স্মার্ট বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে: শিল্পমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: স্মার্ট বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে: শিল্পমন্ত্রী
ছবি: বার্তা ২৪.কম
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ পর্যটন শিল্পে যথেষ্ট সমৃদ্ধ। নদী, সমুদ্র, পাহাড়, বন ও অপরূপ প্রকৃতির সমাহারে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেরও পর্যটন খাতে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুগে মানসম্পন্ন সেবা, অনুকূল পরিবেশ ও সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে এসোসিয়েশন অভ্ ট্রাভেল এজেন্টস অভ্ বাংলাদেশ (আটাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আটাব এর নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পর্যটন একটি বিরাট শিল্প। জিডিপি’তে পর্যটন খাতের অবদান বৃদ্ধিতে আটাব-কে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ স্মার্ট ট্যুরিজমের অন্যতম উপাদান। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে যার অন্যতম উদাহরণ হলো ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আটাব-কে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় এ বিষয়ে নতুন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এসোসিয়েশন অভ্ ট্রাভেল এজেন্টস অভ্ বাংলাদেশ (আটাব) এর প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরিফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান এডিশনাল আইজিপি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু কালাম সিদ্দিক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আটাব এর সাধারণ সম্পাদক আফসিয়া জান্নাত সালেহ।
ডিএনসিসির স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র সহায়তার আশ্বাস
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র সহায়তার আশ্বাস
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ।
রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানস্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানান।
মো.আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নাগরিকদের নিজস্ব সক্ষমতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে এডিবির (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) সহায়তায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি আগামী এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।’
নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকা শহরে প্রতিদিনই নদী ভাঙ্গা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে অর্থায়ন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি, জনবল ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন।
এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
বৈঠকে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী এবং ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা ইমরান আহমেদ।
;
বগুড়া ডিসি অফিসে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অনশন
ছবি: বার্তা২৪.কম
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর থেকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় চত্বরে তিনি অনশন শুরু করেন।
ফাহিমা আকতার অভিযোগ করেন পুলিশ দিয়ে তাকে সেখান থেকে তুলে দিতে ব্যর্থ হয়ে তার হ্যান্ড মাইক কেড়ে নিয়েছেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ছয় মাস পর থেকে তার সাথে বৈরী আচরণ শুরু করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু। পরিষদের কোন কাজ তাকে দেওয়া হয় না, নিজেদের ইচ্ছে মত উপজেলা চেয়ারম্যান সকল উন্নয়ন কাজ বন্টন এবং তদারকি করেন। নারী উন্নয়ন ফোরামের এক কোটি টাকা চেয়ারম্যান আটকে রেখেছেন। ফলে উপজেলার নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তার দায়িত্ব কর্তব্যে বাঁধা দিয়ে থাকেন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ করায় গত ডিসেম্বর মাসে উপজেলা চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে একমাস তালা দিয়ে রেখেছিলেন।
ফাহিমা আকতার বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়ে এবং একাধিকবার সাক্ষাত করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় সোমবার দুপুরে আমি আমার শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে সর্বশেষ সাক্ষাত করতে আসি। আমাকে অফিসে ঢুকতে না দেওয়ায় অফিস চত্বরে আমি আমরণ অনশন শুরু করেছি। বেলা তিনটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশসহ এসে আমাকে জোরপূর্বক পুলিশ দিয়ে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি অনড় থাকায় পুলিশ আমার মাইক কেড়ে নিয়ে চলে যায়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২০ জন নারীকে সাথে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে আছেন ফাহিমা আকতার। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠবো না। তার সাথে বসে থাকা তারাবানু, মাজেদা খাতুন, রশিদা, আঙ্গুরা, ফাতেমা,হালিমা বলেন, রোজা থাকলেও ইফতারের সময় পানিও পান করেননি ফাহিমা। তিনি তার অবস্থানে অনড়। আমরা তার সাথে আছি। দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার শিবগঞ্জ থেকে কয়েক শ’ নারী মিছিল নিয়ে এখানে আসবেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান করছেন। তিনি তার কোন দাবি-দাওয়া নিয়ে আমার সাথে কথা বলেননি। তবে যতটুকু শুনেছি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি আবেদন করেছেন। সেখানে নারী উন্নয়ন ফোরামের ৬০ লাখ টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার দাবি করেছেন। ইউএনও তাকে বিধি মোতাবেক প্রাপ্যতা দেওয়ার কথা বলায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসুম আলী বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না, তাকে কোন স্বাক্ষর ক্ষমতা (সাইনিং অথরিটি) দেওয়া হয়নি, এছাড়া নারী উন্নয়ন ফোরামের টাকা তার কাছে দেওয়া হচ্ছে না এমন সব দাবি করছেন। তাকে বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে আইনের বাইরে তাকে কোন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান নেই। তিনি তারপরও সে সব না মেনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাইকে উচ্চ শব্দে বক্তব্য দিতে থাকেন। তখন তার মাইকটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে বারবার বুঝানোর পরও তিনি ডিসি অফিস ত্যাগ করতে সম্মত হননি।
;
নগর উন্নয়নে জাইকা ও ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সঙ্গে রাজউকের সভা
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আয়োজনে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়ন বিষয়ে জাইকা এবং ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫মার্চ) রাজউক, জাইকা প্রকল্প দলের আয়োজনে আইইবি এর এক্সিকিউটিভ সভাকক্ষে ত্রিপক্ষীয় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আইইবির প্রতিনিধি, রাজউক এবং জাইকার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে কাজের সহযোগিতা করবে জাইকা। এই সভায় জাইকার চলমান টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রকল্প ‘বেসরকারি ভবন সমূহের রেজিলিয়েন্সির জন্য ডিজাইন এবং নির্মাণ এর গুণগত মান বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি ও অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন- আইইবির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী নুরুল হুদা, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী খাইরুল বাশার, সম্মানী সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মঞ্জু, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের সম্মানী সাধারণ সম্পাদক তুহিন আহমেদ, রাজউকের ডিসিকিউআর প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ এবং জাইকার মুখ্য কারিগরি পরামর্শক ডক্টর নারাফু প্রমুখ।
জাইকার মুখ্য কারিগরি পরামর্শক প্রতিনিধি ডক্টর নারাফু এই প্রকল্পের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে জানান, এই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের বিকাশের মধ্য দিয়ে ঢাকা বা স্মার্ট ঢাকার মানুষদের জীবন আরো স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও কার্যকর করে তোলা যাবে। ভবনের রেজিলিয়েন্সি অর্জনের মূল চাবিকাঠি হিসেবে তিনি সমন্বিত লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।
সভায় ভবনের ডিজাইন এবং নির্মাণের গুণগতমান বৃদ্ধি করার সাধারণ রূপরেখা, মূল প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনার বিষয়বস্তু এবং প্রয়োগের উপায়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
রাজউকের পরিচালক মো. মোবারক বলেন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ডিজাইন এবং নির্মাণের গুণগতমান বৃদ্ধি করার নির্দেশিকার অগ্রগতি সকল অংশীজনদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মতবিনিময় সভাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফলস্বরূপ, প্রকল্পটি নগরায়ণ ও মধ্যম-আয়ের দেশ হওয়ার দিকে বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।
জানা যায়, প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহের মধ্যে রয়েছে- স্ট্রাকচারাল ও অগ্নি নিরাপত্তা ডিজাইন পর্যালোচনা, নির্মাণ কাজ ইন্সপেকশন-সুপারভিশন ও সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক গাইড লাইন প্রস্তুতকরণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান। ভবনের কাঠামোগত দুর্বলতা রোধ এবং অগ্নি দুর্ঘটনা ঝুঁকি প্রশমনে ডিজাইন রিভিউ, নির্মাণ কাজ মনিটরিং ও সুপারভিশন বিষয়ে রাজউক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টিওটি তৈরি করা। প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাগণের (টিওটি) মাধ্যমে রাজউক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ, ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এবং ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের জ্ঞান ও দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ার্কশপ সেমিনার আয়োজন।
এর ফলে নগর এলাকায় ভবন সংক্রান্ত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পাবে। রাজউক কর্তৃক বেসরকারি ভবনগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্ট্রাকচারাল ও অগ্নি নিরাপত্তা নকশা অন্তর্ভুক্ত করণ ও রাজউক এর কর্মচারী কর্তৃক উল্লিখিত নকশাসমূহ যাচাই-বাছাইয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত ভবন নির্মাণের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।
;
নওগাঁর তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী
ছবি: বার্তা২৪.কম
পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পেয়েছেন নওগাঁর তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রায় ৩৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের হাতে উপহার সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, চিনি, তেলসহ মোট আটটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য তুলে দেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা।
জেলা প্রশাসকের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী হিসেবে খাদ্য দ্রব্য নিতে পেরে খুশি তৃতীয় লিঙ্গের ওইসব সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অন্যান্যদের মতো তাদেরও অধিকার আছে কিছু চাওয়ার ও পাওয়ার, তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ৩৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের মাঝে একটু খাদ্য দ্রব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সহযোগীতার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।