সারাদেশ

প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।

ফেসবুকে শেয়ার করা দীর্ঘ পোস্টে তিনি তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেছেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবন্তিকা তার শেয়ার করা পোস্টে বলেন, “আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি, এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করছে, বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায়, সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে গালি দিয়ে বলে ‘তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেন? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি, তোরে এখন কে বাঁচাবে?’

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিল। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তে থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সে কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না।

আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম।

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ, সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না, কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না, বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।

অভিযোগের বিষয়ে আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উনার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করিনি৷ এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনো জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে মুঠোফোনে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি।

চবিতে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহ জালাল হলে রুমের সিলিং ভেঙে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছে শাহ জালাল হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন উপগ্রুপের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের পর শাহজালাল হলের এক্সটেনশনের ব্লক ১/৭ নং কক্ষে সিলিং ভেঙে পড়ে আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর পর পরেই হলের শিক্ষার্থীরা হল গেইটে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের পদত্যাগ ও হল সংস্কারের নানা দাবি জানান।

আন্দলনরত ২০২০-২১ সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান তৌকির বলেন, আমাদের কয়েকজন বন্ধুরা দুপুরে রুমে বসে ছিলো। এসময় উপর থেকে সিলিং খুলে পড়ে। সে সজাগ থাকা সত্ত্বেও হাতে ও পেটে আহত হয়। এর আগেও আশেপাশের রুমের সিলিং খুলে পড়েছে। রুমগুলোর দরজা ভাঙা, ওয়াশরুমের বিশ্রী অবস্থা। আমরা এসব নিয়ে বারবার প্রশাসন কে জানিয়েছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছে—আমরা দিয়েছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আর হলে নামমাত্র একজন প্রভোস্ট আছেন কিন্তু তাকে কখনো দেখা যায় না। তাই আমরা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি।

২০১৮-১৯ সেশনের ফাহিম খান বলেন, আমাদের হলের নানামুখি সমস্যা নিয়ে আমরা অনেকবার প্রভোস্টের নিকট দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি মুখে আশ্বাস দেয়া ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করেননি। প্রভোস্ট উনাকে আমরা শেষ কবে হলে দেখেছি তা আমাদের মনে নেই। আমাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব হল প্রভোস্টের পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন ছাত্রবান্ধব প্রভোস্ট নিয়োগ দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা ঘন্টাখানেক আন্দোলন করলেও হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও হলটির আবাসিক শিক্ষকদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলনকারীরা সরে যান।

হলটির আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাখন চন্দ্র রায় বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া শুনেছি। তাদের দাবিদাওয়া পুরণের জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি।

শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষকে ও সহকারী প্রক্টর নাজমুল আলম মুরাদ বলেন, তারা হল সংস্কারসহ (শিক্ষার্থীরা) অনেকগুলো দাবি জানিয়েছে। আমরা উপাচার্যের কাছে তাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। দ্রুতই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

;

সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার অপচেষ্টা ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ এবং সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সংগঠনের সভাপতি আল-সাদী ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি এক যৌথ বিবৃতিতে বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তারা অবিলম্বে ১০ সাংবাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতেরও দাবি জানিয়েছেন। 

ডিআইইউ প্রশাসন নিজেদের অন্যায়-অপকর্ম ধামাচাপা দিতে স্বাধীন সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।

ডিআইইউ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সাংবাদিক সমিতির ১০ সাংবাদিক-শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে   বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, ২০২০ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণে এর আগেও বেশ কয়েকবার ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতি বন্ধের পাঁয়তারা করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৩ মার্চ) সমিতির নতুন কমিটি গঠনের পর এর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ও সংশ্লিষ্ট ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ডিআইইউ প্রশাসন। সাংবাদিক সমিতির মতো একটি পেশাজীবী সংগঠনের শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও নজীরবিহীন। এ ঘটনা দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে অত্যন্ত খারাপ উদাহরণ তৈরি করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সমিতির বন্ধের নির্দেশ এবং শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে ডিআইইউ প্রশাসন ক্যাম্পাসকে চূড়ান্তভাবে সাংবাদিক শূন্য করে অন্যায়-অপকর্মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সাংবাদিকরা নৈতিক ও পেশাগত দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি কোনো অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অন্যায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা সংবিধান স্বীকৃত সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ধারণার পরিপন্থী ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের নামান্তর।

তারা বলেন, দেশের অন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে প্রশাসন কর্তৃক সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হলেও ডিআইইউ কর্তৃপক্ষের ধৃষ্টতাপূর্ণ এমন আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অনভিপ্রেত। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া অন্যায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করবেন এবং সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দেশের অন্য ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোরতম কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা হলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কালাম মুহাম্মদ (এশিয়ান টিভি), সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক (একুশে সংবাদ), সহসভাপতি সাদিয়া তানজিলা সানভি (দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী (রাইজিংবিডি), সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ (দৈনিক ভোরের ডাক), দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম (দৈনিক আমার সংবাদ/ক্যাম্পাস টাইমস), কোষাধ্যক্ষ জাকারিয়া হুসাইন (বার্তা বিচিত্রা) ও কার্যনির্বাহী সদস্য সম্রাট (প্রিয়দেশ২৪), ইসমাম হোসেন (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও মুছা মল্লিক (ঢাকা পোস্ট)।

;

ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, শাস্তির দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তির দাবি জানায় তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল রমজান উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে ‘প্রোডাক্টিভ রামাদান’ নামক আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা৷ এতে আইন বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন সাত শিক্ষার্থী।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) একটি যৌথ বার্তায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমাল্লার বসু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সংগঠক মাহফুজ সরকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক মোঃ সাজিদ- উল- ইসলাম ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক নায়েম উদ্দিন। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শুধু ধর্মীয় আয়োজন নয়, ফ্যাসিবাদী শাসনে নাগরিক জীবনের প্রতিটি আয়োজন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। রমজান মাসে আরেক দফা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী যেমন নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আয়োজন পালন করতে পারছেন না, তেমনি ভিন্ন ধর্ম ও মতাবলম্বী প্রতিটি নাগরিকের স্বাভাবিক জীবনযাপনও ব্যাহত হচ্ছে৷ নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নটিও নিছক কোনো একক ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিষয় নয়, বরং তা জনগণের সামষ্টিক গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়েরই অংশ। সমস্ত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নের সংস্কৃতি উৎখাত করতে হবে৷

বিবৃতিতে হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং অবাধ গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণে প্রতিটি হল ও ডিপার্টমেন্টে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

;

কুবির পাঁচ অনুষদে নতুন ডিন

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পাঁচটি অনুষদে নতুন ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সিন্ডিকেটের ৯১ তম জরুরি সভা শেষে এক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্যাহ, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন হিসেবে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ দেবনাথ এবং প্রকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান।

এছাড়া সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্লাহ ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *