আন্তর্জাতিক

ভারত থেকে আসল ৬১ হাজার ডিমের চালান

ডেস্ক রিপোর্ট: বাজারে ডিমের দামের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ঢাকার বিডিএস করপোরেশন প্রথম চালানে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করেছে।

বন্দর থেকে এসব ডিম ছাড় করে সরবরাহ করা হবে বাজারে। আমদানি ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি পিস ১০ টাকার মধ্যে বিক্রি সম্ভব হবে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ডিম আমদানিতে দেশে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে কম দামে কিনতে পারবেন আশা করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানিকৃত ডিমের মূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮৮ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি পিস ডিমের দাম ভারতে দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। ডিমের আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলেও মনে করছেন সংশিষ্টরা। মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানির শর্তে বলা হয়েছে ডিম ভাইরাস মুক্ত থাকতে হবে।

সাধারণ ক্রেতা মফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, বেশি দামে ডিম কেনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন আমদানিতে বাজারে দাম কমবে বলে আশা করছি।

সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এম ই এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মহিদুল হক রুবাই জানান, ভারত থেকে প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ডিমের বাকি চালান খুব দ্রত বন্দরে আসবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করেছিল দুর্নীতি ব্যবসায়ীরা। ডিম আমদানির ফলে দেশে যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল তা এখন ভাঙবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন অফিসের ইনচার্জ বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল জানান, ডিমবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর সেটি ভাইরাস মুক্ত বা খাওয়ার উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। পরে মানসম্পন্ন হওয়ায় বন্দর থেকে ডিমের ছাড় পত্র দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *