ডেমরায় কাপড়ের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট
ডেস্ক রিপোর্ট: ডেমরায় কাপড়ের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর ডেমরায় কাপড়ের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার ( ২১ মার্চ ) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
তিনি বলেন, চারতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলায় কাপড়ের গুদামে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে বাকি ইউনিটগুলোকেও পাঠানো হয়। কাছাকাছি পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে।
তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সর্ভিস।
আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ডেমরায় আগুন লাগা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ডেমরায় ভয়াবহ আগুন লাগা ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার ( ২১ মার্চ ) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডেমরার ভাঙা প্রেস এলাকায় চার তলা একটি ভবনের ৩ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় শুক্রবার সকালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডেমরার ভাঙা প্রেস এলাকায় চারতলা ভবনটির তিনতলায় আগুনের সূত্রপাত। পরে চার তলাসহ অন্যান্য ফ্লোরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে একে একে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীও।
রাতভর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক দিকে আগুন নেভান তো অন্যদিকে আবারও দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে আগুন। আশেপাশে পানির উৎস কম থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। সেইসঙ্গে কিছুক্ষণ পর পর জানালার কাচ বিস্ফোরিত হচ্ছে।
এলাকাবাসীকে ভিড় না করার আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী।
তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সর্ভিস।
আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
;
ডেমরার আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর ডেমরায় একটি ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী। রাত পেরিয়ে শুক্রবার ভোরেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ডেমরায় ক্রীড়া সামগ্রীর গোডাউনে লাগা আগুন।
বৃহস্পতিবার ( ২১ মার্চ ) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডেমরার ভাঙা প্রেস এলাকায় চার তলা একটি ভবনের ৩ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী।
রাতভর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক দিকে আগুন নেভান তো অন্যদিকে আবারও দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে আগুন। আশেপাশে পানির উৎস কম থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। সেইসঙ্গে কিছুক্ষণ পর পর জানালার কাচ বিস্ফোরিত হচ্ছে।
এলাকাবাসীকে ভিড় না করার আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী।
তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সর্ভিস।
আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
;
বিদ্যালয়ের বারান্দায় যেতে পারেনি ২৪ লাখ শিশু
ছবি: সংগৃহীত
দেশে বর্তমানে পাঁচ থেকে ১৭ বছরের শিশু রয়েছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার। যার মধ্যে ২৪ লাখ এক হাজার ১৪৬ জন শিশু কখনো বিদ্যালয়ের বারান্দায় যেতে পারেনি। এদের মধ্যে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৮ জন ছেলে ও ১০ লাখ পাঁচ হাজার ৮০৮ জন মেয়ে শিশু রয়েছে। এদিকে, মোট শিশুর মধ্যে শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার জন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ শিশু শ্রম জরিপের এই তথ্য ওঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় বিবিএস তার নিজস্ব প্যাটার্নে এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
জরিপে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুদের একটি জাতীয় প্রাক্কলন মূল্যায়ন করে। ২০২২ সালে জরিপ পরিচালনা করলেও চলতি মাসের ১৪ তারিখ প্রকাশ করে বিবিএস।
বিবিএসের জরিপে জানানো হয়, শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যয় বহুল হওয়ায় ও অর্থ সংকটের কারণে ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ শিশু শ্রমে নিয়োজিত থাকায় তারা কখনো বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। তবে ছেলে-মেয়ে শিশুর মধ্যে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ ছেলে শিশু বিদ্যালয়ে যেতে বড় বাধার কারণ শিক্ষাব্যবস্থার খরচ বহন করা। আর ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ মেয়ে শিশু পরিবারের বাড়ির কাজে সাহায্য বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিবিএস।
শিক্ষাবিদদের মতে, দেশে এখনো প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষার মান গড়ে তুলতে পারিনি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য এলাকাভিত্তিক গবেষণার ঘাটতি রয়েছে। সংকট কাটাতে সমস্যা চিহ্নিত করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
জরিপে দেখা যায়, দেশে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৬৩৪ জন। যাদের মধ্যে ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৩৯ জন ছেলে শিশু আর মেয়ে শিশু রয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৫ জন।
দেশের বড় একটা অংশের শিশু বিদ্যালয়ের বারান্দায় যেতে না পারার বিষয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইমেরিটাস ও প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মনজুর আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র মিলে হয়তো সংখ্যাটা বলা হয়েছে, ফলে বোঝা যাচ্ছে বড় একটা শিশুর সংখ্যা স্কুলে যাচ্ছে না। যে শিশুরা যাচ্ছে তাদের বড় একটি সংখ্যা আবার ঝরে যাচ্ছে। আবার যারা যাচ্ছে তারা কতটুকু মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে তাও আমাদের দেখা উচিত। প্রাথমিক শিক্ষা যে ধরনের কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে তা এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোগত ত্রুটির জন্য আমার এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি। সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে তেমনি লাইব্রেরি ও খেলাধুলার নূন্যতম পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারারও একটা বড় কারণ।
তিনি আরও বলেন, হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার না থাকার কারণে অনেক শিশু এখন শিক্ষার বাইরে রয়েছে। শিক্ষার বাইরে থাকা শিশুর সঠিক সংখ্যা বের করতে হলে এলাকাভিত্তিক গবেষণার দরকার। এই সংকট সমাধানে এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সকলের জন্য শিক্ষা সরকারের যে অঙ্গীকার তা আমরা সফল করতে পারবো না।
;
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৮
ছবি: বার্তা২৪.কম
বরিশালের গৌরনদীতে হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এক ব্যক্তি নিহত ও আটজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের অশোকাঠি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী এলাকার বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন, একই জেলার আব্দুল আউয়াল, উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নারী পুলিশ কনস্টেবল উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা নিপা আক্তার, একই উপজেলার অনিমেষ, দশমিনা উপজেলার বাবলু হোসেন, আমতলী উপজেলার মশিউর রহমান, শরিয়তপুরের ঘোষাইরহাট এলাকার বাসিন্দা ও বরিশালের অপসোনিন কোম্পানির কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন, একই কোম্পানির কর্মকর্তা ও ঝালকাঠীর বাসিন্দা মশিউর রহমান।
বরিশাল গৌরনদী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম রসুল মোল্লা বলেন, গুরুতর আহত আটজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতের নাম ও পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
দূর্ঘটনা কবলিত বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া দশটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম বেজহার এলাকা অতিক্রমকালে হানিফ পরিবহনের বাসটি ওভারটেকিং করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন।
বরিশাল গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গুরুতর আহত আটজন যাত্রীকে প্রথমে গৌরনদী ও পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।