সারাদেশ

১৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল চলাচল স্বাভাবিক

ডেস্ক রিপোর্ট: ১৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল চলাচল স্বাভাবিক

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর অবশেষে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) ভোররাত ৪টার দিকে ট্রেন চলাচলের জন্য ডাউন লাইনকে উপযুক্ত ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর আপ লাইন একেবারেই চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। বগিগুলোর বেশিরভাগ ডাউন লাইনে ছিটকে পড়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুটি রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত ৪টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর ডাউন লাইনের ওপর পড়া বগিগুলো টেনে লাইন থেকে সরানো হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে আটকে থাকা সব ট্রেন ছেড়েছে। প্রথমে কক্সবাজার এক্সপ্রেস দিয়ে শুরু করে এক এক করে সব ট্রেন পাসিং দেওয়া হবে।

গরমে রেললাইন বেঁকে কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা তিনি আরও বলেন, উদ্ধার কাজ শেষ হতে দুয়েকদিন সময় লাগতে পারে। তবে আপাতত ডাউন লাইন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার উপযোগী করা হয়েছে। দুই লাইনের ট্রেনই ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল করবে। 

প্রসঙ্গত, রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ২টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে ইঞ্জিন সংলগ্ন ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এতে সারা দেশের সঙ্গে চট্রগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

সৈয়দপুরের ২শ’ বছরের প্রাচীন নিদর্শন ‘চিনি মসজিদ’

ছবি: বার্তা ২৪

উত্তরের জেলা নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রাচীন নিদর্শন চিনি মসজিদ। সৈয়দপুর রেলের শহর নামে পরিচিতি থাকলেও এখানে রয়েছে নানান প্রাচীন ঐতিহ্য ও নিদর্শন। এ শহরে সৌন্দর্যের স্থাপত্য নিদর্শন একটি চিনি মসজিদ।

মসজিদটি নীলফামারীর সৈয়দপুরের গোলহাটের ইসলামবাগে অবস্থিত।

১৮৬৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামের দুইজন ধর্মপ্রাণ বাসিন্দা সৈয়দপুর শহরের ইসবাগ এলাকার এখানে ছন ও বাঁশ দিয়ে প্রথমে মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় টিনের ঘরে পরিণত করেন। পরে এলাকার লোকেরা মসজিদটি নির্মাণের লক্ষ্যে একটি ফাণ্ড করেন। ১৯২০ সালে হাফিজ আব্দুল করিমের উদ্যোগে ১৫৬০ বর্গফুট আয়তনের মসজিদটির প্রথম অংশ পাকা করা হয়। সে সময়ে কলকাতা থেকে শ্রমিক এনে দৈনিক ১০ আনা মজুরিতে মসজিদের নির্মাণ কাজ নতুনভাবে শুরু করেন।

মসজিদটি ঘুরে দেখা যায়, দেয়ালে চিনামাটির থালার ভগ্নাংশ ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসানো হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় চিনি করা বা চিনি দানার কাজ করা। শৈল্পিক কারুকাজ ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য হিসেবে চিনি মসজিদের রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। এ মসজিদে পাঁচ শতাধিক মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের অধিকাংশ কারুকাজ চীনামাটির। সৌন্দর্য বাড়াতে দেওয়ালে চীনামাটির থালা ও কাচের টুকরা বসানো আছে। মসজিদটিতে ২৭টি বড় মিনার, ৩২টি ছোট মিনার ও তিনটি বড় গম্বুজ রয়েছে। দোতলা মসজিদে প্রবেশ পথের পাশে আজান দেওয়ার জন্য মিম্বার রয়েছে। মসজিদে ২৪২টি শঙ্কর মর্মর পাথর রয়েছে। প্রায় ২০০ বছর পরে এসেও এর সৌন্দর্য ঠিক আগের মতই নজর কারছে।

মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব সেলিম জানায়, আমি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এ মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছি। এখানে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটক আসেন। এতে আমাদের ভালো লাগে।এটি আমাদের একটি প্রাচীন নিদর্শন। তবে এখানে জিনিস আছে যেগুলো সংস্কার করলে আমাদের মসজিদটি আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।

 এবিষয়ে সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিয়া জাহান বেবি বলেন, মসজিদটি আমাদের প্রাচীন নিদর্শন। আমাদের বরাদ্দ আসলে মসজিদটি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সংস্কার করা হবে।

;

জলদস্যুদের কবলে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে বিস্ফোরণের শঙ্কা!

ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুদের দখলে থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের খাবার ও পানি দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এর মধ্যে জিম্মি নাবিকদের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে সশস্ত্র ১১ জলদস্যু। আবার জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লাও চিন্তার বড় কারণ হয়ে উঠছে। কারণ, কয়লাগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না করা গেলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি আছে।

এ অবস্থায়, মুক্তিপণ সংলাপের শুরুতেই জাহাজকে নিরাপদ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, বদ্ধ জায়গায় কয়লা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া মিথেনের পরিমাণ বাড়লে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ ছাড়া কার্বন মনোক্সাইড বেড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে নাবিকদের জীবনের ঝুঁকিও থাকে। এসব বিবেচনায় সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের কয়লা নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে কি না–তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মালিকপক্ষ ও বিশ্লেষকেরা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কয়লার কনসেন্ট্রেশন মেপে দেখতে হয়। বিস্ফোরণের মাত্রার ওপরে উঠে গেলে এটার ফোর্স মেইনটেইন করতে হয়। ফোর্স মেইনটেইন করে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস বের করে দিতে হয়। এটা ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া।

যোগাযোগ করেনি দস্যুরা, খাবার পাঠানোর উপায় খুঁজছে মালিকপক্ষ জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ জিম্মি জাহাজটি আরও ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সরিয়ে নিয়েছে দস্যুরা তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমালিয়ার জলদস্যুরা নাবিকদের কাজ করার কিছুটা সুযোগ দিচ্ছে। যদিও এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

এসআর শিপিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে যেহেতু আমাদের টেকনিক্যাল পারসন আছে, সুতরাং জলদস্যুরা সবসময় এই করণীয়টুকু করবেন। কারণ, আমরা মনে করছি, স্বার্থরক্ষা, জাহাজ নিরাপদ ও আবাসস্থল নিরাপদ রাখার স্বার্থে নাবিকদের সহযোগিতা করবেন জলদস্যুরা।’

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক নিয়ে সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরে ভাসছে জাহাজটি। এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি দস্যুরা।

উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগর থেকে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এ ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও, দস্যুদের পক্ষ থেকে এখনো যোগাযোগ না করায় এগোয়নি নাবিকদের উদ্ধারের আলোচনা। বারবার পরিবর্তন করা হচ্ছে জাহাজটির অবস্থানও। আর এর মধ্যেই সেখানে নতুন শঙ্কা এখন ওই জাহাজে থাকা কয়লা।

;

ঢাকার বায়ু আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৭টা ৫৪ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ২০৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ফলে ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৪৩ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর রয়েছে ২০৮ স্কোর নিয়ে, বাংলাদেশের ঢাকা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। যার স্কোর ২০৭। আবার ১৮২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং ১৭৬ স্কোর নিয়ে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই শহর আছে পঞ্চম স্থানে।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বর্তমানে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।

;

তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই

ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আহত তিন পুলিশ কর্মকর্তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, এসআই ইসমাইল হোসেন (৩০), এএসআই গোলাম রসুল (৩৫), এএসআই রাকিব (৩৯)। তারা প্রত্যেকেই ত্রিশাল থানায় কর্মরত।

রবিবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এএসআই রাকিবের পেটে, এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই গোলাম রসুলের কনুইয়ের উপরে কোপানো হয়েছে। প্রথমে রক্তক্ষরণ কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছিল না। এদের মাঝে রাকিবের অবস্থা কিছুটা গুরুতর।

ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁদ মিয়া বলেন, ‘বেদেনা নামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় যায় তারা। বেদেনাকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেফতার করতে চাইলে তার ছেলে নাইম ও হারুন এলোপাথারি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে তার মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। মূল আসামি বেদেনাসহ বাকিরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *