সারাদেশ

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভাতে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প

ডেস্ক রিপোর্ট: ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভাতে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প

ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়র পূর্ব জাভা প্রদেশে শুক্রবার (২২ মার্চ)  রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে এতে সুনামি সৃষ্টি হয়নি। দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।

জাকার্তার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২২ মিনিটে ভূমিকম্পটি সংগঠিত হয়। সমুদ্রের নিচের ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল তুবান রিজেন্সির ১৩২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এজেন্সি থেকে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। কারণ কম্পন সম্ভাব্যভাবে বিশালাকার তরঙ্গ সৃষ্টি করবে না। ইন্দোনেশিয়া একটি দ্বীপপুঞ্জের দেশ, আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্পের একটি টেকটোনিক বেল্ট, প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ার বরাবর অবস্থানের জন্য দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। 

নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি : সংগৃহীত

রাজনৈতিক বন্দী এবং সুশীল সমাজের প্রতি অন্যায় নিপীড়নে ভূমিকা রাখায় নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ওয়েন্ডি ক্যারোলিনা মোরালেস আরবিনা, যিনি ২০১৯ সাল থেকে নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, তিনি কোনো প্রকার আইনি ভিত্তি ছাড়াই সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভিন্নমত দমন করার জন্য একটি সমন্বিত প্রচেষ্টায় তার কার্য্যালয় কাজে লাগিয়েছেন।’

আল জাজিরাকে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, মোরালেস উরবিনা ২২২ জন রাজনৈতিক বন্দীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে যুক্তরাষ্ট্র তার দেশে থাকা মোরালেসের যেকোনও সম্পত্তি বা অর্থ ব্লক করেছে এবং তার সঙ্গে মার্কিন লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং তার স্ত্রী ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর দ্বারা নিকারাগুয়ায় শান্তিপূর্ণ বিরোধী সদস্যদের নির্মম নিপীড়নকে সমর্থন করেছেন।’

মিলার এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্রবিরোধী চরিত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাব।’

উল্লেখ্য, ওর্তেগার সরকার গত বছর সন্ত্রাসের অভিযোগে ৩০০ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করে।

ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে, মোরালেস আরবিনা বিরোধীদের দমনের নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তি ছিলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর আগে মোরালেস আরবিনাকে কালো তালিকায় রেখেছিল এবং তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ করেছিল।

;

ত্রুটিপূর্ণ ডিটেক্টর দিয়ে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের খণ্ডের সন্ধান!

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের শ্রপশায়ারে মাটির নিচে ৬৪ দশমিক ৮ গ্রাম ওজনের এক স্বর্ণের খণ্ড পাওয়া গেছে। এটি যুক্তরাজ্যে পাওয়া এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্বর্ণখণ্ড। এর (গোল্ড নাগেট) মূল্য ৩০ হাজার পাউন্ড বলে মনে করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪১ লাখ টাকা।

৬৭ বছর বয়সী রিচার্ড ব্রোক নামে এক ব্যাক্তি এ সোনার খণ্ডটি খুঁজে পেয়েছেন। তিনি গত ৩৫ বছর ধরে ধাতব বস্তু শনাক্তের কাজ করছেন।

ব্রোক তাঁর সমারসেটের বাড়ি থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দূরত্বে শ্রপশায়ার হিলস এলাকায় যান। সেখানে একটি কৃষিজমিতে গুপ্তধন খোঁজার জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। তবে ওই কৃষিজমিতে ব্রোকের পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। ধাতব বস্তু শনাক্তের জন্য তাঁর কাছে থাকা কিটটিও নষ্ট ছিল। এমন অবস্থায় ব্রোক একটি পুরোনো যন্ত্র দিয়ে কাজ করতে বাধ্য হন। সেটিও ঠিকঠাক কাজ করছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্র দিয়েই সোনার খণ্ডটি শনাক্ত করেন ব্রোক।

ব্রোক বলেন, ‘আমি আসলে এক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছেছিলাম। ভাবছিলাম আমি তো কাজটিতে অংশ নিতে পারলাম না।’

ব্রোক আরও বলেন, সেখানকার সবার কাছে অত্যাধুনিক যন্ত্র ছিল। আর তাঁর কাছে তিনটি পুরোনো যন্ত্র ছিল। ব্রোক যে শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে কাজ করেছেন, সেটির ডিসপ্লে ঘোলা ছিল।

মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় মাটির নিচ থেকে ৬৪ দশমিক ৮ গ্রাম ওজনের একটি সোনার খণ্ড বের হয়ে আসে। এটি মাটির নিচে প্রায় ১৩-১৫ সেন্টিমিটার গভীরে ছিল।

উদ্ধার হওয়া সোনা খণ্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে হিরোস নাগেট। এটি এখন নিলামে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নিলামে কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড মূল্যে এটি বিক্রি হবে।

ব্রোক বলেন, আমি যে যন্ত্রটি ব্যবহার করছি, তা খুব একটা কাজের না। কোনোরকমে ঠেলেঠুলে কাজ সারানো যায়।

তবে ব্রোক মনে করেন, এ ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেছে যে কী যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তা বড় বিষয় নয়। কেউ যদি মাটির ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকেন এবং মাটির নিচে কী লুকিয়ে আছে তা বুঝতে পারেন, তবে তা থেকে বড় কিছু ঘটে যেতে পারে।

;

আইএসের হামলায় আফগানিস্তানে ২১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বোমা হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অর্ধশত মানুষ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) একটি ব্যাংক লক্ষ্য করে এই আত্মঘাতী হামলা হয়।

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পর কান্দাহারের মিরাওয়াইস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় হতাহতদের। সেখানকার এক চিকৎসক জানান, বোমা হামলায় নিহত ২১ এবং আহত ৫০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে তালেবান প্রশাসনের দাবি, হামলায় ৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

কান্দাহারের প্রাদেশিক এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নিউ কাবুল ব্যাংক কার্যালয়ে এই হামলা হয়েছে। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। তারা বেতন তোলার জন্য ব্যাংকে এসেছিলেন।

এদিকে আইএস পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আমাক জানায়, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি। প্রায় ১৫০ জন তালেবান সদস্যকে লক্ষ্য করে এই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয় বলেও দাবি করে আইএস। 

কান্দাহার হলো তালেবানের মূল ঘাঁটি। সেখানে তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বাস করেন। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী বোমা হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে মাঝেমধ্যে আইএসের মতো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়।

;

রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে সতর্ক করলো ক্রেমলিন

ছবি : সংগৃহীত

ক্রেমলিন শুক্রবার (২২ মার্চ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিকল্পনার বিপরীতে যে বিপর্যয়কর পরিণতি অপেক্ষা করছে, সেটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে পশ্চিমা ব্যাংকের আইনি বিভাগগুলোর।

রয়টার্স জানিয়েছে, কিছু পশ্চিমা ব্যাঙ্কগুলো জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদের উপর অর্জিত সুদের বিলিয়ন ইউরো পুনঃবন্টন করার জন্য ইইউ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লবিং করছে।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য বছরে ৩ বিলিয়ন ইউরো ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। কারণ, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিয়েভের লড়াইকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।

ইইউ নেতারা বলেছেন, রাশিয়ার ওই সম্পদ কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেকোনো ব্যাংকের আইনি বিভাগ ব্যাংকের জন্য, সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য এবং ইউরোপীয় অর্থনীতির জন্য সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপের বিপর্যয়কর পরিণতি বোঝে।’

রয়টার্সের এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় কিছু ব্যাংক আশঙ্কা করছে যে, তারা ইউক্রেনে অর্থ স্থানান্তরের সঙ্গে জড়িত থাকলে তারা পরে রাশিয়ার বিরাগভাজনের শিকার হতে পারেন। পেসকভের ওই বিবৃতি তারই সতর্কতা জারি করছে।

পেসকভ আরও বলেন, ‘যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হয়, তবে যারা সেগুলো বাস্তবায়ন করছে তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুতর পরিণতি অপেক্ষা করছে।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *