সারাদেশ

গৌরীপুরে র‍্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: গৌরীপুরে র‍্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

র‍্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার দক্ষিণ তেতাভ‚ মির মো. আব্দুল বারেক ওরফে মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মুন্না ওরফে সুজন (২০), বুড়িচং থানার রাজাপুর গ্রামের প্রমুত কর্মকারের ছেলে অপু কর্মকার (২১) ও একই থানার উত্তর গ্রামের মৃত আঃ সামাদ এর ছেলে মো. সাগর (২১)।

জানা গেছে, মাদক কারবারিরা পিকআপ ভ্যানে করে গাঁজা নিয়ে ময়মনসিংহ আসছিল।

রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১৪’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসনের নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি দল ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উপজেলার রামগোপালপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ১৫টি প্যাকেটে স্কচটেপে মোড়ানো ৩০ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার হয়। এসময় জব্দ করা হয় মাদক কারবারিদের মোবাইল, নগদ ১০ হাজার ৪শ’ ৭০ টাকা ও পিকআপভ্যান। পরে জব্দ আলামতসহ মাদক কারবারিদের গৌরীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, এই ঘটনায় র‍্যাব বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের আগামীকাল আদালতে প্রেরণ করা হবে।

ফেনীতে ভোক্তা অধিদফতরের অভিযান, ৬ দোকানির জরিমানা

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীতে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি জাতীয় পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণসহ নানা অভিযোগে ৬ দোকানিকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (১৭ মার্চ) শহরের বড় বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ফেনীর সহকারী পরিচালক (অ. দা.) মোহাম্মদ কাউসার মিয়া।

ভোক্তা অধিকার অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দুপুর থেকে শহরের বড় বাজারে সবজির দোকান, খেজুরের দোকান ও মিষ্টান্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি জাতীয় পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় শরিফ মিষ্টি মেলাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আমির হোসেনের সবজি দোকান, আজমির হোসেনের সবজি দোকান, জামান রোডে মিজান ব্রাদার্স, জে বি রোডে আইয়ুবের খেজুরের দোকান, ও নেছারুদ্দিনসহ প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (অ. দা.) মো: কাউসার মিয়া বলেন, অভিযানে দোকানিদের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

কুষ্টিয়ায় কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়েছে তরমুজের দাম

ছবি: বার্তা২৪.কম

গরমে একটু তৃষ্ণা মেটাতে এই রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ তরমুজ। রোজা শুরুর পর তরমুজের দামও বাড়ছে। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি অপরিপক্ব তরমুজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে এই তরমুজ ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া পৌর বাজার ও বিভিন্ন বাজার এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

হাসান খান নামে এক মেডিকেল চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা কয়েকজন ইন্টার্নি চিকিৎসক একসাথে ইফতার করি। রোজা আছি এ জন্য তরমুজ কিনতে এসেছি। কিন্তু অপরিপক্ব তরমুজ ৮০ টাকা কেজি। একটা তরমুজ কেনার বাজেট নেই। যদিও বা এর আগে একটা কিনেছিলাম, কিন্তু একেবারেই অপরিপক্ব। এজন্য আজ কিনব না। রোজার আগে যে তরমুজ ৫০টাকা কেজি ছিল, সেই তরমুজ রমজানে ৮০ টাকা কেজি। এটা দুঃখজনক।’

তরমুজ ক্রেতা বাবলু মিয়া ও সুজন আলী বলেন, ‘বাসার সবাই রোজায় আছে। ইফতারের জন্য ৮০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনলাম। তরমুজ এখনও পরিপক্ব না। তবুও কিনলাম।’ তিন কেজি ওজনের একটা তরমুজ তিনি ২৪০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

পৌর বাজারের শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘৮০ টাকা কেজি দরে ৩২০ টাকা দিয়ে একটা তরমুজ কিনেছিলাম। বাসায় এনে ইফতারের আগে কেটে দেখি অপরিপক্ব। তরমুজের ভিতরে সাদা। স্বাদও ভালো না। বাজারে অপরিপক্ব তরমুজ বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আমার মতো অনেকে প্রতারিত হচ্ছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আড়তদার জানান, আমরা কয়েকদিন আগে বরিশাল থেকে তরমুজ কিনে এনেছি। এক কানি (সাড়ে সাত বিঘা) জমির তরমুজ দুই হাজার পিস হবে এমন আইডিয়ায় কিনেছি সাড়ে ৫ লাখ টাকায়। এরপর তা ট্রলারে ১০ হাজার টাকা এবং ট্রাকে করে ২০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে কুষ্টিয়ায় এনেছি, তাতে করে তিনশ’ টাকার একটু বেশি প্রতি পিস কেনা পড়েছে। তবে কেন একটা তরমুজ ৬শ’ আবার ৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এমন কথা বললে তিনি জানান, গড় তরমুজ কিনতে হয়, তাতে করে কোনটা ৬ কেজি, ৮ কেজি আবার ৩ কেজি দুই কেজিতেও পিস হয়। তাই একটু বেশি দরে বিক্রি করতে হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। তবে অপরিপক্ব তরমুজের কেনা এবং বিক্রির সিস্টেমটা নিয়ে একটা জটিলতা রয়েছে। শীঘ্রই আমরা বাজারে অভিযান চালাবো৷

;

নড়াইলে ব্যক্তি উদ্যোগে মাসজুড়ে বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন

ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়ায় রোজাদার পথচারীদের জন্য পুরো রমজান মাসজুড়ে মিরাজুল ইসলাম খান নামে এক ব্যবসায়ী বিনামূল্যে উন্মুক্ত ইফতারের আয়োজন করছেন। স্ত্রীর পরামর্শে গত কয়েক বছর ধরে লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষ্মীপাশা বাসস্ট্যান্ডের পাশে নিজ বাড়ির সামনে এই আয়োজন করে আসছেন তিনি। এই আয়োজনের নাম দিয়েছেন ‘সকলের জন্য উন্মুক্ত ইফতার পার্টি।’

পরিদর্শনকালে দেখা যায়, রাস্তার পাশে প্যান্ডেলে টেবিল-চেয়ার দিয়ে সাজানো। ইফতারের কিছু সময় আগে থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটা টেবিলে প্লেটে প্লেটে সাজাচ্ছেন ইফতার সামগ্রী। এরপর একে একে রোজাদার পথচারী ও আশপাশের দোকানদাররা এসে বসছেন সেখানে। দোয়া শেষ করে সময় হলে ইফতার করছেন সকলে। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পদের ইফতারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ উন্মুক্ত ইফতার পার্টিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন পথচারী সাধারণ মানুষেরা। তৃপ্তিসহকারে ইফতার করতে পেরে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের প্রশংসা করছেন তারা।

নিয়মিত ইফতার করতে আসা মো. রবিউল ইসলাম নামে একজন বলেন, মিরাজ ভাইয়ের উদ্যোগে এখানে প্রতিদিনই বিনামূল্যে ইফতারি করানো হয়। আমরা সবাই মিলে আনন্দের সঙ্গে ইফতার করি।

টুকু মল্লিক বলেন, এখানে যেদিন থেকে রোজা শুরু হয়েছে সেদিন থেকে পরিপূর্ণভাবে বিভিন্ন প্রকারের ফল-ফলাদি, খাবার দিয়ে রোজাদারদের জন্য ইফতারি দেওয়া হচ্ছে। পুরো রমজান জুড়ে ইফতারি দেওয়া হবে। আয়োজনটা খুব ভালো। আমার জানা মতে, এই এলাকায় মিরাজ খান একাই এই আয়োজন করেন। আর কেউ করে না।

এ ব্যাপারে সোহেলী অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উন্মুক্ত ইফতার পার্টির আয়োজক খান মিরাজুল ইসলাম বলেন, পথচারী যারা ইফতারির সময় বাড়ি পৌঁছাতে পারে না, আবার যাদের ইফতারি করার মতো সামর্থ্য নেই। তাদের জন্য ২০২০ সাল থেকে আমার শিক্ষিকা স্ত্রীর পরামর্শে এ আয়োজন করে আসছি।

এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লিটন মোল্যা ও হিরু মিয়া বলেন, যারা স্বেচ্ছায় ইফতার করতে চাইবেন, তারা এখানে বসে ইফতার করতে পারবেন। ৩০ দিনই এই ইফতারের আয়োজন করা হবে। প্রতিদিন ১’শ থেকে দেড়শ জনের আয়োজন করা হয়। কোনদিন গরুর মাংস-ভাত, কোনদিন ডাল- ভাত, আবার কোনদিন শুকনা খাবার, দই-মিষ্টি, চিড়াসহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে ৩০ দিনের আয়োজন সাজানো হয়েছে।

;

‘বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে’

ছবি: সংগৃহীত

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। যে কারণে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এখন তার কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে।

রোববার (১৭ মার্চ) চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে অনেক সংগ্রামের পর ইতিহাসকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ পেয়েছি। আমরা আজ তার কন্যার নেতৃত্বে তারই আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি অসম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক একটি উদার মানবতাবাদী, সুখী, শান্তিময়, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত একটি স্বাধীন স্বদেশ নির্মাণ করতে এবং আত্মমর্যাদাশীল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তিনি সোনার মানুষ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আর নতুন প্রজন্মই হচ্ছে সোনার মানুষ।

সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাস, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *