সারাদেশ

লালমনিরহাটে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটে মাদক মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৫ মার্চ) লালমনিরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক, মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম মো. রাসেল মিয়া (২৪)। সে জেলার আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ী (হাজীগঞ্জ) এলাকার মো. নুর হক ওরফে নুরুল হকের পুত্র।

লালমনিরহাট জেলা দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, আদিতমারী থানা পুলিশের একটি টিম গত ২৭ জুলাই ২০১৮ সালে একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ফলিমারী উত্তরপাড়া তিন মাথায় অবস্থান নেয়। পরে সেখানে থেকে ৪০ বোতল (১০০ মিলি ওজনের প্রতিটি বোতল) ফেনসিডিলসহ রাসেল মিয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় রাসেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শে‌ষে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপ‌স্থিত ছিলেন। পরে তাকে লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, অভিযোগপত্র অনুযায়ী আসামি রাসেল মিয়ার অতীত ইতিহাস শূন্য। এটিই তার প্রথম মামলা। এছাড়া মামলার ঘটনার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বৎসর। এই অবস্থায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর ধারা ১৯(১) এর টেবিলের ৩ খ ক্রমিকে বর্ণিত মতে তাহাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং তৎসহ উক্ত আইনের ১৯(৪) ধারা মোতাবেক অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করাই যুক্তিযুক্ত বলিয়া আদালত মনে করে।

লালমনিরহাট জেলা দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায় হিসেবে বিবেচিত হবে।

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় দুই যুবকের কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার মামলায় দুই যুবকবে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাদের ৫ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞাঁর আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই যুবক হলেন, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার হোয়াইক্যং মনির ঘোনা এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. হোসেন (৩৩) ও একই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. জহিরুল আলম (৩৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি নগরের বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সংযোগ সেতুর উত্তর পাশে পুলিশ বক্সের সামনের রাস্তা থেকে ৬শ’ পিস ইয়াবাসহ মো. হোসেন ও মো. জহিরুল আলম নামে দুজনকে আটক পুলিশ। এ ঘটনায় বাকলিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম বাদী হয়ে নিয়মিত মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী বলেন, ৯ বছর আগে আসামি মো. হোসেন ও মো. জহিরুল আলমের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত উভয়কে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া দুজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

;

সাংবাদিক মারধরের মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজনের জামিন

ছবি: সংগৃহীত

লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে দৈনিক সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদকে মারধর ও জখমের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাসহ দুই আসামি।

সোমবার (২৫ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন- তিতুমীর সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র ও সাইফুল নিজাম কায়সার।

গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিতুমীর কলেজে ইফতার শেষে বের হয়ে আসার সময় আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাসের মূল ফটকের সামনে সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠিসহ সাংবাদিক সাব্বির আহমেদের পথরোধ করে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে। সাব্বির রক্তাক্ত জখম হন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী তাহিনা রাদিয়া সুলতানা বাদী হয়ে বনানী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

;

পরিস্থিতি বিবেচনায় জাপানি শিশুদের ভাগাভাগি করা হয়েছে

ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুই মেয়েকে জাপানি মা ও এক মেয়েকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবার কাছে ভাগাভাগি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মেয়ের হেফাজত নিয়ে বাবার করা রিভিশনের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন অভিমত দিয়েছেন বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জাপানি শিশুদের দুজন মায়ের কাছে ও একজন বাবার কাছে থাকবে এবং বাবা-মা সন্তানের সাথে দেখা করতে পারবেন বলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিভিশন মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমানের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের ৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।

জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন সোনিয়া তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায়ে বলা হয়। প্রথম ও তৃতীয় মেয়েকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো বাংলাদেশ বা যেকোনো দেশে বসবাস করতে পারবেন। তবে বাবা সন্তানদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে। তবে জাপানি মা দ্বিতীয় মেয়ের সঙ্গে দেখার সুযোগ পাবেন।

আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, এডভোকেট নাসিমা আক্তার লাভলী। নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেউসি, এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এরিকোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তিনজন কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারা হলো- জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা। এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিন মেয়ে টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল।

২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ইমরান তার স্ত্রী এরিকোর সঙ্গে ডিভোর্স আবেদন করেন। এরপর ২১ জানুয়ারি ইমরান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু তাতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাব নাকচ করে। পরে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাস স্টপেজ থেকে ইমরান তাদের বড় দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। চারদিন পর ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার জন্য অন্তবর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক সাক্ষাতের আদেশ দেন।

ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন। ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান তার মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট নেন। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ৩১ মে টোকিওর পারিবারিক আদালত এরিকোর অনুকূলে জেসমিন ও লিনার জিম্মা হস্তান্তরের আদেশ দেন। পরে ছোট মেয়ে সানিয়া হেনাকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়।

;

ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় সাতজনের কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণকালে গ্রেফতার সংক্রান্ত মামলায় ৭ আসামিকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের আগে তিনি ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আসামিরা পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রতন ওরফে বোম রতন, জুয়েল, জীবন ওরফে পট্টি জীবন, রিপন, শাহীন, শামীম হাওলাদার ও অলিউল্লাহ।

২০২২ সালের ৯ জুলাই মোহাম্মদপুর থানাধীন বিজলী মহল্লার জান্নাতবাগ মাঠের ভেতর আসামিরা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে রামদা, ছোরাসহ বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার এসআই অপূর্ব বর্মন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই সুজন মাহমুদ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *