সারাদেশ

চবির ‘ডি ইউনিট’ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট: চবির ‘ডি ইউনিট’ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘ডি’ ইউনিট তথা সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাসের হার ৩৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ফল প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘ডি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ।

‘ডি’ ইউনিটের ৯৫৮টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দেন ৪৪ হাজার ৪৪৯ জন ভর্তিচ্ছু। এতে পাস করেন ১৫ হাজার ৮২৪ জন। অকৃতকার্য হন ২৮ হাজার ৬২৫ জন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ (শনিবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয় চবির আইন অনুষদ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সম্মিলিত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এতে উপস্থিতির হার ছিল ৭৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।

শিরীন শাসনামলের শেষ দিনে চাকরি প্রত্যাশীদের ভিড়

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীন আখতার নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত হয়ে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনের পাঁচ বছরে সমাবর্তন করতে না করা, মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়, শিক্ষা ও গবেষণার সুন্দর পরিবেশ না থাকা ও অবৈধ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ সহ নানা কারণে সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু এবার বিদায় ঘন্টা বাজতেই গণহারে শুরু হয়েছে চাকরি দেওয়া।

রোববার (১৯ মার্চ) চবির নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে চাকরি প্রত্যাশীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

এদিন বিভিন্ন পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগ, হল ও দপ্তরে অন্তত ৪৪ জনকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে। তবে তাদের প্রত্যেককেই দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জানান, আমি নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটি শুনতে পেয়েছি এবং অনেককে আজকে ছোটাছুটি করতে দেখেছি। উপাচার্য তার ব্যক্তিগত এখতিয়ার অস্থায়ীভাবে দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে নিয়োগ গুলো দিয়ে থাকতে পারেন। একসাথে এত জনকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটা নৈতিকভাবে কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।

সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছু দরিদ্র ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে এটা প্রক্টরের বিষয় আমাকে জিজ্ঞেস করার কিছু নেই। এইসব নিয়োগ নিয়ে কেন কথা বল?কোন কিছুই তো আইনের বাইরে হচ্ছে না। যদি কিছু হয়ে থাকে সেটা আমার জানা নেই।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার কে এম নুর আহমদের কাছে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি আজকে চাকরি প্রত্যাশীরা ভিড় করেছিল। বিগত কয়েকদিনে অনেক প্রার্থীকে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে তবে এগুলো খুব গোপনীয়তার সাথে করা হচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় এই পর্যায়ে এসে এভাবে এতগুলো নিয়োগ দেওয়া থেকে পরিত্রাণ খুব সহজে পাবেন না।

৩য় শ্রেণির কর্মচারী সেলের প্রধান সৈয়দ মনোয়ার আলী বলেন, আমি শুনেছি গত কয়েকদিনে প্রায় ৩০ জনকে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের অর্ডার হয়েছে। তবে আমরা এখনো কোনো এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পাইনি। লেটার পেলে আমরা সেল থেকে সেটা অনুমোদন দেব।

;

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার এ ফল প্রকাশ করা হয়।

বুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে মূল ভর্তি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের তালিকা এবং ভর্তি–সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রমের সময়সূচি বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এবারও বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা ২ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওইদিন প্রথম শিফটের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা হবে একই দিন বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এই প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষা মনোনীত শিক্ষার্থীরা ৯ মার্চ মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

;

ইবির লালন শাহ হলে মারামারি: একজনের সিট বাতিল অন্যজনকে শোকজ

ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে মধ্যরাতে মারামারির ঘটনায় একজনের আবাসিকতা বাতিল করেছে হল প্রশাসন। এছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকা অপর এক শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের পাশাপাশি কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে হল প্রভোস্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, হলের কোড অফ কন্ডাক্ট ৭ (ঙ) ধারা অনুযায়ী ৪০৩ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জোবায়দুর রহমান জ্যোতির আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া অপর অভিযুক্ত একই বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের সাকিল খান শোভন লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়া সত্ত্বেও হলে অবস্থান এবং বাইরে থেকে কয়েকজনকে ডেকে এনে মারধরের ঘটনায় কেন সংশ্লিষ্ট ছিলেন এ মর্মে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সে যেহেতু হলের কেউ না তাই এর বাইরে তার বিরুদ্ধে আর ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে তার জবাব সন্তোষজনক না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত হবে। আগামীকাল এ বিষয়ে লিখিত পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ রাত তিনটায় রুমমেটদের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এ মারামারি হয়। এতে জোবায়দুর রহমান জ্যোতি ও তার রুমমেট সাকিল খান শোভনসহ অন্য হল থেকে আসা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন। অভিযোগে শোভন ছাড়াও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেহেদীরসহ ২০-২৫ জন মারধর করেছে বলে উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে শোভন জ্যোতির বিরুদ্ধে তাকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমনের চেষ্টা ও উদ্ধার করতে আসা বন্ধুদের উপর আক্রমনের অভিযোগ করে। এ নিয়ে পরদিন ১৩ মার্চ সকালে প্রভোস্ট ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে দুই পক্ষ। এতে দুই পক্ষই নিজেদেরকে মারধরের শিকার বলে দাবি করে। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জ্যোতির বিরুদ্ধে হলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ করে আরেকটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে প্রভোস্ট কক্ষটিতে তল্লাশী করে ও জ্যোতিকে তার পরিবারের হাতে সোপর্দ করে।

;

সিন্ডিকেট থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক

সিন্ডিকেট থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক

অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ দেওয়াকে কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এ পদত্যাগপত্রটি পাঠান তিনি।

পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার জানামতে গত ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের আপত্তি সত্ত্বেও কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা প্রদানের জন্য পরিকল্পিতভাবে ডিন মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, যা শুধু দুঃখজনকই নয় বিধি-বহির্ভূতও বটে।’

পদত্যাগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় মতামত প্রদানের সুযোগ খুবই সীমিত, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মতামত প্রদানের কোনো সুযোগ নেই, এখানে সদস্য হিসেবে থাকা বা না-থাকা একই অর্থ বহন করে। মূলত, আমাদেরকে সভার কোরাম পূর্ণ করার জন্য রাখা হয়েছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে যেটা অস্বস্তিকর।’

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান জানান, ‘আমার দায়িত্ব চলমান অবস্থায় আমি পদত্যাগ করেছি। সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে আমাদের কথা বলার সুযোগ খুব কম দেওয়া হয়। আমাদের মতামত গ্রহণ করা হয় না। এতোদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, এর প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই পদত্যাগ করেছি।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এ অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় প্রায় ২০ জনের মতো সিন্ডিকেট সদস্য থাকে। সবাইকে কথা বলার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় সবাই স্বাধীন, সবাইকে মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। উনারও এটাই লাস্ট সিন্ডিকেট সভা ছিল।’

উল্লেখ্য, গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ০৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো. কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *