সারাদেশ

গাবতলি থেকে ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস, বিপাকে যাত্রীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: গাবতলি থেকে ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস, বিপাকে যাত্রীরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিন চলছে৷ এ দিন সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো দূরপাল্লার বাস। একই চিত্র কল্যানপুর বাস টার্মিনালের। ফলে জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা ছাড়তে চাওয়া যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে গাবতলি বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনাল এলাকায় দূরপাল্লার যাত্রীদের দেখা নেই। 

যাত্রী সংকটের কথা মাথায় রেখে কাউন্টার বন্ধ করেছে অধিকাংশ পরিবহন প্রতিষ্ঠান। 

কিছু পরিবহন প্রতিষ্ঠান তাদের কাউন্টার খোলা রাখলেও যাত্রীর দেখা পাচ্ছেন না। 

এস পি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার ইভেন বলেন, সকাল থেকে একজন যাত্রীও আসেনি। 

সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. মঈনউদ্দীন বলেন, ‘দুই-একজন যাত্রী আসছে। তবে গাড়ি ছাড়ার মতো না। যাত্রী একেবারেই কম।’

রংপুর যাওয়ার জন্য গাবতলি এসেছিলেন আপেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘জরুরি বাড়িতে যেতে হবে। কিন্তু গাবতলি থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। মানিকগঞ্জ, আরিচা রোডে কিছু বাস যাচ্ছে কিন্তু তাতেও অনেক বেশি ভাড়া চাচ্ছে।’

তীব্র যাত্রী সংকটে অলস সময় পাড় করতে দেখা গেছে কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের। পরিবহন শ্রমিকদের একটি অংশ অলস সময় কাটাচ্ছেন টার্মিনালের পেছনের অংশে।

এদিকে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বাস না চললে তাদের কোনো আয় হয় না। ফলে বাস বন্ধ থাকলে তা তাদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি।

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের মোটরসাইকেল শোডাউন

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ প্রত্যাখ্যান করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শহরের হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম আহম্মেদের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেল শোডাউনে অংশ নেয়। এসময় তারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ স্লোগান দিতে থাকে।

শোডাউন শেষে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ বলেন, যেভাবে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত যে কাজগুলো করছে এটা ন্যক্কারজনক। এভাবে হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসীদের আর সন্ত্রাসীপনা করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের সংগঠন। তারা জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি করতে চায়। আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছি৷ আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগ অপশক্তির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার আছে এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাল্লাহ।

এসময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য বেলাল হোসেন মিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কাউসার আহম্মেদ পান্না, যুবলীগ নেতা সজিব আহম্মেদ ও ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ প্রমুখসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

আশুলিয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক, কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা

আশুলিয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক, কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা

সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গত একসপ্তাহ ধরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেন শ্রমিকেরা। তবে আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কারখানার শ্রমিকেরা সকালেই কাজে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন কারখানার সামনে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশুলিয়ার জামগড়া ৬তলা এলাকার আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। প্রস্তুত রয়েছে জলকামানও। জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুরসহ আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি, আনসার ও ডিবি পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন।

জামগড়া এলাকার একটি পোষাক কারখানার নিরাপত্তারক্ষী মো. কামাল বলেন, এই এলাকায় আজ কোন সমস্য হয় নাই। আমাদের গার্মেন্টসে সকাল থেকেই কাজ শুরু হইছে। সবাই কাজ করছেন।

জামগড়া এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার সুপারভাইজার বলেন, আমাদের গার্মেন্টেসে কোন সমস্যা নেই। যখন সব গার্মেন্টস ছুটি দিয়েছিলো আমরাও দিয়েছিলাম। এখন কাজ চলছে।

আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, শ্রমিকেরা আজ যথাসময়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়ার কোন এলাকায় বিক্ষোভ বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

;

গাজীপুরে অবরোধ সমর্থনে বাঁশের লাঠি হাতে বিএনপির মিছিল

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিনে গাজীপুরের শ্রীপুরে বাঁশের লাঠি হাতে মহাসড়কে মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করেন দলের শতাধিক নেতা-কর্মী।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। মিছিলে নেতা-কর্মীরা বাঁশের লাঠি হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা দুই দিনের অবরোধকে ঘিরে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় আছে।

;

রংপুরে যাত্রীসংকটে ছাড়েনি বাস, চলছে ট্রেন

রংপুরে যাত্রীসংকটে ছাড়েনি বাস, চলছে ট্রেন

শুরু হয়েছে বিএনপির ডাকা দ্বিতীয়বারের অবরোধ কর্মসূচি। রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টায়। এ অবরোধে সমর্থন জানিয়ে দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করবে। এদিকে জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছন দ্বিতীয় দফা অবরোধের শুরুতে সকালে

রংপুর থেকে দূরপাল্লা ও আন্তজেলার বাস চলাচল করছে না। যাত্রী না থাকায় ঢাকাগামী কোনো বাস রংপুর থেকে ছেড়ে যায়নি।

রোববার(৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বুড়িমারী লোকাল, দিনাজপুর কমিউটার ট্রেন রংপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে।

সকাল থেকে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীশূন্য দেখা গেছে। যাত্রী না থাকায় বাস কাউন্টারের শ্রমিক–কর্মচারীদের বসে থাকতে হচ্ছে। রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আন্তজেলা রুটের কোনো বাস চলাচল করছে না। টার্মিনালে বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও যাত্রী চোখে পড়েনি। তবে যাত্রীরা দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের মেডিকেল মোড়, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মডার্ণ মোড় এবং কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়কের সাতমাথা মোড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে গন্তব্যে ছুটছেন। এদিকে সকাল ৬টা থেকে অবরোধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বিএনপির দলীয় কার্যালয় এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, আন্তজেলাসহ সব রুটেই গাড়ি চলাচল করবে। তবে যাত্রীসংকট থাকায় গাড়ি ছাড়ছে না।

রংপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও শহর ও মহাসড়কে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *