পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে স্বাবলম্বী ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা
ডেস্ক রিপোর্ট: পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে স্বাবলম্বী ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা
ছবি: বার্তা২৪.কম
ঠাকুরগাঁওয়ের ফসলি মাঠ জুড়ে একসময় আবাদ হত গম, ভুট্টা, আলু ও সরিষা। বিস্তৃত মাঠ জুড়ে দেখা যেত এসব ফসলের আবাদ। কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে নানা ধরনের ফসল আবাদ করছেন জেলার চাষীরা। ইতিমধ্যে চাষীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন।
জেলার বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পতিলাভাসা প্রাম। গ্রামের ফসলি মাঠে চারপাশে এখন সাদা রঙের পেঁয়াজ ফুলের সমাহার। একটা সময় কৃষকেরা আলাদা ফসল চাষাবাদ করলেও এখন উৎপাদন করেন পেঁয়াজ বীজ। গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এবারের মৌসুমে ভালো বীজ পেতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খেতে সময় পার করছেন কৃষকেরা। কেউ সেচ দিতে, কেউ আবার পোকা দমনের কীটনাশক স্প্রে নিয়ে, কেউ হাতের আলতো ছোঁয়ায় পরাগায়ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতি বছরে নভেম্বর মাস পেঁয়াজ বীজ বপনের মুখ্য সময়। বীজ পরিপক্ব হতে সময় লাগে ১৩০-১৫০ দিন। পরাগায়ন না হলে পেঁয়াজ ফুলে পরিপক্বতা আসে না। আর এসব ফুলে পরাগায়নের প্রধান মাধ্যম হলো মৌমাছি। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা খেতে কীটনাশক ছেটান। কিন্তু সেই কীটনাশকে মারা পড়ছে উপকারী পোকা ও মৌমাছি। এ কারণে পেঁয়াজ বীজের ক্ষেতে দিন দিন মৌমাছির আনাগোনা কমে যাচ্ছে। তাই হাতের স্পর্শে কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন করেন চাষীরা।
জেলায় চলতি মৌসুমে ১১২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এক হেক্টর কম। প্রতি হেক্টরে ৯০০ কেজি বীজ উৎপাদনের আশা রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা।
পেঁয়াজ বীজ ক্ষেতে সেচ প্রদান, কৃত্রিম ভাবে পরাগায়ন ও কীটনাশক ছিটানোর কাজ করেন শ্রমিকরা। পারিশ্রমিকের আয়ের সংসার চলে তাদের।
চাড়োল ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল বারেক বিজয় বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ করে বিক্রি করা যায় প্রায় দুই লাখ টাকার বীজ। এতে করে স্বল্প সময়ে ভালো দাম পাওয়ায় আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। তবে বীজের ন্যায্য দাম পেতে কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে আরো লাভবান হতে পারব।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলা কৃষকেরা। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গণহত্যা দিবসে সোমবার আলোচনা সভা করবে আ.লীগ
ছবি: সংগৃহীত
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামী সোমবার (২৫ মার্চ) আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ। আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিনে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। ভয়াল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন দলটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির।
;
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাই কমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে গণভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা।
;
ঈদুল ফিতরে ১০ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে
ছবি: বার্তা২৪.কম
সরকারি চাকরিজীবীদের এবারের ঈদুল ফিতরে টানা ১০ দিনের ছুটি মিলতে পারে। ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত দুই দিনের ছুটি নিলেই টানা দশ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন তারা।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর ৭ এপ্রিল শবে কদরের সরকারি ছুটি থাকবে। এর ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি নিলেই টানা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন। কারণ রোজা ৩০টি হলে ১০, ১১ এবং ১২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি থাকবে। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।
অন্যদিকে যদি রোজা ২৯টি হলে ৯, ১০ এবং ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি থাকবে। সে ক্ষেত্রে ৮ এপ্রিল মাত্র ১ দিনের ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ ১২ এবং ১৩ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, পরদিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইতোমধ্যে দুই দিনের ছুটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন জমা দিতে পারেন তারা।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার নির্বাহী আদেশে ছুটির সম্ভাবনা একেবারেই কম। কেননা এবার সরকারি ছুটির পরিমাণ অনেক বেশি।
;
নোয়াখালীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু, অগ্নিদগ্ধ ৩
ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর সদর উপজেলার পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের আগুনে বসত ঘরের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে ও ছেলের বউ ও বেয়াইন বিদ্যুৎপৃষ্টে অগ্নিদগ্ধ হয়। একই সাথে ২টি বসত ঘর, ১টি গোয়ালঘর ও ২টি রান্নাঘর, ১টি গরু,নয়টি ভেড়া ও নগদ ২ লক্ষ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
নিহত মো. নুর ইসলাম (৬৩) উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের মৃত হাবীব উল্যার ছেলে। সে পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের নুর ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নিহতের ছেলে মো.সেলিম (৩৮) ও তার স্ত্রী মায়া বেগম (৩২) নিহতের বেয়াইন শেফালী বেগম (৫০)। অগ্নিদগ্ধ মায়া বেগম ও শেফালী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো.কবির হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায় নুরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। সকাল ৬টার দিকে আকস্মিক বৈদ্যুতিক মিটারে শট সার্কিটে বসত ঘরে আগুন ধরে যায় । তাৎক্ষণিক আগুন বসতঘরে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের শরীরে পড়লে তিনি বিদ্যুৎপৃষ্টে গুরুতর আহত হন। ওই সময় তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী ও বেয়াইন শেফালী বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর ইসলামকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে, অগ্নিদগ্ধ মায়া বেগম ও শেফালী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কবির হোসেন আরও জানান, মুঠোফোন নম্বর না থাকায় ভুক্তভোগী পরিবার তাৎক্ষণিক আগুন লাগার খবর আমাদের জানাতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তদন্ত শেষে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানানো হবে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।