আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি
ডেস্ক রিপোর্ট: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সাথে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।
‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২২ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরম ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে
তিনি বলেন, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সাথে উন্নত বায়ু পরিমাপক ও রেকর্ডিং সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যারোমিটার, জিপিএস রেডিও স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এ সকল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে, যা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘এট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।
তিনি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেছেন।
পল্লবীতে ফয়সাল হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য গ্রেফতার
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের হামলায় এক তরুণ নিহতের ঘটনায় টান আকাশ ও গালকাটা রাব্বিসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২২ মার্চ) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নরসিংদী ও গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফয়সাল ও রানাকে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় টান আকাশ ও গালকাটা রাব্বি গ্রুপের সদস্যরা।
এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ১০ টায় কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
;
নারী ও শিশুসহ ৪ জনকে মারধর, বাবাসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
ছবি: অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা
সাভারের আশুলিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারী ও শিশুসহ চারজনকে মারধরের অভিযোগে বাবাসহ ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট ভূঁইয়া বাজার এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম খান (৪৫) ও তার ছেলে মো. বিজয় ইসলাম সাগর (২৫)। সাগর আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ভুক্তভোগীরা হলো- একই এলাকার বাসিন্দা মো. রাজিব মোল্লা (৩৪), তার স্ত্রী তারিন আক্তার নুপুর (২৫), তিন বছরের শিশু সন্তান রায়হান রহমান ও শাশুড়ি তারানা বেগম (৫০)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে দুইজনের নাম উল্লেখ ও ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাত করে শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন তারিন আক্তার নুপুর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগীর শিশু সন্তান অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে চড়-থাপ্পড় দেয় সাগর। এতে তার গাল ফেটে রক্ত বের হয়। তার চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তারানাকেও মারধর করে। ছেলে ও মায়ের ডাক-চিৎকারে এগিয়ে গেলে তারিন ও তার স্বামীর ওপরও চড়াও হয় অভিযুক্তরা।
এ সময় তাদের লাঠি ও রড দিয়ে পেটায় অভিযুক্তরা। এতে তারানার স্বামীর পিঠে, দুই পায়ের হাঁটুর নিচে, ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এছাড়া দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। বাধা দিতে গেলে তারানাকেও চড়-থাপ্পড়সহ তাকে শ্লীলতাহানি করে। মারধরের পর হত্যার হুমকিও দেয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাগর ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
;
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১
ছবি: বার্তা২৪.কম
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বার ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (২৯) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিকেলের দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কের বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর আটমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুল ইসলাম নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বৃকাছুটিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ার নাটোর থেকে কুষ্টিয়া আসার পথে খাদিমপুর আটমাইল নামকস্থানে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বারের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার দাশ।
;
তিতুমীর কলেজের সাংবাদিকের ওপর হামলা, অভিযোগ ছাত্রলীগের দিকে
তিতুমীর কলেজের সাংবাদিকের ওপর হামলা, অভিযোগ ছাত্রলীগের দিকে
সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর রড, লাঠিশোটা দিয়ে হামলা করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে এক দল মুখোশধারী তাকে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তার পিঠ, ঘাড়, হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মক জখম হয়েছে। হামলাকারীরা তাকে জানে মেরে ফেলা হবে বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।
আহত সাব্বির বলেন, যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। আমি যেন তাদের চিনতে না পারি এজন্যই তারা মুখোশ পরা অবস্থায় হামলা চালায়।
জানা গেছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করে।
ঘটনার বিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে। ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে।
তিনি আরও বলেন, তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এ সময় আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সাব্বির আহমেদ বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।
হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে অবগত করা হলে তারা বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ সভাপতি রিপন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কে বা কারা হামলা করেছে সে সম্পর্কে তিনি জানেন না।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।