সারাদেশ

২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৃপ্তি পেতাম: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৃপ্তি পেতাম: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে শুধু আমাদের দেশে নয়, দেশের বাইরেও সমস্ত বাঙালিদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। বাইরে অবস্থানরত বাঙালিদেরও এই ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলাম এখনো বেঁচে আছি, ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করলে আত্মতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারতাম।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে “গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির ইতিহাসে ‘কালরাত্রি’ হিসেবে চিহ্নিত। ঐ রাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে শুরু করেছিল বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। একই সঙ্গে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে তারা গ্রেফতার করে বাঙালির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ শুরু হওয়া অপারেশন সার্চলাইটের নামে পরবর্তী ৯ মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশব্যাপী গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, ধর্ষণের মতো অবর্ণনীয় নারকীয় নৃশংসতা চালায়। এত অল্প সময়ের অপারেশনে শহীদ হয়েছিল ৩০ লাখ অসহায় মানুষ, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী। ধর্ষিত হয়েছিলেন কয়েক লাখ নারী। দেশত্যাগী হয়েছিল প্রায় এক কোটি নিরিহ মানুষ। মাত্র ৯ মাসে ৩০ লাখ আদম সন্তানের অসহায় মৃত্যু: এতবড় গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপর থেকেই বাংলাদেশের গণহত্যার আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির দাবী জোরালো হয়।

গণহত্যা দিবস পালন না করার জন্য বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নানক বলেন, আজকে ২৫ মার্চ, বিএনপি সমাবেশ করে। কিন্তু সেই সমাবেশে বসে তারা ২৫ মার্চকে স্মরণ করে না।

আলোচনা সভায় সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একুশে এবং স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক আব্রাহাম লিংকন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, মেজর (অব.) হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

জাতীয় গণহত্যা দিবসে চট্টগ্রাম বধ্যভূমিতে আলোক প্রজ্বলন ও শ্রদ্ধা নিবেদন

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে আলোক প্রজ্বলনসহ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এ আলোক প্রজ্বলন ও শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।

প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এরপর একে একে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (কেজিডিসিএল) ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাত ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে (কেপিআই ও জরুরী স্থাপনা ব্যতীত) ১ মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্ল্যাক আউট এবং সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা, জনবহুল স্থানে গণহত্যার উপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

;

পুলিশের পক্ষ থেকে সিলেটে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

পুলিশের পক্ষ থেকে সিলেটে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

বাংলাদেশ পুলিশের আয়োজনে ও সিলেট জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে অসহায় গরীব ও দুস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে সিলেট জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে বিশ্বনাথ ও জকিগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এদিন বিকেলে জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বারহাল ইউনিয়নের শাহবাগে এবং থানা কম্পাউন্ডে পৃথকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, বিধবা মহিলা ও অসহায় লোকজনের মধ্যে বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বারহাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হামিদ চৌধুরী, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন চন্দ্র রায়, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহেদ হোসেন, উপপরিদর্শক (মিডিয়া) মফিদুল ইসলাম সজল, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আল হাছিব তাপাদার প্রমূখ।

একই দিন বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ছহিফাগঞ্জ সুলতানিয়া আলীম মাদ্রাসা মিলনায়তনে অর্ধ শতাধিক অসহায়-গরীব ও দুস্থ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে ইফতার সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম (সেবা), জেলা পুলিশের ওসি খান মুহাম্মদ মঈনুল জাকির, বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, এসআই রুমেন আহমদ, এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই দিপঙ্কর সরকার ও এএসআই দিদারুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানায়, আইনশৃঙ্খলা সমন্নুত রাখার পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিপিএম(বার), পিপিএম’র নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। কাঙ্খিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশের সকল পর্যায়ের পিছিয়ে পড়া সকল জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় জনগণের পাশে রয়েছে।

;

নীলফামারীর তিস্তা ক্লিনিকের অর্থদণ্ডসহ সিলগালা

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

নীলফামারী সদরে চিকিৎসক ও নার্স সংকটসহ প্রতিশ্রুত সেবা যথাযথভাবে না দেয়ায় তিস্তা ক্লিনিক ও নার্সিং হোম নামে এক ক্লিনিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে শহরের মাধার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ সিলগালা করা হয়।

সিভিল সার্জন ডাক্তার হাসিবুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের যৌথ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ক্লিনিকটির অপেরেশন থিয়েটার, এক্সরে রুম, প্যাথলজি বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

সিভিল সার্জন ডাক্তার হাসিবুর রহমান বলেন, তিস্তা ক্লিনিক ও নার্সিং হোমকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলগালা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

মুক্তিযুদ্ধে মণিপুরী সম্প্রদায়ের অবদান অবিস্মরণীয়: প্রতিমন্ত্রী শফিক চৌধুরী

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মণিপুরী সম্প্রদায়ের অবদান অবিস্মরণীয়। সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় মণিপুরী সম্প্রদায়ের অধিকাংশেরই বাস। এদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মণিপুরী ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত মণিপুরী সম্প্রদায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এল. ইবুংহাল সিংহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, ভাষা গবেষক এ কে শেরাম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার এ স্বাধীনতা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রকে সংবিধানে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করে শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে নানা অপশক্তি জাতির পিতার সে স্বপ্ন ভেঙ্গেচুড়ে দেয়। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্পে পেছনে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্বাধীনতাবিরোধীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সম্মিলিত অংশগ্রহণ আহ্বান করেন প্রতিমন্ত্রী।

পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বৈদেশিক চাকরি বিষয়ক মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *