সারাদেশ

জাপানের ওয়াকিনাওয়া মিষ্টি আলু চাষে সাড়া ফেলেছে কৃষক শেখ সাদী

ডেস্ক রিপোর্ট: জাপানের ওয়াকিনাওয়া মিষ্টি আলু চাষে সাড়া ফেলেছে কৃষক শেখ সাদী

ছবি: বার্তা ২৪.কম

জাপানের ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কৃষক মো. শেখ সাদী। তার জমিতে উৎপাদন করা এক একটি আলুর ওজন ৫০০গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে। বাজারে চাহিদা ও দেশি আলুর চেয়ে দাম বেশি থাকায় এই আলু বিক্রি করে মুখে হাসি ফুটেছে এই কৃষকের। স্বল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমে ভালো লাভ পাওয়ায় এখন গ্রামের কৃষকরাও এই আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

জানা গেছে, কৃষক শেখ সাদীর বাড়ি উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের কড়মড়িয়া গ্রামে। প্রতিবছরই নানা জাতের ব্যতিক্রম সবজি ও কৃষি আবাদ করে এলাকায় তিনি আদর্শ কৃষক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। একদিন ইউটিউবে জাপানের ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ দেখে এই আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। এরপর যোগাযোগ করেন স্থানীয় কৃষি অফিসে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলির কাছ থেকে ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলুর কাটিং সংগ্রহ করে জৈব সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন কৃষক শেখ সাদী। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরের মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেন। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে জমি থেকে আলু উত্তোলন করেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যায় প্রতি শতকে চার মণ করে আলু উত্তোলন করেছেন তিনি।

এদিকে ওয়াকিনাওয়া জাতের আলু চাষের খবর পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা যোগাযোগ করছে কৃষক শেখ সাদীর সাথে। তারাও এই আলু চাষের জন্য তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষক হলুদ মিয়া বলেন, আমাদের দেশীয় জাতের মিষ্টি আলু আকারে ছোট। কিন্ত কৃষক শেখ সাদী বিদেশি যে জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেছে সেটা প্রতি পিসের ওজন হাফ কেজির ওপর। খেতেও সুস্বাদু। পাশাপাশি বাজারে দেশি আলুর তুলনায় দামও বেশি। আমরাও এখন এই আলু চাষে করতে উদ্যোগ নিচ্ছি।

কৃষক শেখ সাদী বলেন, আমি সবসময় ব্যতিক্রম ও নতুন কৃষি আবাদ করতে পছন্দ করি। একদিন ইউটিউবে ওয়াকিনাওয়া জাতের আলুর চাষ দেখে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি। পরে সেখান থেকে প্রদর্শনী পাই। কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সঠিক পরিচর্যা করে আমি ভালো ফলন ও বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, ওয়াকিনাওয়া আলু সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এই আলু এক একটির ওজন হাফ কেজি থেকে সর্বোচ্চ এক কেজির ওপরে হয়। আমরা প্রথমবারের মতো এই আলুর একটি প্রদর্শনীর শেখ সাদীকে দিয়েছি। ভালো ফলন হওয়ায় এখন অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই জাতের আলু চাষে।

জিম্মি জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ, উদ্ধারে ইতিবাচক আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে থাকা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. মাকসুদ আলম। জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। পাশাপাশি জাহাজে থাকা জলদস্যুর এক সদস্যের সঙ্গেও প্রাথমিক যোগাযোগ হয়েছে।

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি হওয়ার আটদিন পেরিয়ে গেছে। জিম্মি নাবিকদের মুক্তি ঠিক কতদিনে সম্ভব সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অব্যাহত চাপের মুখে পড়ে সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজটিকে নিজেদের উপকূলের আরও কাছে সরিয়ে নিয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি এখন তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙর করা আছে। তবে দস্যুরা হুমকি দিয়ে রেখেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী ‘বাড়াবাড়ি’ করলে জাহাজটিকে তীরে তুলে দেবে তারা।

জিম্মি নাবিকদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছেন মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান। জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ার পর থেকে নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের পরিস্থিতি সবাইকে জানিয়ে আসছেন এই ক্যাপ্টেন।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান জিম্মি নাবিকদের বরাতে বলেন, কদিন জাহাজের খাবার খাওয়ার পর জলদস্যুদের অধিকাংশই আবার নিজেদের জন্য স্থানীয় খাবার আনা-নেওয়া শুরু করেছে। এতে জাহাজের খাবার হয়তো কয়েকদিন বেশি যেতে পারে। আর জাহাজের নাবিকরাও খাবার সাশ্রয়ের জন্য রাতের খাবার (ডিনার) বাদ দিয়েছেন। এখন মূলত ইফতার আর সেহরি তৈরি হচ্ছে সবার জন্য। এছাড়া সচরাচর জাহাজে যেভাবে একাধিক তরকারি রান্না হতো, সেটিও পরিহার করা হচ্ছে।

জাহাজের কার্গো (কয়লা) হোল্ডের বর্তমান পরিবেশ নিরাপদ আছে বলেও জানিয়েছেন নাবিকরা। তবে তারা বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, নৌবাহিনীর চাপের ফলে সব নাবিককে এখন দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই ব্রিজে রাখছে দস্যুরা। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে। পানি রেশনিং এবং সবসময় ব্রিজে অবস্থান করায় সবার পক্ষে নিয়মিত গোসল করা আর কাপড় ধোঁয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কারো কারো ত্বকে চর্মরোগ দেখা দিয়েছ। আর ব্রিজে শৌচাগার মাত্র একটি। এক শৌচাগার ২৩ জন নাবিক ছাড়াও ২৫-৩০ জন জলদস্যু ব্যবহার করছে। তাদের ওজনের কারণে কমোডের সিট ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। তাছাড়া তারা খুব অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়ায় বাথরুমও পরিষ্কার করে না। যার ফলে এই বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা আর ব্যবহার করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

;

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া

বাংলাদেশে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন।

ভাসানচর থেকে হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছালে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।

বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টা ৪৫ মিনিটের সময় তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।

প্রথমে তিনি যান, ক্যাম্প চার এক্সটেনশনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাবার বিতরণের ই-ভাউচার আউটলেটে। সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প ৪-এ ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টি পারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা নারীদের সাথে কথা বলেন।

এরপর ক্যাম্প ৫ এ ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন, একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

ক্যাম্প-১০ এর ইউএনডিপি পরিচালিত ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ন্যাচার বেইজড সলিউশন সাইট স্লোপ স্টাবিলাইজেশন ফর ল্যান্ডসাইড রিস্ক মিটিগেইশন,ক্যাম্প-১৮এর আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।

সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে যাবেন।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ১৮ মার্চ থেকে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করছেন।

বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গসমতা, পরিবেশবান্ধব ও ডিজিটাল রূপান্তর এবং ব্যবসায়িক খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার লক্ষ্যে এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

;

চমেক হাসপাতালে র‍্যাবের অভিযান

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সিন্ডিকেট ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব-৭)। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ জনকে আটক করে যাচাই-বাছাই করছে সংস্থাটি।

বুধবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়।

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ওঁৎ পেতে থাকা দালাল ও সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, সংস্থাটি সাদা পোশাকে মেডিকেলের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ৪০ জন দালালকে আটক করেছে। এখন তাদের যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

;

হাতিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করবেন সুইডেনের রাজকন্যা

ছবি: বার্তা ২৪

নোয়াখালীর হাতিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার মনোন্নয়নে কাজ করবেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অনুভূতি শুনে ও তাদের জীবন-জীবিকা অবলোকন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এরপর ৯টা ৪৫ মিনিটে তি‌নি বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল এলাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচর যান। এর আগে সকাল ৮টায় হেলিকপ্টারযোগে হাতিয়া অবতরণ করেন।

এসময় নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী, হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ হেলিপ্যাডে ক্রাউন প্রিন্সেসকে স্বাগত জানান।

এ বিষয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া খুবই সন্তুষ্ট হয়েছেন। তিনি হাতিয়ার কথা মনে রাখবেন। জেলেদের জীবনযাত্রার কথা তিনি শুনেছেন। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় কি হয় তার একটা ডেমো তিনি দেখেছেন। সবশেষে তিনি হাতিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ১৮ থেকে ২১ মার্চ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তার এ সফরের অংশ হিসেবে হাতিয়ায় সফর করছেন। সফরের প্রথম অংশ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় অংশ ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা ও তাদের জীবনযাত্রা দেখা। সেটি শেষ হলে তিনি হেলিকপ্টারে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *