সারাদেশ

ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আহত ১

ডেস্ক রিপোর্ট: ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আহত ১

ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আহত ১

ফেনীতে মালবাহী লোবেট ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর বিসিক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ী সাইফুল সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় সিএনিজ চালক মো. রাসেল (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত সাইফুল চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কালী আইশ গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি

পরিবারের অন্যদের সাথে থাকতেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। চৌদ্দগ্রাম বাজারে তার ব্যাটারি ও সিএনজি অটোরিকশা সরঞ্জামের দোকান রয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অভিমুখী সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা লোবেট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুল ইসলাম নিহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, দোকানের মালামাল কেনার জন্য ২ লাখ টাকা নিয়ে ফেনীতে আসছিলেন তিনি। ৩টার সময় বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বলছিলেন, ঘরে ফিরে ইফতার করবেন। সন্ধ্যার পরে হঠাৎ খবর পাই, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক রুহুল মোহসেন সুজন আহত ও নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ মর্গে রয়েছে এবং গুরতর আহত একজনকে কুমিল্লা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

মহিপাল হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার স্থান থেকে একটি সিএনজি ও লোবেট গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। নিহত একজনের মরদেহ মর্গে রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, অতঃপর গ্রেফতার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, অতঃপর গ্রেফতার

পরকীয়া সন্দেহের জেরে নেত্রকোনার সদর উপজেলায় রুবিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী সাইদুল ইসলাম।

শুক্রবার (১৬ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এর আগে বিকেলে পরকীয়া অভিযোগ এনে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে নিজ ঘরে রুবিনাকে কুড়াল দিয়ে এক কোপে হত্যা করেন সাইদুল।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের কাঠপুরা গ্রামে সাইদুল নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি টেংগা গ্রামের মৃত কালাচাঁন মিয়ার ছেলে। অপরদিকে নিহত রুবিনা কাঠপোড়া গ্রামের মৃত আসাদ মিয়ার মেয়ে।

নেত্রকোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম (পিপিএম) বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাইদুলকে আটক করেন। পরে নিহত গৃহবধূ রুবিনা’র ছোটবোন ইয়াসমিন আক্তার দিনগত রাতে দায়ের করা হত্যা মামলায় সাইদুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

;

নীলফামারীতে ‘পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে’ ছোট ভাইকে হত্যা

ছবি: বার্তা২৪.কম

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কলেজছাত্র আওকত হোসেন জুয়েল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাপ মোচন করতে ছোট ভাইকে হত্যা করেছে বলে অভিযুক্ত যুবক মেহেদি হাসান লেমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল। 

নিহত জুয়েল রণচন্ডি ইউনিয়নের উত্তর কুঠিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ও রণচন্ডি স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড়ভাই লিমন দেওয়ানবাগী পীরের মুরিদ। তিনি এক সপ্তাহ আগে স্বপ্নে দেখেন তার পরিবারের লোকজন সবাই জাহান্নামি হবেন। তিনি চাননি তার মা ও ভাই জাহান্নামি হোক। হত্যা করলে তাদের পাপ মোচন হবে। এ জন্য তার ছোটভাইকে মেরে নিজেও মরতে চেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বড় ভাইয়ের হাতে আকয়াত হোসেন জুয়েল (১৭) নামে এক ছোট ভাইকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরে বড়ভাই মেহেদী হাসান লিমন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, রাতে সে তার ছোট ভাইয়ের সাথে ঘুমাতে যায়। পরে ভোর বেলা তার মা নামাজ পড়তে উঠে ছেলের ঘর থেকে শব্দ শুনতে পেয়ে ঘরে গিয়ে ছোট ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। ঘটনার পরে অভিযুক্ত বড় ভাই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এইদিকে ছোট ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

চতুর্থ জাতীয় গণসংগীত উৎসব হবে চট্টগ্রামে

ছবি: বার্তা২৪.কম

আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় গণসংগীত উৎসব। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে বসবে এই উৎসব। এতে সারা দেশের গণসংগীত শিল্পী ও সংগঠনগুলো অংশ নেবে।

উৎসবকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এক প্রস্তুতি সভা চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান। এতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তব্য দেন- উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরও মৌলবাদী শক্তি ফনা তুলছে। মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের মূল অস্ত্র হোক গণসংগীত। গণ সংগীতের মাধ্যমে মানুষকে জাগ্রত করতে হবে। এজন্য জাতীয় উৎসবকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা। তিনদিনের এই উৎসব সবার অংশগ্রহণে জয়যুক্ত হোক।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- উৎসব উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, সমন্বয়কারী মানজার চোধুরী সুইট, যুগ্ম সমন্বয়কারী শ্রেয়সী রায়, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি ফকির সিরাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ফারাহ পলাশ, সহ সাধারণ সম্পাদক আরিফ রহমান, অর্থ সম্পাদক অলক দাশগুপ্ত, প্রচার সম্পাদক তারেক আলী মিলন ও অনুষ্ঠান সম্পাদক আবিদা রহমান সেতু।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা উৎসব নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এসময় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, গণায়নের সাইফুল আলম, উদীচীর সহসভাপতি সুনীল ধর, অনন্য থিয়েটারের সুচরিত চৌধুরী, বোধনের সহসভাপতি সুবর্ণা চৌধুরী, নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থার দীপেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

রাজধানীর ছাপাখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি ঘি পট্টির একটি ছাপাখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টা ৮ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

তিনি জানান, পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি ঘি পট্টির একটি প্রেসে আগুন লেগেছিল। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজারের ফায়ার স্টেশনের ৬টি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি। 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *