’

মাহফুজুর রহমানকে সহযোগিতা করছেন সহকারী লোকো মাস্টার রোকন মিয়া। এই তরুণের মুখ জুড়েও খেলা করছিল হাসি। ২০১৭ সালে রেলওয়েতে যোগ দেয়া রোকন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বহু ট্রেনেই কাজ করেছি। তবে এবার এমন একটা গন্তব্যে যাচ্ছি, যেখানে সবাই বছরে একবার হলেও যেতে চান। আর সেই কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন নিয়ে যাওয়ার পেছনে আমারও অবদান আছে, এটা তো আমার জন্য গর্বের।’

রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদের নেতৃত্বে রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-প্রকৌশলীরা এই পরিদর্শন

ট্রেনে আছেন। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ৮টি বগি নিয়ে ছাড়া এই ট্রেন দোহাজারী হয়ে পৌঁছে যাবে পর্যটন শহর কক্সবাজারে।

৯টা ২ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়া ট্রেনটি ৩১ মিনিটেই পৌঁছে যায় কালুরঘাট সেতুতে। তিন মিনিটে সেই সেতু পার হওয়ার পর থামে ট্রেনটি। পরে আধাঘণ্টা ধরে পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদসহ অন্য কর্মকর্তারা সেতুটি পরিদর্শন করে নানা বিষয় যাচাই করেন। পরিদর্শন শেষে ট্রেনটি ছুঁটতে থাকে কক্সবাজারের পথে। চলতি পথে সড়কের দুই দিকে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বাসিত মানুষ হাত নেড়ে নেড়ে দিতে থাকেন অভিবাদন।

সেই অভিবাদনের প্রথম ছোঁয়াটা তো পাচ্ছেন দুইজনই। নামগুলো আগেই বলা হলো-লোকো মাস্টার মাহফুজুর রহমান আর সহকারী লোকো মাস্টার রোকন মিয়া!

;

জলাবদ্ধতায় নতুন কৌশলে সবজি উৎপাদন

ছবি: বার্তা২৪.কম

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা বছরের ৬ মাসই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। তবুও থেমে নেই এসব এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা।

ফলে এখানকার মানুষরা জলাবদ্ধতাকেই কাজে লাগিয়ে নতুন এক কৌশলে সবজি আর চারা উৎপাদন করছেন। জলাবদ্ধতার অভিশাপ এখানকার মানুষের কাছে আশীর্বাদ হিসেবে ধরা দিয়েছে।

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বের এলাকা বৈঠাকাটা, দেউলবাড়ি, দোবরা, কলারদোয়ানিয়া, মুগারঝোর। বছরের ৬ মাসই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এসব এলাকায় সড়ক পথে আপনি অনেকটা যেতে পারলেও মূল সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে নৌকা কিম্বা ট্রলারে করে বিলের মধ্যে যেতে হবে।

এক সময় এ এলাকার প্রায় ১১ হাজার একর জমির মধ্যে প্রায় ৭ হাজার একর জমিই ছিল অনাবাদী। কিন্তু বর্তমানে এলাকার প্রায় ১০ হাজার পরিবার কান্দিবের ও ধাপ তৈরির মাধ্যমে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজির চারা চাষ শুরু করেন। দুই শত বছরের এ ইতিহাসে কিছুটা আধুনিকতা পেলেও ততটা প্রসার পায়নি।

তবে থেমে নেই এ এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। এক সময় যাদের জীবন কেটেছে অভাব আর দারিদ্রতায়, মেধা আর পরিশ্রমে আজ বদলে গেছে তাদের জীবন। ফলে ঘুরতে শুরু করেছে হাজার পরিবারের ভাগ্যের চাকা ।

বর্ষা মৌসুমে এ বিলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভাসমান পদ্ধতিতে শাক-সবজি উৎপাদন দেশের মধ্যে একটি বিরল কৃষি পদ্ধতি। তবে বাদ যাচ্ছে না গ্রীস্মকালও। এ মৌসুমেও পেয়ারা, আখ ও পাটের চাষাবাদ হয় প্রচুর।

নাজিরপুরের দেউলবাড়ী ও দোবরা এবং স্বরূপকাঠীর বলদিয়া ইউনিয়নের ৫টি ব্লকের জমিতে ধাপ কান্দিবের পদ্ধতির চাষবাদ হয়।

বর্তমানে এটি এখন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের একটি অংশ। ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠায় এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এটিকে কেন্দ্র করে উৎপাদন, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মসূচি নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

এ বছর পিরোজপুরের নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলায় ধাপ পদ্ধতিতে ১৫৭ হেক্টর জমিতে ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এসব এলাকায় বছরে উৎপাদিত হয় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ চাড়া। যা বিক্রি করে আয় হয় সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে নৌকায় ওপেন ভোট

ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে রোববার (৫ ন ভেম্বর) সকালে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নৌকার তাণ্ডব। এই আসনের ৯৫ নং কেন্দ্রে আশুগঞ্জ যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও ৯৪ নং কেন্দ্র যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীকে ওপেন ভোট নিচ্ছে নৌকার এজেন্ট ও সমর্থকরা।

ভোটাররা গোপন কক্ষে যেতে চাইলেও নৌকার এজেন্ট ও সমর্থকেরা সেটি দিচ্ছে না। এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সকাল থেকেই নারী ও পুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে আসছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। নেই উৎসবমুখর পরিবেশ।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এই আসনের সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নৌকা সমর্থিতদের তাণ্ডব। ভোটাররা উপস্থিত হলেও গোপন কক্ষে যেতে পারছেন না নৌকার এজেন্ট ও সমর্থকদের কারণে। গোপন কক্ষে না গিয়ে তাদের সামনেই নৌকা প্রতীকে সিল দিতে হচ্ছে। এনিয়ে নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে ভোটারদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সামনে থাকলেও তারা যেন ছিল নির্বিকার। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তার কাছে জানালে তিনি স্টাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম পাঠিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় মোট ভোট রয়েছে ৩ হাজার ১১০ ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোট রয়েছে ৩ হাজার ৪’শ ৬০ ভোট।

যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসার প্রিজাইডিং অফিসার হোসেন মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পাশের রুমে আমি কাজ করছিলাম এসময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে আমি এসে দেখি বাকবিতণ্ডা চলছে। পরে আমি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং টিম খবর দিলে তারা এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় কিছু সমস্যা তৈরি হলে সেখানে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং টিম গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ভোটাররা তাদের ভোট দিচ্ছেন। যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বিষয়টি আমি এখনো কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন গঠিত। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ৯ ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮ ইউনিয়ন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ১১২। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৭ এবং আশুগঞ্জ উপজেলায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ ভোট। উপ-নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩২টি। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

;

গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানে আগুন

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথমদিনে গাজীপুরে মহাসড়কে একটি মালবাহী কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাসের মোরগখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন এলাকার ভোগড়া বাইপাসের মোরগখাল এলাকায় মহাসড়ক দিয়ে চট্রগ্রামগামী একটি মালবাহী কাভার্ডভ্যান যাচ্ছিল। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই গাড়িটিতে পেট্রোল ছুড়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। মূহুর্তেই কাভার্ডভ্যানটি পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের দেয়া খবরে বাসন থানা পুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম জানান, একটি মালবাহী কাভার্ডভ্যানে দুষ্কৃতিকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *